আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম ২০২৪

ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আপনাদের জানাবো। যদি কেউ মনে করে ভোটার আইডি কার্ড বাতিল করবে সেটা সম্ভব কিনা এটা অনেকেই জানে না। প্রতিটি জিনিসের একটি নির্যাতন নিয়ম আছে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো কোন কিছু করবেন এটা কখনোই সম্ভব নয়। জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা ভোটার আইডি কার্ড নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনের অধীনে সাধারণত এই সম্পূর্ণ কার্যকলাপ পরিচালিত হয়। এখানে যদি কেউ মনে করে নিজের ভোটার আইডি কার্ডে যে তথ্যগুলো দেওয়া আছে সে তথ্যগুলো সম্পূর্ণ পরিবর্তন করবে তাহলে করতে পারবে। তবে যত বেশি তত পরিবর্তন করবে তত বেশি খরচ হবে এবং ততই সময় লাগবে।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে তো আবেদনকারীকে সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে উপস্থিত হয়ে সেখানে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হবে আবেদন পত্র। যাচাই-বাছাইয়ের সময় যদি কোন ধরনের সমস্যা হয় তাহলে সেটা জমা হবে না ঠিকঠাকভাবে তাই অবশ্যই এই কাজটি খুব সতর্কতার সঙ্গে করতে হবে। তবে যদি কেউ মনে করে তার এনআইডি কার্ডের সকল তথ্য সম্পূর্ণ বাতিল করবে তাহলে সেটা কখনোই সম্ভব নয়। নিজের এনআইডি কার্ডের সম্পূর্ণ তথ্য বাতিল করার জন্য অবশ্যই আপনাকে আবেদন করতে হবে কিন্তু এ আবেদন কখনোই মঞ্জুর হবে না এবং আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোন তথ্য পাইনি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে এনআইডি কার্ডের সকল তথ্য মুছে দেওয়া যায় বা বাতিল করা যায়।

এনআইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে

ভোটার আইডি কার্ড পাওয়ার সময় নির্ধারিত নয় অর্থাৎ কারো কারো ক্ষেত্রে এক বছর আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ১০ বছরও লাগতে পারে ভোটার আইডি কার্ড পেতে। তবে বর্তমানে যদি সঠিকভাবে ভোটার আইডি কার্ড রেজিস্ট্রেশন করা হয় তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এনআইডি কার্ড পাওয়া সম্ভব এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুই মাসের মধ্যেই যে কেউ তার নিজের এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে। খুব দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড পেতে হলে সঠিক কাগজপত্র দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন যদি সঠিকভাবে হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন অফিসে উপস্থিত হয়ে নিজের সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের বায়োমেট্রিকস সকল তথ্য সেখানে দিয়ে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।

এই রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার 15 থেকে 21 দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সকল তথ্য যাচাই-বাছাই এবং সেটা অনলাইনে ইনপুট করবে এবং আবেদনকারীর ফোন নাম্বারে একটি এসএমএস পাঠাবে। এসএমএস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেই ব্যক্তি অনলাইনে আবেদন করতে পারে তার ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য এবং এই আবেদন করার সাত দিনে থেকে এক মাসের মধ্যে একটি এসএমএস আসবে যেখান থেকে কনফার্মেশন পাওয়া যাবে যে এন আইডি কার্ড ডাউনলোড করা সম্ভব।

এটা পাওয়ার পরে অনলাইনে মাধ্যমে আপনি অনলাইন এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন সেটা হুবহু আসল এনআইডি কার্ড এর মতন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে এখানে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করার নির্ধারিত তারিখ আছে সেই তারিখের পরে পুনরায় এনআইডি কার্ড আপনাকে ডাউনলোড করতে হবে অথবা নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে সেটা সংগ্রহ করতে হবে।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত টাকা লাগে

যাদের ভোটার আইডি কার্ডে কোন ধরনের ভুল তথ্য থাকে তাদের অবশ্যই জানতে হবে সেই তথ্য সংশোধন করতে কত টাকা লাগে। আমরা অফিসিয়াল সার্ভারের মাধ্যমে যতটুকু জানতে পেরেছি যদি নিজস্ব কোন তথ্য সেখানে পরিবর্তন করতে হয় তাহলে ২৪০ টাকা খরচ হবে যদি অন্যান্য কোন তথ্য সংশোধন করতে হয় সেই ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা এবং উভয় সমস্যার সংশোধন করতে হলে সে ক্ষেত্রে টোটাল ৩৪৫ টাকা খরচ হবে এনআইডি কার্ড সংশোধনের জন্য।

 

 

 

Leave a Comment