আত্মীয়-স্বজনের সাথে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হয়। আমাদের বিপদে-আপদে আত্মীয়স্বজনরাই সবার আগে এগিয়ে আসে। কখনো কখনো আমরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথেই দুর্ব্যবহার করে ফেলি। এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কিভাবে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন সেই বিষয় নিয়ে এবং আত্মীয়-স্বজন সম্বন্ধে কিভাবে স্ট্যাটাস লিখা যায় সে বিষয়টিও তুলে ধরব। আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে গেলে কি কি করতে হবে এবং কোন বিষয়গুলো মানিয়ে নিতে হবে তা জানার জন্য শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকতে হবে।
সবকিছুর আগে আমাদের জেনে নিতে হবে আত্মীয়-স্বজন বলতে আমরা কাদেরকে বোঝাচ্ছি। আত্মীয়-স্বজন হচ্ছে সেই মানুষগুলো যাদের সাথে আমাদের কোন না কোন ভাবে রক্তের সম্পর্ক আছে। আমাদের পরিবারের সাথে কোন না কোন ভাবে যারা সংযুক্ত তাদেরকেই আত্মীয়-স্বজন বলা যায়। আবার কিছু মানুষ আছে যারা আমাদের রক্তের সম্পর্কের নয় কিন্তু তাদের সাথে আমাদের খুব ভালো বন্ধুত্ব রয়েছে। এদেরকে আমরা দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলতে পারি। আত্মীয়-স্বজন কাছের হোক কিংবা দূরের হোক তাদের সাথে কিভাবে সব সময় খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা যাবে এবং তাদের সাথে সব সময় কিভাবে যোগাযোগ রাখা যাবে সেই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় সবসময় রাখতে হবে।
আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। আমরা যখন খুব খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাব তখন যদি আত্মীয়দের সাথে যোগাযোগ করে কোন সাহায্য পেতে চাই তাহলে আগে থেকেই তাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। অপরদিকে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যদি আমাদের সম্পর্ক খারাপ থাকে তাহলে আমরা কোন সময়ই তাদের থেকে সহযোগিতা পাবো না। ঠিক একইভাবে আমাদের আত্মীয়-স্বজনরাও যদি কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে তাদেরকেও সহযোগিতা করতে হবে। আমরা যদি আত্মীয়-স্বজনদের বিপদে এগিয়ে না আসি তাহলে কখনই তাদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যাবে না।
সাধারণত বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানে সব আত্মীয়স্বজনরা এক হয়ে থাকে। এসব উৎসব অনুষ্ঠানে এসে তারা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে এবং তাদের বর্তমান অবস্থা সম্বন্ধে জানা শোনার চেষ্টা করে। বর্তমান সময়ে মানুষ আত্মীয় স্বজনদের সাথে কাটানো এই মুহূর্তগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে থাকে। আপনি নিজেও কখনো না কখনো নিজের আত্মীয় স্বজনদের সাথে তোলা
ছবি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অথবা অন্যান্য একাউন্টে শেয়ার করেছেন। তবে এখনো অনেকে জানে না আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে আসলে কিভাবে স্ট্যাটাস লিখতে হয়। আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে স্ট্যাটাস লেখার সময় এমনভাবে লিখতে হবে যেন এই স্ট্যাটাসগুলো পড়ার পর আত্মীয়-স্বজনরা অনেক খুশি হয়। তারা যেন বুঝতে পারে আপনি তাদেরকে কতটা গুরুত্ব দেন। আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে স্ট্যাটাস লেখার সময় আমরা চাইলে বিভিন্ন উক্তি সংযুক্ত করে দিতে পারি।
আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ছবি তোলার পর আমরা যখন সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করতে যাই তখন ক্যাপশন সিলেক্ট করা আমাদের জন্য ভীষণ কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানের জন্যই আমরা আজ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে কোন স্ট্যাটাস গুলো আপনার দিতে পারেন সেই বিষয়টি তুলে ধরতে এসেছি। একটি স্ট্যাটাস লেখার জন্য আমাদের সব সময় সুন্দর ভাষায় লেখার চেষ্টা করতে হবে। স্ট্যাটাসের মধ্যে যেন কোন ধরনের ভুল বানান না থাকে। কখনো কখনো একটি ভুল বানান পুরো বাক্যের অর্থ বদলে দিতে পারে।
১. সুখ হচ্ছে অন্য শহরের একটি প্রেমময়, যত্নশীল এবং ঘনিষ্ঠ আত্নীয়।
– জর্জ বার্নস
২. আত্নীয় স্বজনই মানুষকে কবরে শুইয়ে দেয়। কাউকে মৃত আর কাউকে জীবিত।
– ইমতিয়াজ মাহমুদ
আত্মীয়ের সাথে ভালো ব্যাবহার করলে রিজিক ও হায়াত বৃদ্ধি পায় ।
— সহীহ বুখারী ৫৫৫৯
৩. আপনি বন্ধু নির্বাচনের মতো করে আপনার আত্নীয় নির্বাচন করতে পারবেন না। তারা আপনার জন্য ঈশ্বরের উপহার, যেমন আপনি তাদের জন্য।
– ডেসমন্ড টুটু
৪. একজন ভাল বন্ধুর মূল্য দশ হাজার আত্মীয়ের সমান ।
– ইউরিপাইডস
৫. কোন মানুষই অন্যদের দ্বারা সম্মানিত হবে না যদি তার নিজের আত্মীয়দের দ্বারা তুচ্ছ জ্ঞান করা হয়।
– প্লুটাস
৬. যখন আমাদের আত্মীয়রা বাড়িতে থাকে, তখন আমাদের তাদের সব ভাল দিকের কথা ভাবতে হবে অথবা তাদের সহ্য করা অসম্ভব হবে।
– জর্জ বার্নার্ড শ
৭. একজন দাসকে তার দায়িত্ব পালনের সময়, সমস্যায় আত্মীয়, বিপদে বন্ধু, এবং দুর্ভাগ্যে স্ত্রী কে পরীক্ষা করুন।
– চাণক্য
৮. আলো এবং অন্ধকার একে অপরের ঘনিষ্ঠ আত্নীয়। সামনের এবং পিছনের ধাপের মতো।
– শিতো জিকিয়ান
৯. এই পৃথিবীতে, সত্যিকার অর্থে আপনার আত্মীয় কেউ নেই, এবং যারা আছে, তারা একটি ‘সম্পর্ক’ আকারে আছে।
– দাদা ভগবান
১০. আত্মীয়স্বজন আপনার বাড়িতে এসে আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করে। তারপর আপনি তাদের বাড়ির আত্মীয় হিসাবে যান এবং তাদের সাথে মজা করেন।
এটি আপেক্ষিক তত্ত্ব।
– এমফোর্ট
১১. বইটি বাস্তবতার দূরসম্পর্কের আত্মীয়, এবং চলচ্চিত্র বইয়ের দূরবর্তী আত্মীয়।
-ড্যানি পুরুশ
১২. কাছের এবং প্রিয় একজন বন্ধু সময়ের সাথে সাথে আত্মীয়ের মত অকেজো হয়ে যেতে পারে।
– জর্জ অ্যাডি
১৩. যখন আমার একজন পুরুষ আত্মীয় আমি কতবার নাচতাম তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লে আমাকে হাসতে হয়।
– সিজার রোমেরো
১৪. পরিবার মানে শুধু রক্তের আত্মীয় নয় কিন্তু এটি একটি সম্প্রদায়, সংগঠন বা জাতির বর্ণনা।
– রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ
১৫. যারা একসময় নিজেদের ভাই ও আত্মীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল তারা এখন যথাযথভাবে বর্বরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুক।
– পোপ আরবান দ্বিতীয়
১৬. আমরা আত্মীয়দের সাথে আপেক্ষিক জগতে বাস করি।
– ডেথ ব্যাঙ্গার
১৭. যদি সত্য কারো আত্নীয় হয়, তাহলে তার চাচাতো ভাই নৈরাজ্য।
– ক্রেইগ ডি
১৮. রক্তের আত্মীয়দের প্রায়ই পরিবারের সাথে কোন সম্পর্ক থাকে না, এবং একইভাবে, পরিবার হল আপনি কার সাথে আপনার জীবন বেছে নিতে চান।
– অলিভার হাডসন
১৯. আমি বিশ্বাস করি আপনার আত্মীয়রা অন্যদের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ, তারা আপনার চারপাশে একটি প্রতিরক্ষামূলক বৃত্ত গঠন করে।
– রবার্ট পাইরেস
২০. গাছ আমাদের নিকটতম আত্মীয়। গাছ কি শ্বাস ছাড়ছে, আমরা শ্বাস নিচ্ছি; আমরা যা শ্বাস ছাড়ি, তারা শ্বাস নেয়। তারা আমাদের শ্বাসযন্ত্রের অর্ধেক।
– জাগি বাসুদেব
২১. সেই আত্মীয়দের নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আমি তাদের সঙ্গ দেব, যেহেতু তারা সবাই আমার বিজয়ের জন্য প্রার্থনা করেছিল।
– ম্যানি প্যাকুইয়াও
২২. আত্মীয়রা আপনাকে যুদ্ধক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে না। আপনি নিজের প্রচেষ্টায় দাঁড়ান বা পড়ে যান।
– গ্লিনিস জনস
২৩. দুর্ভাগ্যক্রমে, অভ্যন্তরীণ অনুভূতি এবং সম্ভাব্যতা প্রায়শই আমাদের পিতামাতা, আত্মীয় বা সমবয়সীদের দ্বারা নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
– উইলি স্টারগেল
২৪. আমার সুখের মুহূর্তগুলোর মধ্যে কিছু আমি আমার স্বামী, কয়েকজন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং মুষ্টিমেয় খুব ভাল বন্ধুদের সাথে কাটিয়েছি, যারা আমাকে ভাল করেই জানে এবং আমাকে পছন্দ করে।
– রবিন মারান্টজ হেনিগ
২৫. বাইরের লোকের চেয়ে মানুষ তাদের আত্মীয়দের বেশি পছন্দ করে, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিপরীত হল এটি, সেটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বা রাজনীতিতে হোক।
– রাম গোপাল বর্মা
২৬.আমার থেকে বয়সে বড় আত্মীয়দের মুগ্ধ করা কঠিন।
– গিয়া কপোলা
২৭. যখন আমার জন্ম হয়েছিল, আমাদের কিছু আত্মীয় আমাদের বাড়িতে এসে আমার মাকে বলেছিল, ‘চিন্তা করো না, পরের বার তোমার একটা ছেলে হবে।
– মালালা ইউসুফজাই
আত্মীয়-স্বজনরা আমাদের জীবনের অনেক বড় একটি অংশ জুড়ে থাকে। আমাদের জীবনে তাদের ভূমিকা নিয়ে আমরা অনেক কথা লিখতে পারি। যেসব আত্মীয় স্বজনরা বেশিরভাগ সময় আমাদের পাশে থাকে তাদের জন্য স্পেশাল কোন স্ট্যাটাস লিখতেই পারি। আশা করি এখন থেকে আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে স্ট্যাটাস লেখাটা আপনার কাছে খুব সহজ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে লেখা বিভিন্ন উক্তি আমরা পরবর্তী পোস্টের মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করব যেগুলো সংগ্রহ করে অনেক স্ট্যাটাস লিখতে পারবেন।