আমরা সবাই আশা করি আমাদের জীবনে এমন কেউ থাকবে যে আমাদের সব সময় শেয়ার করবে। মা বাবা আমাদের সব সময় কেয়ার করে। মা-বাবার পরেও আমরা চাই আমাদের এমন কেউ জীবনে থাকুক যে সব সময় আমাদের কেয়ার করবে এবং সব সময় যত্নশীল হবে। যাদের জীবনে একজন কেয়ারিং লাইফ পার্টনার আছে তারা হচ্ছে সবচাইতে লাকি। কেয়ারিং মানুষকে ডেডিকেট করতে এবং জীবনে কেয়ারিং মানুষের অভাব বোঝাতে আমরা কিন্তু কেয়ারিং নিয়ে কিছু উক্তিগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করতে পারি।
আমাদের জীবনে কারো কেয়ারিং এর কোন অভাব নেই। মা বাবা, ভাই ,বোন ,আত্মীয়-স্বজন, জীবন সাথী সবাই কেয়ার করে যত্ন নেই। কিন্তু এমনও কোন মানুষ আছে যার খেয়াল নেওয়া বা খবর নেওয়ার মতো কেউ থাকেনা। সেই মানুষগুলো সবচেয়ে অসহায় যাদের জীবনে কেয়ার করার মতো কেউ নেই। কেয়ার করা নিয়ে উক্তি কেয়ারিং নিয়ে কিছু উক্তি এবং স্ট্যাটাস ক্যাপশন গুলো এবার আমরা দেখে নেব।
১// জীবনে তো ভাগ্যবান তারাই যাদের জীবনে যত্ন নেওয়ার এবং কেয়ার করার মতো মানুষ রয়েছে।
২// জীবনে যতই অর্থ সম্পদ থাকুক না কেন দিনশেষে কেয়ার করার মানুষ না থাকলে কিছুই ভালো লাগেনা।
৩// ভালোবাসার সমার্থক শব্দ হলো যত্ন নেওয়া। যে সম্পর্কে কেয়ারিং নেই। একে অপরের যত্ন নেই , সে সম্পর্কে ভালোবাসাও নেই। ভালোবাসা গভীরতা পাই একে অপরের প্রতি যত্ন এবং কেয়ারিং থেকে।
৪// একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে যত্ন এবং কেয়ারিং দ্বারা। একটি ভালবাসার সম্পর্কের সূচনা হলো যত্নশীল মনোভাব। একে অপরের জন্য ব্যাকুল হয়ে যাওয়া। কারো কিছু হলে অস্থির হয়ে পড়া। তাই ভালোবাসার সম্পর্কে মূল হচ্ছে কেয়ারিং।
৫//সবার ভাগ্যে কেয়ারিং এবং যত্নশীল জীবন সাথী থাকে না। যত্ন নেওয়াটা হল ব্যক্তিগত বিষয়।এটি একজন ব্যক্তির নিজস্ব মূল্যবোধ, উদ্বেগ এবং আকাঙ্ক্ষার মধ্যে নিহিত থাকে।
৬// বন্ধুত্ব হল নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, যত্ন, এবং সম্মান; যেখানে কোনো লাভজনক সুযোগ থাকে না।
৭// প্রকৃত ভালবাসা লুকোচুরি খেলা নয়; সত্যিকারের প্রেমে, উভয় প্রেমী ই একে অপরের প্রতি যত্নশীল হয়।
৮// মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া সব স্মৃতির যত্ন নেওয়া উচিত, কারণ সে তাদের পুনরায় ফিরে পাবে না।
৯// যদি সবে মিলে একসাথে এগিয়ে যায়, তবে সাফল্য নিজেই নিজের যত্ন নেয়।
১০// কিছু মানুষ অতিরিক্ত বেশি যত্নশীল হয়; মনে একেই ভালোবাসা বলে। কারণ যেখানে কেয়ারিং নেই সেখানে ভালোবাসার কোন অবকাশ থাকে না।
১১// প্রত্যেক মানুষের জীবনে মূল নীতি হওয়া উচিত সৎ, অকৃত্রিম, চিন্তাশীল এবং যত্নশীল হওয়া।কোনো মানুষ যখন তার নিজের সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল হয় তখন সেই সম্পর্কে আসে পরিপক্বতা।
১২// আমাদের মনে রাখা উচিত যে প্রত্যেকটি শিশু, দাম্পত্য জীবন এবং ফুলের বাগানগুলি যে ধরনের যত্ন পায় তারা তাই প্রতিফলিত করে।
১৩// জীবন থেকে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা প্রত্যেক মানুষকে এই শিক্ষা দেয় যে শ্রদ্ধা, যত্ন এবং ভালবাসা ভাগ করে নেওয়া উচিত, কারণ এটি ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিহিত।
১৪// পৃথিবীতে সব সম্পর্কের ঊর্ধ্বে মা-বাবার ভালোবাসার সম্পর্ক। কারণ মা-বাবা আপনাকে যতটা ভালোবাসে সেই রকম ভালো আপনাকে কেউ বাসতে পারবেনা। কারণ মা বাবার মত যত্নশীল পৃথিবীতে আর কেউ হবে না।
১৫// কাছের মানুষের সঙ্গে থাকতে থাকতে কখন যে তাদের প্রতি আমরা নিজের অজান্তেই যত্নশীল হয়ে পড়ি সেটা বোঝা যায় না। একটি সম্পর্ক তৈরি হয় কিন্তু কেয়ারিং দ্বারায়।
১৬// একজন অপরিচিত মানুষ কিভাবে আপন হতে পারে জানেন? যদি সে মানুষটি যত্নবান ,যত্নশীল হয়। যখন একটি মানুষ আপনার কেয়ার করবে তখন আপনি মন থেকেই সে মানুষকে ভালোবেসে ফেলবেন।
কেয়ার করা এবং কেয়ারিং নিয়ে উক্তিগুলো আপনাদের কেমন লাগলো নিশ্চয়ই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এই উক্তিগুলো আপনারা চাইলে পোস্ট করতে পারবেন অথবা বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয় মানুষদের এসএমএস হিসেবে সেন্ড করতে পারবেন। আপনার জীবনে যে মানুষগুলো আপনার উপর কেয়ারিং এবং যে মানুষগুলো আপনার কেয়ার করে তাদের মেনশন করে এই পোস্টগুলো শেয়ার করে ফেলুন। ধন্যবাদ।