মানুষের জীবন বড়ই বিচিত্র ধরনের হয়ে থাকে। জীবনের একেক সময় একেক ধরনের বাঁক নেয়। আর জীবনের এই বিচিত্র তাই আসলে জীবনের ওপর মানুষের আরো অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করেছে। এজন্যই কবি লিখে গেছেন মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। তাই মানুষের জীবনে কখনো কখনো বিভিন্ন ধরনের বিচিত্র ধরনের বিষয় এসে উপস্থিত হয়। সেই বিষয়গুলিকে সমাধান করার মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়।
জীবন কি
আমরা সাধারণত বলে থাকি যে, যেকোনো প্রাণী উদ্ভিদ অথবা জড় বস্তু হলেও তার সৃষ্টি কাল থেকে ধ্বংসকাল পর্যন্ত সময়কেই বলা হয় জীবন। প্রাণীর ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে একটি প্রাণী মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময় সেই সময়কে, জীবন বা জীবনকাল বলা হয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে একটি বস্তু অথবা একটি প্রাণী অথবা একটি উদ্ভিদ পৃথিবীতে যে সময়কাল অবস্থান করে টিকে থাকে সেই সময়ের টাকায় তার জীবনকাল বলা হয়ে থাকে। প্রাণীদেহে অথবা উদ্ভিদ দেহে যদি প্রাণ থাকে তাহলে তার মধ্যে জীবন রয়েছে বলেই মনে করা হয়।
জীবনকে ক্ষণস্থায়ী বলার কারণ
প্রত্যেকটি প্রাণী অথবা উদ্ভিদ অথবা অন্য যেকোন বস্তু একেবারে অনন্তকালের জন্য আসেনি। যে জিনিসের সৃষ্টি রয়েছে সে জিনিসের ধ্বংস রয়েছে। তাই জীবনের যদি শুরু আছে তাহলে তার শেষও রয়েছে। আমাদের এই জীবনকে ক্ষণস্থায়ী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কোন মানুষই অনন্তকালের জন্য বেঁচে থাকতে পৃথিবীতে আসেনি। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে ভালোভাবে সাজাতে এবং অপর সকল মানুষ উদ্ভিদ প্রাণী সকলের সাথে সুন্দর ব্যবহার করে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে।
তাই যেটুকুন সময় আমরা পৃথিবীতে অবস্থান করবো সেই সময়টুকু যেন সবার উপকার করার তরেই বেঁচে থাকি। এজন্য জীবনকে ক্ষণস্থায়ী বলা হয়েছে এবং এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে নিয়ে সমাজের বিভিন্ন মনিষী বিভিন্ন ধরনের উক্তি ও করেছেন। আর আজকের আমাদের দেখার বিষয় হলো ক্ষণস্থায়ী জীবন নিয়ে মহা মনীষীদের উক্তি গুলি কি ছিল সেগুলো দেখার এবং বিশ্লেষণ করার।
ক্ষণস্থায়ী জীবনের উক্তি
আমাদের এই ক্ষণস্থায়ী জীবনটাকে নিয়ে আসলেই বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন ধরনের উক্তি করেছেন। এবং যারা কাজ করতে চেয়েছেন দেখেছে এই কর্মময় জীবন অবশ্যই ক্ষণস্থায়ী। ক্ষণস্থায়ী জীবনটাকে নিয়ে কারণ বড়াই করা উচিত নয়। সব সময় আমার আমার করে অন্যের হ ক মেরে নিজের আখের গোছানোর কোনই যৌক্তিকতা নেই। কারণ ছোট্ট এই জীবনে খেয়ে দেয়ে আরাম আয়েশে কাটিয়ে দিতে খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হয় না।
তাই অসহায় গরিব মানুষের সমস্ত অর্থকরী টাকা পয়সা লোড করে নিয়ে নিজের কাছে জমা রেখে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া কোনই সুফল বয়ে আনে না। তাই মনীষীদের নিয়ে বা মনীষীরা এই ক্ষণস্থায়ী জীবনকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি করেছেন। সেই উক্তিগুলি এখন আমরা দেখব এবং প্রয়োজনে বিশ্লেষণ করবো। চলুন উক্তি গুলো দেখি এবং বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি। উক্তিগুলো ছিল এই রকম
উক্তিগুলো
“আমার মনে হয় সত্যিকার লক্ষ্য সব সময়ে কঠিন হওয়া উচিৎ। এটা এমন হওয়া উচিৎ যা, তোমাকে পরিশ্রম করতে বাধ্য করে”। মাইকেল ফেলপ্সতাইলে দেখা যাচ্ছে যে এই জীবনটাকে গড়ে তুলতে হলে যে লক্ষ্য গুলো আমাদের সামনে উপস্থিত হয় সেই উপস্থিত লক্ষ টা কঠিন বলেই মনে করতে হয়। তাহলে আপনারা অবশ্যই সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন এবং জীবনকে সফলতায় ভরে তুলতে পারেন। ছোট্ট জীবনের প্রত্যেকটি স্তরে আলাদা আলাদা লক্ষ্য স্থির করতে হয় এবং সেই স্থির করা লক্ষ্য অনুযায়ী এগিয়ে চলতে হয়, তাহলেই সফলতা।
ক্ষণস্থায়ী জীবন এর উদাহরণ এরকম যে আসমান থেকে জমিন পর্যন্ত সরিষার দানা দিয়ে ভরে দিলে সেই দানা পাখিরা এক বছর পর পর একটা করে নিতে থাকলে একদিন শেষ হয়ে যাবে।
> শুধু বেঁচে থাকাই মানুষের জীবনের সার্থকতা নয়, সার্থকতা লুকিয়ে আছে বেঁচে থাকার অর্থপূর্ণ কারণ খুঁজে পাওয়ার মাঝে।
ফিওদর দয়োভস্কি (বিশ্বখ্যাত রাশিয়ান লেখক)
> জীবনের লক্ষ্য না থাকার সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হল, তুমি সারা জীবন মাঠের ভেতরে দৌড়েও গোল দিতে পারবে না।
বিল কোপল্যান্ড (বিখ্যাত লেখক ও ইতিহাসবিদ)
> ক্ষণস্থায়ী জীবন তোমরা এমন ভাবে চালাও চিরস্থায়ী জীবনের জন্য সফল কামিয়াবি বানাও।
কেউ যদি ক্ষণস্থায়ী জীবন কে অতি আপন মনে করে তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে কষ্টের বোঝাটা বেশি হবে।
“সাফল্য হল সফলতার সাথে নিজের ঠিক করা লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা”। আর্ল নাইটেঙ্গেল
এই উক্তিতে বলতে চাওয়া হয়েছে যে, যেকোনো কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে আগের লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে এবং সেই লক্ষ্য ঠিক রেখে লক্ষ্য অর্জনের জন্য যে কর্ম করতে হবে সেটি করলেই অবশ্যই লক্ষ্য অর্জন বাস্তবায়িত হবে। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সেই কাজের সঙ্গে লেগে থাকতে হবে। তাই জীবনটা অনেক ছোট কর্ম অনেক বড় এজন্য আমাদের সবসময় কর্মের উদ্দেশ্যে কাজ করে যেতে হবে সফলতার উদ্দেশ্যে কাজ করে যেতে হবে। এ ধরনের আরও উক্তি যেগুলো রয়েছে সেই উক্তিগুলো এখন আপনারা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন বা দেখতে থাকেন।