খেলাধুলা হলো শরীরচর্চার একটি বেশ ভালো কৌশল। অর্থাৎ ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা থেকে শুরু করে যৌবনপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরও যদি নিয়মিতভাবে কোন কিছু খেলে থাকে তাহলে তাদের শরীর চর্চার বিষয়টি এই খেলাধুলার মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তাই খেলাধুলা দেখা যাচ্ছে যে যেকোনো বয়সের ব্যক্তির জন্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। খেলাধুলা করতে পারলে যেমন বিনোদন হয় তেমনিভাবে শরীরের সব ধরনের শরীরচর্চায় হয়ে থাকে। একটি মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে অবশ্যই শারীরিক পরিশ্রম করতে হয়।
বর্তমান সময়ে মানুষের শারীরিক পরিশ্রম করার জায়গা অনেকটাই কমে গিয়েছে। মানুষের বেশিরভাগ কাজ এখন বিভিন্ন যন্ত্র করে দিচ্ছে আর এই কারণে মানুষ অলস সময় কাটায়। কিন্তু মানুষের অর্থ রোজগারের এই কর্মময় জীবনের ক্ষেত্রেও অবশ্যই শরীরচর্চা বড় উপকারী একটি বিষয়। তাই একই সাথে যদি সঠিক এবং বিনোদনের ভিসা থাকে তা হল খেলাধুলা। খেলাধুলা করলে একদিকে শরীর এবং মন উভয় ভালো থাকে অন্যদিকে মানুষের সামান্য হলে বিনোদনের ব্যবস্থা হয়ে যায়। তাই খেলাধুলায় সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়। খেলাধুলা আমাদের সকলের জন্যই প্রযোজ্য।
খেলাধুলা করার উপকারিতা
যদি হবে শারীরিক পরিশ্রমের খেলাধুলা করে করা যায় তাহলে কোন ছেলে মেয়ে খারাপ পথে বিপথে যায় না। কারণ ফুটবল ক্রিকেট বা বাংলাদেশের একেবারে নিজস্ব যে খেলা গুলো রয়েছে কাবাডি সহ আরো অনেক খেলা সেই খেলাধুলার মধ্যে শারীরিক পরিশ্রম রয়েছে এবং বিনোদন রয়েছে। তাই ছেলে মেয়েদের মন ভালো রাখতে এবং তাদেরকে বকে যাওয়া থেকে রোধ করতে খেলাধুলার বিকল্প নেই বলে মনে করা হয়। খেলাধুলা করলে একজন শিক্ষার্থী অবশ্যই সব দিক থেকে ভালো হয়। আপনারা জানেন যে সুস্থ দেখে সুস্থ মন।
দেখে ভালো থাকলে মন ভালো থাকে আর মন ভালো থাকলে বিশ্বের যাবতীয় কিছু অর্জন করা সম্ভব। ভাই আপনাদেরকে অবশ্যই খেলাধুলা বিমুখ হলে চলবে না অবশ্যই খেলাধুলার মধ্যে থাকতে হবে। খেলাধুলা করলে অন্ততপক্ষে এ বিষয়টি নিশ্চিত যে ওই ছেলে-মেয়ে আর খারাপ বা বিপথে যাবে না। খেলাধুলার সঙ্গে যে সকল ছেলেমেয়েরা জড়িত থাকে তারা সব সময় সাথে থাকে। স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন যে গীতা পড়ার পূর্বে আগে ফুটবল খেলা উচিত। এই কথাটি দ্বারা আসলে যা বোঝানো হয়েছে তা হল ধর্মচর্চা করার পূর্বে শরীরকে সুন্দরভাবে গঠন করা।
খেলাধুলা নিয়ে উক্তি
খেলাধুলা যেহেতু মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় তাই খেলাধুলা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পণ্ডিতগণ অনেক মন্তব্য করেছেন। তাদের এই মন্তব্য গুলি আসলে উক্তি বলে পরিচিত। তাই এখন আমরা দেখব যে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ খেলাধুলা সম্পর্কে কোন ধরনের উক্তি করে গেছেন। কারণ জীবনকে সুন্দরভাবে সাজাতে অবশ্যই খেলাধুলার বিকল্প নেই। আর এই কারণে মহা
মনীষী গণ খেলাধুলার কথা বলেছেন একথা একটু আগেই আমি স্বামী বিবেকানন্দের কথা দিয়ে বুঝিয়ে দিলাম। তাহলে চলুন আমরা এখন খেলাধুলা সম্পর্কে উক্তিগুলো অর্থাৎ মামনিসীদের উক্তিগুলো আমরা এখন এখান থেকে দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি। আর অন্যদিকে না তাকিয়ে এখন আমরা খেলাধুলা সম্পর্কে যে উক্তিগুলো রয়েছে সেই উক্তিগুলি সম্পর্কে বিশদভাবে জানার চেষ্টা করি।
” খেলাধুলা না করলে নিছক বিদ্যা অনুশীলনে যৌবনের উদ্যম, শক্তি ও কর্মক্ষমতার অপচয় ঘটবে”।
— ব্যারন পিয়ারে দ্যা কুবার্তো
তাহলে দেখুন কথাগুলো আসলে কত সুন্দর বলেছেন এই মহান ব্যক্তিটি। কারণ ছেলে মেয়েদের জীবনে অবশ্যই খেলাধুলার গুরুত্ব রয়েছে খেলাধুলা করলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে এবং অল্পতেই শরীর নষ্ট হয়ে পড়ে না। একটি দেয়ালের যেমন
ভিত মজবুত না হলে সে দেয়ালটি টিকে থাকতে পারে না তেমনি শরীরের ভীত মজবুত করতে হলে অবশ্যই তাকে প্রচুর পরিশ্রম করে খেলাধুলা করতে হবে। রাতে দেখা যাবে যে এই ব্যক্তিটি সুস্থ রয়েছে।
“সংগ্রামী জীবনে মানুষকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলবার জন্য খেলাধুলার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য” ।
— বিধানচন্দ্র রায়
মানুষের জীবনে অনেকটাই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকতে হয়। আর এই সংগ্রাম করার মানসিকতা খেলাধুলা থেকেই পেতে পারে সেই শিশুটি। তাই খেলাধুলার গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করা হচ্ছে।