নামাজ পাঁচ ওয়াক্ত হয়। যদি আমরা ফজর থেকে শুরু করি তাহলে এই পাঁচ ওয়াক্তে নামাজ গুলি হল-ফজরের নামাজ, যোহরের নামাজ, আসরের নামাজ, মাগরিবের নামাজ, এবং ইশার নামাজ। দ্বীন ইসলাম যদি আপনি সঠিকভাবে পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রত্যেকদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে। নামাজ বেহেস্তের চাবি আর এই কারণে আপনাকে নামাজ পড়া অবশ্যই কর্তব্য বলে মনে করা হয়।
নামাজ ছাড়া কেউ বেহেস্তে প্রবেশ করতে পারবে না এ কথা ইসলামে বহুতবার বলা আছে বহু জায়গায়। তাই আপনি যদি দিন ইসলামের ভালোভাবে বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্য কর্তব্যর মধ্যে যে কাজগুলো রয়েছে সে কাজগুলি একটি অন্যতম হলো আপনাকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। যদিও নামাজ আরবি শব্দ না নামাজ হলো ফারসি শব্দ।
নামাজ বা সালাত আদায় করা প্রত্যেকটি মুসলিমের কর্তব্য। নামাজ বা সালাত হলো ইসলামের পালনীয় পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি স্তম্ভ। অর্থাৎ মুসলমানরা একথা বিশ্বাস করেন যে পাঁচটি স্তম্ভের উপর ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে। আর এই পাঁচটি স্তম্ভ হল- নামাজ বা সালাত আদায় করা, আল্লাহর উদ্দেশ্য রোজা রাখা, হজ্বে যাওয়া এবং যাকাত আদায় করা। আর এই পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে যেহেতু নামাজ সবার প্রথমে রয়েছে তাই ইসলামের প্রতিটি ব্যক্তিকে অবশ্যই নামাজ পড়া অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয়।
আপনারা জানেন ইসলামে যেহেতু দিন সূর্যাস্তের সময় শুরু হয় তাই বলা যেতে পারে এশার নামাজ হলো প্রযুক্তিগতভাবে দিনের দ্বিতীয় নামাজ। যদি মধ্যরাত থেকে দিন গণনা করা হয় তাহলে দৈনিক নামাজগুলোর মধ্যে এই নামাজটি পঞ্চম নামাজ হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এশার ফরজ নামাজ হলো চার রাকাত। এই চার রাকাত নামাজ সবাইকেই পড়তে হয়। সাধারণত মাগরিবের নামাজ অতিবাহিত হওয়ার পর থেকেই এশার নামাজের সময় শুরু হয়। এবং এটি রাতের চার ভাগের এক ভাগ সময় পর্যন্ত চলে। তবে রাতের দুই-তৃতীয়াংশ সময় পর্যন্ত জায়েজ এবং সুবহে সাদিকে আগ পর্যন্ত এটি পড়া যায়।
এখন আপনাদেরকে এশার নামাজের নিয়মগুলি সম্পর্কে জানাবো। এশার নামাজের যে চার রাকাত নামাজ ফরজ সেটি ইমামের নেতৃত্বে পড়া যায়। তবে এই অংশটির জামায়াতে ইমামের নেতৃত্বে পড়া সম্ভব না হলে বাড়িতে অবশ্যই একা একা পড়া যায়। তবে আপনারা জানেন যে এই নামাজ যদি জামাতের সাথে পড়া যায় তাহলে 27 গুন সওয়াব বেশি পাবেন। এই ফরজ নামাজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নাহ নামাজ রয়েছে। এই নামাজটি ঐচ্ছিক নামাজ হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ এই নামাজটি আপনি পড়তেও পারেন না পড়লেও চলবে। ফরজ চার রাকাতের পর আপনি দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তে হয় যা একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে দেখা হয়। হঠাৎ নবীজি তার জীবদ্দশায় এটি কখনো ছাড়েননি। তাই আপনারা বিবেচনা করতে পারেন এই নামাজের সব কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
তারপর কেউ কেউ দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে থাকেন। আসলে নফল নামাজ আপনি দিনের নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত অন্যান্য সকল সময়ে পড়তে পারেন। এবং নফল নামাজে শুধুমাত্র দুই রাকাতই পড়তে হবে বিষয়টি এমন নয়। তারপরের নামাজটি হল আসলে ভিতরের নামাজ। বিতরের নামাজের সাথে এশ ার নামাজের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই নামাজটি ঘুম থেকে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ এর নামাজের পর পড়া বেশি উত্তম বলে মনে করা হয়।
হাদিস অনুযায়ী ভিতরের নামাজ এক রাকাত, তিন রাকাত, পাঁচ রাকাত, সাত রাকাত পড়া যায়। তবে কোন ব্যক্তি যদি মুসাফির অবস্থায় থাকেন তবে ইসলামের বিধান অনুযায়ী সেই ব্যক্তিকে হিসাব চার রাকাত ফরজকে সংক্ষিপ্ত করে দুই রাকাত নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে। তারপর শুধুমাত্র বিতর নামাজটি আদায় করতে হয়। এই ধরনের বিষয়টি তাহলে আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে বুঝে নিতে পারলেন। এই ধরনের ইসলাম সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য যদি আপনারা জেনে নিতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে বিষয়টি খোঁজ করুন।