প্রচন্ড গলা ব্যথার সঙ্গে যাদের কাছের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে ওষুধ সেবন করবেন। গলা ব্যাথার সমস্যা গুলো ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান করা গেল কাশির সমস্যার সমাধান করতে একটু সময় লাগে যা আমাদের কাছে অনেক সময় ধৈর্য ধরা সম্ভব হয় না। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে যারা গলা ব্যথা ও কাশির ঔষধ সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা তথ্য আলোচনা করতে চলেছি। অর্থাৎ গলা ব্যথা এবং কাশির ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিতে পারলে সে অনুযায়ী আপনারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন এবং প্রতিকার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবেন।
ঠান্ডা জনিত আবহাওয়ার কারণে অথবা আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় আমাদের গলা ব্যথা হয় এবং কাশিতে রূপান্তরিত হয়। তাই আপনার যদি গলা ব্যথার সমস্যা বেশি হয়ে থাকে এবং আপনি যদি এটা সহ্য করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তবে গলা ব্যথা যদি প্রাথমিক পর্যায়ে থেকে থাকে অথবা এটা যদি আপনি সহ্য করতে পারেন তাহলে ঘরে বসে নিয়মিতভাবে আপনাকে পানি দিয়ে কুলকুচি করতে হবে অথবা গড়গড়া করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই যেন সেই পানি গরম হয়ে থাকে এবং কুসুম গরম পানির মধ্যে যদি লবণ দিতে পারেন তাহলে সবচাইতে ভালো হবে।
বিশেষ করে গলা ব্যথার কারণে আমরা অনেকেই কথা বলতে পারি না এবং এই জন্য আমাদের গলার যত্ন নেওয়া উচিত। ঘরোয়া পদ্ধতিতে গলা ব্যথা বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে যেগুলো আপনারা জানতে চাইলে আমাদেরকে কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। আর যদি গলা ব্যাথার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলবো যে এক্ষেত্রে ডাক্তারেরা আপনার শারীরিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যার উপসর্গ দেখে সে অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করতে পারবে।
তাই গলা ব্যথার ঔষধ এবং আপনি যদি কাশির ঔষধ একত্রে নিতে চান তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করে নেওয়াটা সবচেয়ে ভালো হবে। তবে গলা ব্যাথার চিকিৎসা করার জন্য ঘরোয়া পদ্ধতিতে গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে আশা করি যেমন ফলাফল পাবেন তেমনি ভাবে কাশির চিকিৎসার জন্য আপনারা এডোভাস খেতে পারেন। বাজারে গেলে বিভিন্ন ধরনের কাশির সিরাপ পাওয়া যায় যেগুলো খাবার পরে আপনারা এক থেকে দুই দিনের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়ে যান। এছাড়া যদি আপনারা আরো কোন তথ্য জানতে চান তাহলে নিচের তথ্যগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ওষুধ
যাদের গলা ব্যথা কোন কারনেই কমছে না তারা এখান থেকে দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জানতে এসে ভালো করেছেন। তবে ইন্টারনেট ভিত্তিকে এ ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ না করে আপনারা সরাসরি একজন ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ করলে তারা আপনাকে ঔষধ সাজেস্ট করতে পারবেন। এই দ্রুত গলা ব্যথা কমানোর ওষুধ প্রসঙ্গে যারা জানতে এসেছেন তারা বিভিন্ন ফার্মেসী দেখে যোগাযোগ করলে তারা আপনাকে বয়স অনুযায়ী এবং অন্যান্য কোন সমস্যা আছে নাকি তার ওপর নির্ভর করে এই ওষুধ প্রদান করতে পারবে।
সর্দি কাশি গলা ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
সাধারণত সর্দি-কাশি অথবা গলা ব্যথা হয়ে থাকলে আমরা এলোপ্যাথি ডাক্তারের কাছে ছুটে চলে যাই। তবে এটা নিশ্চিত যে প্রত্যেকটা ওষুধেই কমবেশি সাইড ইফেক্ট রয়েছে। তাই আপনারা সাইড ইফেক্ট নেই এমন ওষুধ যদি সেবন করতে চান তাহলে হোমিওপ্যাথি ওষুধকে অনেকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তাই কারো যদি সর্দি হয়ে থাকে এবং সেই সাথে কাশি ও গলা ব্যথা থাকে তাহলে হোমিওপ্যাথি ওষুধ গ্রহণ করার জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন। কারণ হোমিওপ্যাথি ওষুধে যদি সঠিকভাবে ঔষধ নির্বাচন করতে না পারে তাহলে চিকিৎসার সমাধান হবে না।
গলা ব্যথার এন্টিবায়োটিক ওষুধ
গলা ব্যথা যদি কোন কারণে কমতেই না থাকে অথবা এটা যদি আপনাকে প্রচন্ড পরিমাণে কষ্ট দেয় তাহলে হয়তো শেষের দিকে ডাক্তার এন্টিবায়োটিক সাজেস্ট করতে পারে। কিছু কিছু ব্যথা এবং জ্বর নির্মূল করার জন্য ডাক্তারেরা যখন এন্টিবায়োটিক সাজেস্ট করে তখন হয়তো আমরা সেটা খেয়ে পরবর্তীতে খাই না এবং বাদ দিই। কিন্তু এন্টিবায়োটিক এর একটা নির্দিষ্ট কোর্স রয়েছে এবং অবশ্যই আমরা এটা ৫ দিন অথবা সাত দিন এভাবে খাব। একদিন অথবা দুই দিনে ভালো হয়ে গেলে যে বাদ দিতে হবে এভাবে না ভেবে আমাদেরকে অবশ্যই এন্টিবায়োটিক খাওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।