ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

যাদের নতুন আইডি কার্ড হয়েছে তারা চাইলেই এই আইডি কার্ড চেক করে নিতে পারেন। নতুন আইডি কার্ড কিভাবে চেক করবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকছে আমাদের এই ছোট্ট প্রতিবেদনে তাই আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকে দেখে নিতে পারেন আপনার কাছে থাকা স্লিপ নাম্বার দিয়ে কিভাবে আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নিতে পারেন। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার করতে চাই সেটা হচ্ছে আমরা যে পদ্ধতি আপনাদের দেখাবো সেই একই পদ্ধতিতে আপনারা নতুন অথবা পুরাতন ভোটার আইডি কার্ড চেক করে নিতে পারেন। ভোটার আইডি কার্ড চেক করার অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেটা যাদের সমস্যা হয় তারাই ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারে।

সাধারণত ভোটার আইডি কার্ড চেক করার জন্য সবার প্রথমে যে কাজটা আপনাদের করতে হবে সেটা হচ্ছে কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। এটা চেক করার প্রয়োজনীয়তা অনেকের পড়তে পারে যেমন মনে করুন যাদের ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজন কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ড সম্পন্ন হয়নি তারা চেক করে সেখান থেকে সেটা ডাউনলোড করে নিতে পারেন। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও এটা সত্যি যে ভোটার আইডি কার্ডে প্রচুর ভুল থাকে তাই আপনি যদি সেটা আগে থেকে চেক করে নেন এবং সংশোধনের জন্য আবেদন করে ফেলেন তাহলে আপনার হাতে আসা যে ভোটার আইডি কার্ড আছে সেটা খুব সুন্দর ভাবে এবং কোন ধরনের ভুল ছাড়া আপনি আপনার হাতে পেতে পারেন। চলুন নিচের অংশ থেকে জানার চেষ্টা করে কিভাবে ভোটার আইডি কার্ড আপনি চেক করবেন একবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত।

ফরম নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করার নিয়ম

ফোন নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড চেক করার নিয়ম যদি সংক্ষিপ্ত আকারেও বলতে হয় তাহলে আপনাদের আমরা সেই সংক্ষিপ্ত আকারে জিনিসটা বোঝানোর চেষ্টা করব। এখানে পাশ থেকে ছয়টি ধাপ আছে তবে সঠিকভাবে বুঝতে হবে পাঁচ থেকে ছয়টি ধাপ তারপরে আস্তে আস্তে প্রত্যেকটির ধাপ সঠিকভাবে পূরণ করলে আপনি আপনার নিজের ভোটার আইডি কার্ড চেক করে দিতে পারবেন।

১. সবার প্রথমে যে কাজটি আপনি করতে পারেন সেটা হচ্ছে আপনার ফোন অথবা ল্যাপটপ অথবা যেকোন ডিজিটাল ডিভাইস থেকে একটি ব্রাউজার ওপেন করতে পারেন এবং সেখানে এনআইডির ওয়েবসাইট অর্থাৎ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আপনাকে প্রবেশ করতে হবে । google.com এই লিংক এর মাধ্যমে আপনারা সরাসরি বাংলাদেশের এনআইডি ওয়েবসাইটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারেন।

২. দ্বিতীয় ধাপে সবার প্রথমে আপনাকে সেখানে ঢুকে প্রবেশ করে রেজিস্ট্রেশন অথবা লগইন করতে হবে । যারা আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে রেখেছে তারা শুধুমাত্র ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করবেন। তবে যারা আগে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করেননি তাদের ফর্ম নাম্বার দিয়ে এখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং রেজিস্ট্রেশন করার সময় একটি মোবাইল নাম্বারের প্রয়োজন পড়বে যেখানে একটি কোড যাবে যে কোড কনফার্ম করে ভেরিফিকেশন কমপ্লিট করতে হবে।

রেজিস্ট্রেশন এর প্রক্রিয়াটা একটু বড় তাই এক্ষেত্রে যিনি আবেদন করবেন বা যার এনআইডি কার্ড তাকে অবশ্যই উপস্থিত হতে হবে তার কারণ হচ্ছে এনআইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের সময় ফেস ভেরিফিকেশন হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে পরবর্তী ধাপে আপনাকে যেতে হবে।

৩. এরপর পরবর্তী ধাপে ক্যাপচা পূরণ করতে হবে এবং সেটা সাবমিট করতে হবে। এই পদ্ধতিতে সেখানে সঠিকভাবে আপনাকে ক্যাপচার টা পূরণ করে সাবমিট করতে হবে এবং অপেক্ষা করতে হবে পরবর্তী ইন্টারফেস আসার জন্য।

৪. এ পর্যায়ে আপনাকে এন আই ডি কার্ডের ঠিকানা সিলেট করতে হবে অর্থাৎ আপনি যে ঠিকানা দিয়েছিলেন সেখানে ঠিকানা সিলেট করতে হবে।

৫. সবার শেষে আবেদনকারীর শেষ ভেরিফিকেশন অপশন আসবে যেখানে খুব সুন্দরভাবে চেহারা ভেরিফিকেশন করতে হবে এক্ষেত্রে দুইটা তিনটা ধাপের চেহারা ভেরিফিকেশন কমপ্লিট হলেই আপনি সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।

৬. রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে সেখানে আপনি আপনার প্রোফাইলে প্রবেশ করতে পারেন এবং প্রোফাইলে থাকা প্রত্যেকটি অপশন ওপেন করে বারবার দেখে নিতে পারেন এবং চেক করে নিতে পারেন সেখানে কোন ধরনের ভুল আছে কিনা।

 

 

Leave a Comment