ইসলাম ধর্মে এই পর্দা প্রথা কে অতি প্রাধান্য দেওয়া হয়। কিন্তু এখন বর্তমানে অনেক মুসলিম মহিলারা বিনা পর্দায় চলাফেরা করে। পোশাকের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন হয় অনেক জায়গায়। কিন্তু আমরা ইসলাম নারী হিসেবে আল্লাহর দেখানো পথেই চলবো। মহিলারা পর্দা ব্যবহার করেরাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে সম্মান কমে যাবে না বরং বাড়বে। একজন মহিলার উচিত নিজের সম্মান এবং নিজের ব্যক্তিত্বকে ঢেকে রাখা। মহিলারা যদি নিজেই নিজের শরীর অন্যদের দেখায় তাহলে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে এর জন্য কেউ দায়ী থাকে না। মহিলারা পর্দা আকারে চলাফেরা করলে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ব্যাধি রোধ হবে।
ইসলাম অনুসারে বলা হয়েছে মহিলারা সবসময় বোরকা, হিজাব ,নেককাপ ব্যবহার করবে।
ইসলাম ধর্মে পর্দা প্রথার উপর অনেক কাহিনী এবং অনেক গল্প রয়েছে। আধুনিক জগতে আমরা আমাদের মনের অবস্থা এবং মানসিকতা একে অপার সাথে শেয়ার করতে চাই। সোশ্যাল মিডিয়া একটি বড় প্লাটফর্ম। এখানে যে কেউ নিজের জ্ঞান অন্যদের কাছে ভাগাভাগি করতে পারে। যে কেউ কোনো বিষয়ে মতামত পোষণ করতে পারে। বিশ্বব্যাপী এই প্লাটফর্মটির কারণে আমরা বিভিন্ন মানুষের যুক্তি বুদ্ধি সম্পর্কে জানতে পারি। আমরা ইসলাম প্রধান দেশে বসবাস করি। তাই ইসলামের আত্মবিশ্বাস এবং ইসলামের অনুশাসন অনুযায়ী আমাদের এই দেশ পরিচালনা করা হয়। প্রতিটি ধর্মে তার নিজ নিজ কিছু নিয়ম নীতি এবং যুক্তি রয়েছে। ইসলাম ধর্মের মহিলাদের এই যে পর্দা প্রথার বিধান রয়েছে এর পেছনেও বিশাল একটা যুক্তি রয়েছে।
৯৯.৯% জনগণ এই পর্দা প্রথার উপর কথা বলবে। কারণ মহিলাদের পর্দা আকারে থাকা কোন খারাপ কিছুকে ইঙ্গিত করে না। কিন্তু সেই ০.১% জনগণ রয়েছে যারা এই পর্দা প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলে। অনেকে বলে মহিলাদের পোশাকের স্বাধীনতা দিতে হবে। আমাদের স্বাধীন দেশে সবাই নিজের মতো করে চলাফেরা করতে পারে। সবারই নিজের রুচিবোধ এবং নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু একজন ইসলাম নারী হিসাবে তার মানসিক বিকাশ যদি নৈতিক শিক্ষার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে তাহলে সেই নারী অবশ্যই পর্দা প্রথার আড়ালে জীবন যাপন করতেই পছন্দ করবে।
এই পর্দা প্রথা ওপর অনেক তর্ক বিতর্ক এবং এই পর্দা প্রথার বিপক্ষে এবং পক্ষে অনেক কথায় আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে পড়ে থাকি। কিন্তু আমরা মুসলিম জাতি হিসেবে সব সময় এই পর্দা প্রথার পক্ষে কথা বলব। শুধু মুসলিম জাতি নয় যে কোন ধর্মের বিচক্ষণ ব্যক্তিরা এই পর্দা প্রথার পক্ষে নিজের মতামত পোষণ করেন। আপনারাও যদি এই পদ্ম পাতার পক্ষে নিজেদের মতামত পোষণ করতে চান তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পর্দা প্রথার পক্ষে স্ট্যাটাস লিখে শেয়ার করতে পারেন।
ইসলামিক পর্দা নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস
***হে নারী আমি তোমাকে বলতেছি, তুমি পর্দা এমনভাবে করো যাতে বাহির থেকে কেউ বুঝতে না পারে যে ভিতরে ১৮ বছরের কুমারী আছে নাকি ৮৬ বছরের বৃদ্ধা আছে।
* তিন ধরনের ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না। যে বাবা তার সাবালিকা মেয়েকে পর্দায় রাখে না, যে স্বামী তার স্ত্রীকে পর্দার ব্যাপারে কড়াকড়ি হুকুম দেয় না, যে মহিলা পাতলা কাপড় পড়ে সেজেগুজে বেপর্দায় চলে।
* পর্দ; আমাকে যেন রাতের বেলায় দাপন করা হয়, কারণ আমি চাই না দিনের আলোতে কেউ আমার শরীরের দৈর্ঘ্য প্রস্থ দেখুক।
* এই পৃথিবীতে ভয়ংকর একটা বস্তু হলো একজন বেপর্দা নারী। কারণ একজন বেপর্দা নারী একটা ব্রেক ছাড়া গাড়ির মত, তারা যে কোন মুহূর্তেই আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
***যদি একজন নারী জানতো পুরুষ তার দিকে কেমন নজরে তাকায়, তবে সে কাপড় দিয়ে নয় লোহা দিয়ে পোশাক তৈরি করত।
* পর্দা তো সেই মেয়েই করে, যে নিজেকে অনেক মূল্যবান মনে করে এবং নিজের মূল্য বুঝতে পারে।
***আমি হিজাব! নারী জাতির জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে আশা অমূল্য নেয়ামতের একটি। অথচ তুমি কি আমায় বোঝা মনে কর, চেহারায় চাপিয়ে দেওয়ার এক টুকরো কাপড় মনে করো?
**যে নারী পর্দা আকারে চলাফেরা করে, সেই নারী ও নিজেদেরকে ক্যারিয়ার গড়তে পারে সফলভাবে। ক্যারিয়ার গড়ার জন্য পর্দা বিহীন ভাবে থাকা একটা অজুহাত মাত্র।