শহীদ মিনার নিয়ে কথা বলতে গেলে আমাদের প্রথমে ১৯৫২ সালে কে ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগের কথা স্বীকার করতে হবে। ১৯৭২ ১৯৫২ সালের সেই ভাষা আন্দোলনের কারণে আমরা আজ একটি স্বাধীন শহীদ মিনার পেয়ে ছি আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব কিভাবে আপনারা শহীদ মিনার অনুচ্ছেদটি লিখতে পারেন। যেকোনো একটি আদ্র ত্যাগের ইতিহাস গড়ে তুলতে চাইলে সেটি সবার মনে রাখার জন্য একটি স্মৃতিস্তম্ভ বা কোন কিছু তৈরি করে রেখে সেইটাকে পালন করে থাকি।
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যে ছাত্র জনতা ও সাধারণ মানুষ জীবন দিয়ে ছিল ভাষার জন্য তাদের স্মরণে কেন্দ্রীয় এই শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছে। এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি তৈরি করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাঙ্গনে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের ওপর পাকিস্তানী পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায় সেই দিন অনেক মানুষ সেখানে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবরণকারী সেই সকল ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে ২৩ শে ফেব্রুয়ারির ঢাকাই মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা এই স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করে পরবর্তী সেখানে একটি শহীদ মিনার করা হয়।
শহীদ মিনারটি ছিল ১০ ফুট উঁচু এবং ৬ ফুট চওড়া। নকশা করেছিলেন বদরুল আলম, সঙ্গে ছিলেন সাঈদ হায়দার। শহীদ মিনার তৈরির কাজ তদারকি করেন জিএস শরফুদ্দিন। দুজন রাজমিস্ত্রীর সাহায্যে মিনারটি নির্মাণ করেন তারা।২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাষাশহীদ শফিউরের বাবা অনানুষ্ঠানিকভাবে এই শহীদ মিনারটির উদ্বোধন করেন। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন আবুল কালাম শামসুদ্দিন। কিন্তু সেদিনই পুলিশ শহীদ মিনারটি ভেঙে দেয়। বর্তমানে যে শহীদ মিনারটি আমরা দেখতে পাই তার ভিত্তি স্থাপন করেন ১৯৫৬ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। এই শহীদ মিনারের স্থপতি হচ্ছেন হামিদুর রহমান।
১৯৫৭ সালে হামিদুর রহমানের তত্ত্বাবধানে চূড়ান্ত নকশা তৈরি করে শহীদ মিনারের নির্মাণ কাজ নতুন করে শুরু করা হয়। এরপর ১৯৬৩ সালে একুশে ফেব্রুয়ারি আবার বরকতের মা হাসিনা উদ্বোধন করেন। এইভাবে আমরা একটি শহীদ মিনার পেয়েছি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মৃত্যুবরণ কারী সকল শহীদদের স্মরণে। তারপর থেকে মেডিকেল প্রাঙ্গনে খুব গর্বের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে শহীদ মিনারটি যা বাঙালি জাতির জন্য, ও শহীদদের জন্য অনেক বড় একটি আন্দোলনের ইতিহাস। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি অনেক ছাত্র জনতা মৃত্যুবরণ করার কারণে এই দিনটিকে অনেক শ্রদ্ধার সাথে বাঙালি জাতিরা পালন করে থাকে।
মৃত্যুবরণ করার কারণে এই দিনটিকে আমরা শোক দিবস হিসেবে পালন করে থাকি, স্মরণ করা হয়, সকল প্রতিষ্ঠান সেদিন সরকারি ছুটি দেয়া হয়ে থাকে। সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র চাকরিজীবী সরকারি চাকরিজীবী সবাই সে দিনটিকে অনেক শ্রদ্ধার সাথে পালন করে থাকে। প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আসলে শহীদ মিনার গুলো অনেক সুন্দর করে সাজানো হয় নতুন রং করে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে রাখা হয়। তবে বর্তমান সময়ে শহীদদের প্রতি আর কোন মানুষের তেমন কোন শ্রদ্ধাবোধ বা ভালবাসা নেই। এখন একুশে ফেব্রুয়ারি 16 ডিসেম্বর বা অন্যান্য ডিভোর্সগুলো আসলে আমরা নিচে গিয়ে এই দিনগুলো উদযাপন করি। কিন্তু বেশ কিছু বছর আগেও এই দিন আমরা অনেক শ্রদ্ধার সহিত পালন করতাম। আস্তে আস্তে এই দিনগুলো হারিয়ে যাবে বাঙালি ইতিহাস থেকে।
আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোটে দেওয়া সেই মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে তোমাদের জানানোর চেষ্টা করেছি তোমরা শহীদ মিনার সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা পেয়ে গেছো। পরীক্ষার খাতায় যদি তোমাদের শহীদ মিনার সম্পর্কে অনুচ্ছেদ এসে থাকে তাহলে তোমরা খুব সহজেই আমাদের আবেগে দেওয়া এই কথাগুলো লিখে দিতে পারো। আশা করি আমাদের আর্টিকেল তাহলে তোমরা ভালো মার্ক পাবে পরীক্ষার খাতায়।