গান বাজনা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে কি ধরনের ব্যাখ্যা রয়েছে তা যদি জানতে চান তাহলে এখানকার এই তথ্যগুলো কাজে লাগাতে পারেন। আমাদের ভিতরে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই গান বাজনার ভেতর দিয়ে প্রত্যেকটা কাজ শুরু করেন এবং ঘুমানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত গান শুনে থাকেন। আবার কিছু কিছু মানুষ রয়েছেন যারা গান ছেড়ে দিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে থাকেন। তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গান-বাজনা বিষয়ে ইসলাম কি বলে অথবা এটা আসলেই হারাম কেন সে প্রসঙ্গে জানতে হলে আপনাদেরকে পুরো পোস্ট পড়তে হবে।
ইসলামিক ধর্ম অনুযায়ী গান-বাজনার ব্যাপারে পুরোপুরি ভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে। আপনারা যদি প্রসঙ্গে কোন হাদিস সম্পর্কে জানতে চান অথবা কোন ধরনের বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে চান তাহলে এক্ষেত্রে অনেক অকাট্য দলিল আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা কোন ব্যাপার নয়। অর্থাৎ দলিলের ভিত্তিতে আপনাদের সামনে প্রমাণ করাই যাবে যে গান বাজনা হারাম এবং যদি আমরা সাধারণ দৃষ্টিকোণ থেকে ভাবার চেষ্টা করি অথবা এটা নিয়ে যদি একটু বিশ্লেষণ করি তাহলে আসল উত্তর বেরিয়ে যাবে।
ইসলাম একটা শান্তির ধর্ম এবং এই শান্তির ধর্মে যদি আপনি নিজের জীবনকে একবার নিয়ে আসতে পারেন তাহলে দেখবেন যে এখানে যে অফুরন্ত শান্তি লুকিয়ে রয়েছে তা আপনি পৃথিবীর কোন কিছুর মাঝে খুঁজে পাবেন না। প্রচন্ড মন খারাপের দিনে যদি আপনার মনের ভেতরে অশান্তি বিরাজ করে এবং আপনি যদি মনে করেন কোন একটা ঠান্ডা গান অথবা রবীন্দ্র সংগীত শুনে মনের ভেতরের দুঃখ কষ্ট গুলো দূর করব তাহলে বলব আপনি ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছেন।
কারণ গান বাজনা সংক্রান্ত যে বিষয়গুলো উঠে আসে সেগুলোতে যে লিরিক বা কথাগুলো ব্যবহার করা হয় সেগুলো আমাদের জীবনের জন্য ভালো নয়। তাছাড়া গান-বাজনা যে সকল ইন্সট্রুমেন্ট ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেগুলো আমাদের মস্তিষ্কে এক ধরনের প্রভাব ফেলে এবং এটা ফেলার কারণে আমাদের নফস আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যায়। গান বাজনা তখন আপনার নেশা বা শক্তিতে পরিণত হয় এবং গান ছাড়া কোন কিছু ভাল লাগেনা। আপনার যদি খুব বেশি গান শুনতে মন চায় তাহলে ইসলামিক গান শুনতে পারেন এবং ইসলামিক গান সেটাই শুনতে হবে যেখানে কোন ইন্সট্রুমেন্ট বা মিউজিক ব্যবহার করা হয়নি।
গান বাজনা হারাম সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
গান-বাজনা হারাম সম্পর্কে যদি কোরআনের আয়াতের অকাট্য দলিল পেতে চান তাহলে সেটাও আপনাদেরকে আমরা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে কোরআন শরীফে কিছু কিছু বিষয়ে এমনভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে যেটা আমাদের জীবনে কোনভাবেই স্পর্শ করা উচিত নয়। তাছাড়া এটাও আমরা জানতে পেরেছি যে গান বাজনা আমাদের এমনভাবে শুনতে হবে ঠিক যতটা আমরা কানের ভেতরে গরম সীসা সহ্য করতে পারব।
গান-বাজনা হারাম হওয়ার দলিল
তাই কানের ভেতরে আমরা কতটুকু সহ্য করতে পারব সেটার উপরে নির্ভর করে গান বাজনা শুনতে বলা হয়েছে মানে পুরোপুরি ভাবে তা আমাদের জন্য নিষেধ করা হয়েছে। তাই আপনার যদি প্রচন্ড মন খারাপ হয় অথবা আপনি যদি কোন কিছুতেই শান্তি না পেয়ে থাকেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে দুরুদ শরীফ আমল করতে থাকুন। আপনি যখন এই দরুদ শরীফের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে পারবেন তখন আমল করতে করতে আপনার অন্তরে প্রশান্তির ছায়া নেমে আসবে এবং আপনি মনে করতে পারবেন আপনার চেয়ে সুখী মানুষ আর কেউ নেই।
গান-বাজনার ভয়াবহ পরিণতি
গান-বাজনা যদি শোনেন তাহলে সেটা ইসলামের পরিপন্থী বিষয় হয়ে যায় এবং সেই ভাবে আপনাকে শাস্তি পেতে হবে। তাই কানের ভেতরে যদি মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে গরম সীসা না নিতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে এ সকল বিষয় থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পবিত্র কুরআনের চাইতে সুর করে পড়ার মতো আর অন্য কিছু হতে পারে না এবং এই ক্ষেত্রে অবসর সময় পেলেই বিভিন্ন ধরনের তেলওয়াত আপনারা শুনে নিজেদের অন্তরকে প্রশান্তিতে ভরিয়ে তুলতে পারেন।