আপনারা যদি গায়ের রং এর দিক থেকে ময়লা হয়ে থাকেন অথবা কালো হয়ে থাকেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে অনেকেই জানতে চান। কিন্তু কুচকুচে কালো থাকে একেবারে যে ফর্সা হবেন এমন কোন গ্যারান্টি নেই অথবা এরকমটা হওয়া সম্ভব নয়। তবে আপনার গায়ের রঙের যে ময়লা ভাব রয়েছে সেখান থেকে আপনি গ্ল্যামার আনতে পারেন অথবা ত্বকের উজ্জ্বলতা ভাবতে পারেন। আবার কিছু কিছু জিনিস রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার শরীরে অথবা ত্বকের যে কালো ভাব রয়েছে সেগুলো আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে এবং কিছুটা হলেও উজ্জ্বল হবে।
তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে আলোচনা করব। যদিও আমাদের বাংলাদেশ কালো এবং ফর্সা উভয় রঙের মানুষ রয়েছে এবং কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যার অত্যন্ত কালো আবার কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যার অত্যন্ত ফর্সা হয়ে থাকে। তাই আপনারা এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে যখন কালো থেকে ফর্সা হওয়ার নিয়ম জানতে চাইবেন তখন আপনাদের জন্য সেটা খুব ভালো হবে। কারণ এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আপনারা নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করবেন এবং সেটার ভিত্তিতে কালো থেকে ফর্সা হয়ে যাবেন।
আপনারা যদি একেবারে কালো কুচকুচে ভাব থেকে ফর্সা হতে চান তাহলে সেটা সম্ভব হবে না। তবে চেষ্টা করলে পূর্বের অবস্থা থেকে ভালো অবস্থানে যাওয়া যাবে। আর সে প্রসঙ্গে যদি আমরা আপনাদেরকে বলি তাহলে বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বা লোশন রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ত্বকের ভেতরে উজ্জ্বলতা চলে আসবে। আবার কিছু কিছু প্রোডাক্ট রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে কয়েক দিনের ভেতরেই আপনার ত্বকের ভেতরে ফর্সা ভাব চলে আসবে। কিন্তু এ সকল প্রসাধনী অথবা কসমেটিক্সের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকার কারণে সেগুলো কখনোই স্থায়ীভাবে আপনার সমস্যার সমাধান করবে না।
তাই অহেতুক সকল পণ্যের পিছনে টাকা খরচ না করে আপনারা যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন তাহলে সেটা ভালো হবে। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যেমন গায়ের রং অথবা যেমন ভাবে আপনাকে সৃষ্টি করেছেন ঠিক তেমনভাবেই আপনার সন্তুষ্ট থাকা উচিত। আর যারা প্রকৃতপক্ষে মানুষ তারা আপনার গায়ের রং দিয়ে আপনাকে বিবেচনা করবে না বরং আপনার কর্মের মধ্য দিয়ে এবং আপনার মানসিকতার মধ্য দিয়ে বিবেচনা করবে।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার লোশন
বর্তমান সময়ে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার জন্য মানুষের যে চাহিদা তার ওপরে নির্ভর করে কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের সবসময় প্রমোট করে থাকে। তবে মুখ উজ্জ্বল করার জন্য কিছু স্নো ব্যতীত অন্যান্য বিষয়গুলো খুব একটা কাজে আসে না অথবা স্নো ব্যবহার করার ফলে আপনার সাময়িক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। তাছাড়া কালো থেকে ফর্সা হওয়ার লোশন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বলব যে লোশন অনেকটাই তৈলাক্ত ধরনের হওয়ার কারণে এটা আপনার ত্বকে বিভিন্ন ধরনের ফুসকুড়ির মত ব্রণ দেখা দিতে পারে।
কালো থেকে ফর্সা হওয়ার ক্রিম
মর্ডান হারবাল ক্রিম অথবা এরকম ধরনের অনেক ক্রিম রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করার মাধ্যমে ১৫ দিনের ভিতরে আপনাকে গ্যারান্টি সহকারে ফর্সা হওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করবে। কিন্তু এ সকল প্রোডাক্টের কোন নিশ্চয়তা নেই এবং এগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনি যে কয়দিন ব্যবহার করবেন সে কয়দিনই উপকার পাবেন। তাই অহেতুক সকল পণ্যের পেছনে টাকা খরচ না করে ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করতে পারেন। তবে যেগুলো ব্র্যান্ডেড কোম্পানি সেগুলোর ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনারা দিনে দিনে পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।
ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায়
অনেক ছেলে আছে যারা কালো থেকে ফর্সা হওয়ার চেষ্টা করে এবং সকল দিক থেকে ঠিক থেকে থাকলেও কালোর কারণে অনেক সময় তাদের মন খারাপ হয়ে থাকে। যদিও মেয়েদের ক্ষেত্রে গায়ের রংটা অনেক সময় আমাদের সমাজ ব্যবস্থা বিবেচনা করে তারপরও বলবো যে ছেলেদের ক্ষেত্রে তাদের কর্ম এবং অর্থের উপরে সকল বিবেচনা করা হয়ে থাকে। তাই এই সকল আলোচনা না করে ছেলেদের কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে আমরা বলব যে বর্তমান সময়ে ছেলেদের ফর্সা হওয়ার ক্রিম বাজারে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনারা সেগুলো ব্যবহার করলে আশা করি কার্যকরী ফল পেয়ে যাবেন।