যখন অন্যের উপস্থিতিতে আমরা কোন কিছু বলে থাকবো তখন সেটাকে গীবত বলা হয়ে থাকে না। কিন্তু কোন একজন ব্যক্তি সেখানে অনুপস্থিত এবং তার বিরুদ্ধে আমরা যখন কোন কথা বলবো অন্য কারো সাথে তখন সেটাকে গীবত হিসেবে ধরা হবে। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা গীবত করে থাকেন অথবা আমরাও বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্য মানুষের দোষ গুণ নিয়ে কথা বলতে শুরু করি। তাই গীবত নিয়ে বেশ কিছু উক্তি আপনাদের প্রদান করা হলো যাতে করে নিজেদের ভেতরে সংশোধন চলে আসে অথবা এগুলো পড়ার মাধ্যমে না মানুষজন যেন নিজেকে শুধরাতে পারে।
গীবত অত্যন্ত ঘৃণিত একটা কাজ এবং এটার মাধ্যমে একজন মানুষের সঙ্গে আরেকজন মানুষের সম্পর্ক নষ্ট হয়। অর্থাৎ এটার মাধ্যমে আপনি যখন একজন মানুষের দোষ গুণগুলো অন্য মানুষের কাছে উপস্থাপন করবেন তখন সেটা খুবই খারাপ দেখাবে। কেউ আপনার সামনে উপস্থিত নেই এবং তার বিষয়ে আপনি একটা খারাপ কথা বলে ফেললেন অথবা তার জীবনে ঘটে যাওয়া কোন একটা ঘটনা আপনারা বানিয়ে বানিয়ে বাড়িয়ে বললেন তাহলে সেটা নিশ্চিন্তে গীবত করা হচ্ছে।
তবে অন্য কোন ব্যক্তির উপস্থিতিতে যদি আপনারা সুনাম করতে পারেন অথবা অনুপস্থিতিতে সুনাম করতে পারেন তাহলে সেটা গীবত বলে বিবেচিত হবে না। গীবত তখনই হবে যখন তার দোষ গুণগুলো আপনারা তুলে ধরবেন। অন্য কোন ব্যক্তির দোষ গুণগুলো তুলে ধরার চাইতে যদি সেই ব্যক্তিকে সরাসরি গিয়ে আপনারা তার সংশোধন করার জন্য অফার করেন অথবা সংশোধন করার জন্য জানিয়ে দিতে পারেন তাহলে সেটা খুব ভালো হয়। তাই একজন মানুষ হিসেবে যখন অন্য মানুষের দোষ গুণগুলো তুলে ধরব তখন দেখা যাবে যে আমাদের দোষ গুলো কোন না কোন জায়গায় উঠে আসবে।
কারণ আমরা মানুষ এবং মানুষের জীবনে ভুল ভ্রান্তি রয়েছে এবং আপনি যেভাবে ঠিক অন্যের ভুল ভ্রান্তি করে তুলে ধরছেন তেমনি ভাবে আপনার দোষ গুণগুলো অন্যের কাছে হয়তো এভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে। তাই এটা অত্যন্ত বদভ্যাস এবং এই অভ্যাস থেকে আমরা যদি বেরিয়ে এসে কোন সমস্যা হয়ে থাকলে সরাসরি সেই ব্যক্তিকে বলতে পারে তাহলে সেটা সবচেয়ে উত্তম সমাধান হবে। আর যদি বলতে না পারি তাহলে সে ক্ষেত্রে চুপ থাকাটা জরুরী।
গীবত নিয়ে ইসলামিক উক্তি
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী গীবত করা আর মৃত ভাইয়ের মাংস খাওয়ার মত জঘন্য কাজ প্রায় একই সমান। আপনার ইসলামিক ইবাদত পরিপূর্ণ হবে না যদি আপনি গীবত করে থাকেন। তাই ইসলামিক দিন মেনে চলার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদেরকে সঠিক পথে চলতে হবে এবং সকল ধরনের পাপ কাজ থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে। এই গীবতের অভ্যাস যদি থেকে থাকে তাহলে সেটা পরিবর্তন করার জন্য আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে বেশ কিছু ইসলামিক উক্তি প্রদান করলাম। এই উক্তি পড়ে নেওয়ার মাধ্যমে অথবা অন্যের মাঝে শেয়ার করার মাধ্যমে সকলকে আমরা সচেতন করতে পারি।
গীবত নিয়ে কিছু কথা
ইসলামিক উক্তি পড়া ছাড়াও আপনারা যদি গীবত নিয়ে কিছু কথা বলে থাকেন তাহলে বলব যে এটা সামাজিক এবং মানসিক শান্তি বিনষ্ট করে। অন্যের দোষ ত্রুটি গুলি যদি আমরা লুকোতে পারি তাহলে আমাদের দোষত্রুটিও কোন না কোন ভাবে অন্যের কাছে লুকায়িত হবে। তাই একজন সভ্য মানুষ হিসেবে এবং ধর্মীয় প্রাণ মানুষ হিসেবে এটা কখনোই করা উচিত নয় এবং গীবত করার মাধ্যমে আমরা পাপের ভাগীদার হয়ে যাব।
গীবত নিয়ে স্ট্যাটাস
আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক মানুষ রয়েছে বলে আমরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যদি গীবত নিয়ে স্ট্যাটাস প্রদান করতে পারি তাহলে অনেক মানুষের বোধ বুদ্ধি হয়তো জাগ্রত হবে। আর সেই ভিত্তিতে তখন মানুষজন নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারবে অথবা বাস্তবে জীবনে শিক্ষার মাধ্যমে তারা নিজেদের পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারবে। তাই যেহেতু গীবত নিয়ে স্ট্যাটাস আপনারা এখান থেকে সংগ্রহ করলেন সেহেতু সেটা পোস্ট করেন এবং সকলকে পড়ার সুযোগ করে দিয়ে সংশোধন করার চেষ্টা করুন।