বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থায় লাইসেন্সবিহীন অনেক যানবাহন চলছে। এর জন্য প্রতিনিয়ত স্বরূপ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। বাংলাদেশ সড়ক বিভাগ কর্তৃক সকল অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স গুলোকে , লিগাল লাইসেন্সের রূপান্তরিত করতে হবে। অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনেক বিনা প্রশিক্ষণহীন ড্রাইভাররা রাস্তায় দ্রুত গাড়ি চালায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার শর্তেও বেপরোয়া ভাবে উচ্চগতি সম্পন্ন গাড়ি চালায়।
এতে প্রাণ হারায় সাধারণ জনগণরা। আজকে আর্টিকেলে আমরা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ টপিক নিয়ে আলোচনা করতে চলেছি। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হবার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় এবং কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয় সবকিছু আমরা আপনাদের জানাবো। প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আপনাদের প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছানোই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সব সময় আমাদের পাশে থাকবেন এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের আর্টিকেল থেকে সকল ধরনের ইনফরমেশন পেয়ে যাবেন।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে কিভাবে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া যায় সেজন্য কি করতে হয় সবগুলো আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব। গুরুত্বপূর্ণ এই টপিকের ওপর ইনফরমেশন নেওয়ার আগে মনোযোগী হতে হবে।আবেদনকারীকে ন্যূনতম ৮ম শ্রেণি পাস হতে হবে। অপেশাদার লাইসেন্সের জন্য ১৮ বছর এবং পেশাদার লাইসেন্সের জন্য ২১ বছর হতে হবে। আবেদনকারীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। গ্রাহককে প্রথমে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
প্রতিদিনই যানবাহনে চড়তে হচ্ছে আমাদের। বাস, কার কিংবা মোটরসাইকেল। তবে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে ফেললে আপনি সেই যানবাহনটি চালাতে বা ড্রাইভ করতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া আপনার কোনও বাহন ড্রাইভ করা বেআইনি গণ্য হবে।তাই এখন জেনে নেওয়া যাক সহজেই ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে যা যা লাগে, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানানোর সহজ উপায়, ২০২২ এ ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরির নিয়ম, ড্রাইভিং লাইসেন্স বানাতে খরচ ও ফী কতো লাগে, ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন প্রক্রিয়াসহ ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিস্তারিত তথ্য। এছাড়াও সবশেষে আছে ড্রাইভিং লাইসেন্স হারিয়ে গেলে পুনরায় পাওয়ার উপায়।
“লাইসেন্স” অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি অভিজ্ঞতা যা কোন নির্দিষ্ট কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করে কর্তৃপক্ষ অনুমতি প্রদান করে দলিল প্রদান করেন তাকে লাইসেন্স বলে।
আমাদের যারা ড্রাইভার বন্ধু রয়েছে তাদের এই বেসিক কিছু তথ্য জানা প্রয়োজন। ড্রাইভিং লাইসেন্স সম্পর্কিত বাংলাদেশ সড়ক বিভাগ কর্তৃক কিছু সাধারণ তথ্য এবার আমরা জেনে নিই।“ড্রাইভিং লাইসেন্স” অর্থ নির্দিষ্ট কোন একটি মোটরযান যা কোন নির্দিষ্ট শ্রেণীর মোটরযান চালানোর জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কর্তৃত্ব প্রদান করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) দ্বারা প্রদত্ত দলিলকে ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স রূপান্তর করা আমাদের প্রত্যেক নাগরিক কর্তব্য। একজন নাগরিক হিসেবে আস্থার সকল নিয়মকানুন মেনে চলা আমাদের কর্তব্য। ট্রাফিক পুলিশ এবং ট্রাফিক রুলস গুলো ফলো করতে হবে।পেশাদার-অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের পূর্বশর্ত হলো লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স।
প্রথমে আপনাকে লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। আপনার স্থায়ী ঠিকানা বা বর্তমান ঠিকানা (প্রয়োজনীয় প্রমাণাদিসহ) বিআরটি-এর যে সার্কেলের আওতাভূক্ত আপনাকে সেই সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে।সার্কেল অফিস কর্তৃপক্ষ আপনাকে একটি শিক্ষানবিস বা লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবে যা দিয়ে আপনি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
পেশাদার এবং অপেশাদার অর্থাৎ legal driving licence খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর legal driving licence দেওয়া হয়। নিয়ম কারণ মেনে driving licence সকলের জন্য নির্ধারিত। কিন্তু লাইসেন্সের জন্য অবশ্যই যোগ্য হতে হবে। ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর আপনাকে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট-এ অংশ গ্রহণ করতে হবে।
এসময় আপনার লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স (মূল কপি) সাথে আনতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য বয়স ন্যূনতম ২০ বছর এবং অপেশাদার এর জন্য ন্যূনতম ১৮ বছর হতে হবে। আশা করি আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে যাবেন আমাদের এই আর্টিকেল থেকে।