খারাপ নারী কারা
সাধারণত নারীদের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত পুরুষ শাসিত সমাজে সেই সকল বৈশিষ্ট্য গুলি যদি নারীর মধ্যে অনুপস্থিত থাকে তাহলেই তাদেরকে খারাপ নারী বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ যুগ যুগ ধরে আমাদের এই পৃথিবীতে পুরুষরা শাসন করে আসছে। সকল ক্ষেত্রে দেখা যায় যে এবং সব ধর্মীয় ক্ষেত্রে দেখা যায় যে নারীরা সাধারণত পুরুষের নিচে অবস্থান করে।
এবং শারীরিক বা দৈহিক শক্তির দিক থেকেও বিশেষ করে নারীদের দাবি রাখার চেষ্টা করা হয়ে আসছে বহুদিন থেকে। পৃথিবীর সৃষ্টির পর থেকেই হয়তো এই মানসিকতা চলে আসছে বর্তমান আধুনিক যুগ পর্যন্ত। তবে বর্তমানে এই আধুনিক যুগে অনেক বেশি নারীদেরকে অনেক এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমাদের এই তৃতীয় বিশ্বে নারীদের অবস্থান এখনো গুরুত্বপূর্ণভাবে নিম্ন দিকে রয়েছে। তাই মনে করা হয় যে সকল নারী তাদের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী না চলে তাহলে কে তাদেরকে খারাপ নারী বলে অভিহিত করা হয় বর্তমান সমাজে।
ভালো নারীর বৈশিষ্ট্য
সাধারণত দেখা হয় যে নারীরা ঘরের মধ্যে থাকবে বাড়ির মধ্যে থাকবে এবং গৃহের সকল কর্মকান্ড বা কাজকর্ম তারা করতে থাকবে। অর্থাৎ বাড়ির পুরুষদের কথামতো চলবে এবং সকল ধরনের নিয়ম-কানুন এর মধ্যে থাকবে কোন বেপরোয়া জীবনযাপন করবে না বাড়ির বাহির হবে না তাদেরকে সাধারণত আমাদের সমাজ ভালো নারী বলে অভিহিত করে থাকে। আবার ধর্মীয় দিক থেকেও দেখা হয় যে ভালো নারীর বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অবশ্যই অবনতমস্তক এবং সবসময় তার শরীর মাথা বা মস্তক কাপড় দ্বারা আবৃত রাখবে তাহলেই তাদেরকে সাধারণত আমরা ভালো নারী বলে অভিহিত করে থাকে।
নারীদের জোরে কথা বলা নিষেধ নারীদের বাড়ির বাহিরে যাওয়া নিষেধ নারীরা শুধুমাত্র ঘরে থাকবে এবং ঘর কন্যার যে কাজগুলো থাকবে সেই কাজগুলো করবে। এই রকম ভাবে থাকলেই তাদেরকে ভালো নারী বলে অভিহিত করা হবে। কিন্তু ভালো নারী হতে হলে অবশ্যই ভালো জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ভালো জ্ঞান অর্থাৎ সকল ধরনের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার জীবনকে সাজাবে এবং কিভাবে সমাজকে পরিচালনা করা হয় সেসব বিষয়গুলো নিয়েও না ভালো নারীকে ভাবতে হয়। সমাজকে নিয়ে ভাববে দেশকে নিয়ে ভাববে তার পরিবারকে নিয়ে ভাববে তাহলেই তাদেরকে ভালো নারী বলা মনে করা হয় আধুনিক বিশ্বে। এর বাইরে যারা থাকে তারাই সাধারণত খারাপ নারী বলে অভিহিত করা হয়।
খারাপ নারীদেরকে নিয়ে উক্তি
সমাজে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তি নারীদেরকে নিয়ে উক্তি করে গেছেন। অর্থাৎ প্রশাসিত এই সমাজে সবসময় নারীদেরকে দাবিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ স্বাস্থ্য সহ সকল জায়গায় উল্লেখ রয়েছে। আমাদের এই পৃথিবীর বিভিন্ন মনিরশিবা পন্ডিত ব্যক্তিরাও নারীদেরকে নিয়ে বা খারাপ নারীদেরকে নিয়ে যে সকল উক্তি করে গেছেন আমরা এখন সেই উক্তিগুলো
আপনাদের সামনে তুলে ধরব। খারাপ নারী সম্পর্কে উক্তিগুলো আপনারা আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারবেন। এবং খারাপ নারী সম্পর্কে উক্তিগুলো দেখে নিয়ে সেই অনুযায়ী যদি জীবন যাপন করতে পারেন তাহলে অবশ্যই জীবনকে ভালোভাবেই সাজাতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা এখন দেখব যে খারাপ নারীর নিয়ে সমাজের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ কি ধরনের উক্তি করেছেন বিভিন্ন সময়। উক্তিগুলি দেখে বিশ্লেষণ করি।
“মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ তাঁরাই যারা পাপ করে, সেই পাপের কথা অন্যদের সাথে বলে, আনন্দ করে”।
অর্থাৎ যে সকল মেয়েরা সকলের সাথে ফ্রি ভাবে ওঠাবসা করে তাদেরকেই আমাদের এই সমাজে খারাপ নারী বলে অভিহিত করে থাকে। নারীদেরকে সবসময় ভাগ্য পুণ্য বলেই মনে করা হয়। কিন্তু এটি অবশ্যই ঠিক নয় বলেই আমার নিজস্ব মতামত।
কারণ তাদেরও স্বাধীনতা রয়েছে শুধুমাত্র পুরুষদের সাথে ফ্রি ভাবে মেলামেশা করলেই একজন নারী খারাপ হবে এটা কখনোই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। একজন ছেলে যদি মেয়েদের সঙ্গে ঘুরতে পারে তাহলে একজন মেয়ে কেন ছেলেদের সঙ্গে ঘুরতে পারবে না। এ ধরনের উক্তিগুলো এখন আপনারা আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে থাকুন ।
“যেই মেয়ে নিজেকে যত বেশি-ফ্রি করে দেয়, সেই মেয়ে ততবেশি অশ্লীল-খারাপ হয়। তার সব কিছুই খারাপে পরিণত হয়”।