কোন ঔষধ খেলে স্বাস্থ্য বাড়ে

প্রিয় বন্ধুগণ আজকে আমরা স্বাস্থ্য বিষয়ক আরো একটি আলোচনায় আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আমরা মানুষের অতি জনপ্রিয় একটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম। অতিরিক্ত ওজন হলে যেরকম কেউ পছন্দ করে না তেমনি অতিরিক্ত কম ওজনও কিন্তু একদম ভালো না। তাই আমাদের শরীরের ওজন মিডিয়াম রাখতে হবে ,ফিট থাকতে হবে। অতিরিক্ত কম বা বেশি হওয়া চলবে না।

এজন্য অনেকেই জানতে চাই যে কোন ঔষধ খেলে শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে? কোন ঔষধ খেলে স্বাস্থ্য ভালো হয়?
কোন ঔষধ খেলে মোটা হওয়া যায়? কোন ঔষধ খেলে মুখের রুচি বাড়ে, খাবারের প্রতি টান হয়? বাজারে অনেক মোটা হওয়ার ঔষধ পাওয়া যায়। এগুলো খেয়ে অনেকেই মোটা হয়ে থাকে কিন্তু এগুলো ঔষধ খেয়ে মোটা হলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ-বৃদ্ধি হতে পারে যা ভয়ানক ক্ষতিকর। তবে কিছু ঔষধ পাওয়া যায়, যেগুলো ঔষধ সেবনের মাধ্যমে খাবারের প্রতি রুচি বেড়ে যায়। যেগুলো ঔষধ সে মনের মাধ্যমে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায় যার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তাড়াতাড়ি খিদে পায়। এই ধরনের ঔষধ সেবন করা শরীরের জন্য কোন ক্ষতিকর নয়।

বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ কিনতে পাওয়া যায় যেগুলো খেলে খুব দ্রুত শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায়। বিশেষ করে কম বয়সী মেয়েদের এই ঔষধ খাওয়ানো হয়। কম বয়সী মেয়েদের ওজন বৃদ্ধি হয়। একজন কম বয়সী মেয়েদের ওজন কম হয় এবং অধিকাংশ মেয়েরা পাতলা হয়। একটি মেয়ে যখন ১২ থেকে ১৮, ১৯ বছরের মধ্যে থাকে তখন তার দেহের ওজন কম থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু অনেক পরিবার আছে যারা বাজারে বিক্রি করা এইসব মোটা হওয়ার ঔষধ তাদের মেয়ে সন্তানকে খাওয়ায়। এগুলো ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই খাওয়ানো হয়। তাই আমাদের পরামর্শ এটাই যে, ওজন বৃদ্ধি কারো কোন রকমের ঔষধ সেবন থেকে বিরত থাকুন। কারণ এইসব ঔষধ খেয়ে ওজন বৃদ্ধি করলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।এইসব ঔষধ সেবন করলে শরীরের অতিরুপ্ত ওজন বৃদ্ধি পায়।

যার ফলে একটি মেয়ে অথবা ছেলের হরমোন জনিত পরিবর্তন হয় এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে পরবর্তীতে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগ ধারণ করতে পারে। তাই আপনি এবং আশেপাশের কেউ যদি মোটা হওয়ার জন্য কোন ঔষধ খেয়ে থাকে তাহলে তাকে সচেতন করে তুলুন।মূলত মোটা হওয়ার ঔষধ না খেয়েও আপনি খুব সহজেই শারীরিকভাবে মোটাতাজা হতে পারবেন।

এক্ষেত্রে সর্বপ্রথম প্রধান কাজ হলো আপনার খাদ্য অভ্যাসে পরিবর্তন আনা। আপনি যদি পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারেন তাহলেই পেতে পারেন আপনার কাঙ্খিত শরীর।তাই মোটা হওয়ার জন্য নিয়মিত খাবার খান এবং আপনি যতোটুকু পরিশ্রম করেন তার থেকে বেশি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। ভুল করেও ডায়েট করার চেষ্টা করবেন না প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খান চেষ্টা করুন নিয়মিত ব্যায়াম করতে। অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার মোটা হতে সাহায্য করবে তাই নিয়মিত এই খাবারগুলো খাদ্যতালিকায় রাখুন।

অতিরিক্ত রাত জাগবেন না কারণ বেশি রাত জাগার ফলে শরীরের হর্মনাল ক্রীড়াসমূহ দুর্বল হয়ে যায়।যেহেতু মোটা হওয়ার নির্দিষ্ট কোন ঔষধ এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। মেইন কথা হচ্ছে আমি সুতরাং নিজেই বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন। নিয়মমতো খাবার খান এবং ঘুমান।

প্রত্যেক ঔষধেরই কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই কেবলমাত্র আপনার ব্যক্তিগত মতামত এর ওপর ভিত্তি করে সেবন করবেন না। ঔষধ কিনে প্রতারিত হওয়া কিংবা ওষুধগুলো তে সাইড ইফেক্ট থাকলে তার জন্য আমরা দায়ী থাকব না তাই যে কোনো ঔষধ সেবনের পূর্বে আপনার পরিচিত কোন ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।

মূলকথা মোটা হতে হলে বা শরীরের ওজন বাড়াতে আপনি বেশি পরিমাণ ভিটামিন ও ক্যালরিযুক্ত খাবার খান। অনেকে আপনাকে ৭ দিনে মোটা হওয়ার ঔষধ দিতে পারে। সেগুলো এড়িয়ে চলুন। রোগের কারণে যদি আপনার শরীর রোগা পাতলা হয় তাহলে ওই রোগের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সঠিক চিকিৎসা নিন। একজন পুষ্টিবিদদের সাথে পরামর্শ করুন। মোটা হওয়ার জন্য কোন ঔষধ ব্যবহার না করাই ভালো।

Leave a Comment