কোন কারনে যদি গলার স্বর ভেঙ্গে যায় তাহলে সেই গলার স্বর ভাঙ্গার ঔষধ হিসেবে কি ব্যবহার করা যেতে পারে তা অনেকেই জানতে চান। যেহেতু গলার মাধ্যমে আপনি আপনার বাকযন্ত্র ব্যবহার করে কথা বলছেন অথবা আপনার কথা যখন অন্য কেউ শুনে সে অনুযায়ী আপনার সঙ্গে জরুরী কাজ সম্পন্ন করতে পারছে তখন অবশ্যই আপনার গলা ঠিকঠাক মত থাকতে হবে। সাধারণত আপনার কাজ যদি পাবলিকের সাথে হয়ে থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি আস্তে করে কথা বলেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে সেই কাজ হয় না।
তাই গলার স্বর ভালো রাখাটা অত্যন্ত জরুরি এবং আপনার গলার সহ যদি ভেঙে যায় তাহলে সেখানে যেমন ব্যথা অনুভূত হয় তেমনি ভাবে কথা বলতে না পারার কারণে দৈনন্দিন জীবনে ঠিকঠাক মতো কনভারসেশন করতে পারেন না। তাই কারো যদি গলা ভেঙে যায় এবং সেটার যদি ওষুধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনারা এগুলো করবেন। সাধারণত ডাক্তারের কাছে গেলে আপনাকে ওষুধ ধরিয়ে দেয়া হবে এবং প্রত্যেকটা ওষুধেরই কমবেশি সাইড ইফেক্ট আছে বলে সেটা আপনার শরীরে পরবর্তীতে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
হঠাৎ করে কোথাও জার্নি করার কারণে অথবা হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার কারণে গলায় এসে ঠান্ডা বাতাস বসার কারণে গলা ভেঙে যায় এবং গলা বসে যাই। তাই এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা যেখানে জার্নি করুন না কেন প্রয়োজনীয় কাপড়-চোপড় নিয়ে যেতে হবে কারণ সেখানকার আবহাওয়া কি রকম তা আপনি হয়তো খুব একটা অবগত নই। এভাবে আপনারা যে কোন জার্নির ক্ষেত্রে অথবা আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে আশা করি গলাভাঙ্গা অথবা অন্য কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
তারপরও যদি কোন কারনে তা হয়ে যায় তাহলে গলা ভাঙ্গার ওষুধ হিসেবে আপনারা সরাসরি ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে গলার সমস্যার পাশাপাশি জ্বর অথবা হাচি অথবা অন্য কোন সমস্যা রয়েছে কিনা সেগুলো খুলে বলুন। গলার স্বর ভালো করার জন্য আপনাদেরকে ওষুধ প্রদান করলেও তার সঙ্গে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি ঠিকঠাকমতো গলা ভাঙ্গা ওষুধ খেলেন আবার ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খেলেন তাহলে এক্ষেত্রে কোনো উপকার পাবেন না। তাই আপনাদেরকে অবশ্যই গলা ভাঙ্গার ঔষধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা চালাতে হবে যাতে করে খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে নিরাময় পান।
গলা ভাঙ্গা দূর করার ঔষধ
গলাখানা দূর করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে এবং সেখান থেকে আপনারা আশা করি সকল ধরনের সেবা পেয়ে যাবেন। তবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনারা অবশ্যই কুসুম গরম পানি সবসময় খাবার চেষ্টা করবেন এবং গরম পানিতে কিছু লবণ ছেড়ে দিয়ে সেটা ভালোমতো মিক্সড করে গড়গড়া করবেন। এভাবে যদি সারা দিনে আপনারা ৫-৬ বার গড়গড়া করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত গলা ব্যথার ক্ষেত্রে উপশম পাবেন। আবার একটি পাত্রে গরম পানি খুব সুন্দর ভাবে লবঙ্গ তেজপাতা আদা মিশ্রণ করে ফুটিয়ে নিলে সেই পানির ধোয়া যদি গলা দিয়ে এবং নাক দিয়ে টেনে নিতে পারেন তাহলে খুবই ভালো হয়।
গলা ভাঙ্গা দূর করার হোমিও ওষুধ
গলা ভাঙ্গা দূর করার জন্য যারা হোমিওপ্যাথি ওষুধে বিশ্বাস করেন অথবা হোমিওপ্যাথি ওষুধ যাদের শরীরে খুবই কাজ করে তারা অবশ্যই ডাক্তারের দোকানে আপনাকে এ বিষয়ে সাহায্য করবে। তবে এটা সত্য যে হোমিওপ্যাথি ওষুধের নাম ডাক্তারেরা সেভাবে কাউকে জানায় না। অর্থাৎ তাদের থেকে আপনি নাম জেনে নিয়ে যে অন্য কোথাও বলা ভাঙ্গার ওষুধ নিবেন তা হয় না এবং এক্ষেত্রে সরাসরি ডাক্তারের কাছে সমস্যার কথা খুলে বলে তারা যে ওষুধ প্রদান করবে সেটা গ্রহণ করতে হবে।
গলার স্বর বসে যাওয়ায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
গলার স্বর বসে যাওয়ার ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিতে চাইলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনারা উপরের উল্লেখিত নিয়ম গুলো সর্বপ্রথম মেনে চলুন। এগুলো কয়েকদিন মেনে চলতে পারলে আশা করি আপনারা খুব ভালো ফলাফল পাবেন এবং আপনাদের গলার স্বর ভালো হয়ে যাবে। তাই দৈনন্দিন জীবনের সুস্থতা অবলম্বন করার জন্য সকল ধরনের স্বাস্থ্যগত বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে।