যারা কোরআনের বাণী সংগ্রহ করার জন্য অথবা পড়ার জন্য এখানে ভিজিট করেছেন তারা উত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। কারণ কোরআনের বাণী গুলো আপনারা যখন সংগ্রহ করার বা দেখার আগ্রহ নিয়ে এসেছেন তখন বুঝতে হবে আপনার মনের ভেতরে এ বিষয়ে জানার প্রতি প্রচন্ড আগ্রহ রয়েছে। দুনিয়ার জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার জন্য আমরা যখন কোরআনের আলোকে সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করি তখন এটা নিঃসন্দেহে একজন মুমিন ব্যক্তির পরিচয় প্রদান করে। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ বাণী তুলে ধরা হলো যেগুলো আমাদের জীবন পরিবর্তন করতে সাহায্য করবে অথবা জীবনের দুর্বিষহ মুহূর্ত থেকে উঠে আসার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
স্বাভাবিকভাবে আমাদের মন যদি খারাপ হয়ে থাকে অথবা আমরা যদি কোন দিক থেকে প্রতারিত হয়ে থাকে তাহলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য দুনিয়ার জীবনে বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করতে থাকে। মন খারাপ থাকার কারণে যেমন স্যাড সং ভালো লাগে তেমনি ভাবে অনেক সময় আমরা বিভিন্ন ধরনের আনন্দময় ভিডিও দেখে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু আসল প্রশান্তিময় জায়গা যদি আমরা খুঁজে বের করি অথবা এটা যদি একবার সন্ধান পায় তাহলে দেখব যে একজন মুমিন ব্যক্তির মন কখনোই খারাপ হবে না।
স্বাভাবিকভাবে একজন মুমিন ব্যক্তি যদি প্রতারিত হয়ে থাকেন তারপরও তার ভেতরে এই সবর আসবে যে আল্লাহ পাক নিশ্চয়ই এটার পরীক্ষা গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে ধৈর্যের বাঁধ কতটা শক্ত অথবা আল্লাহ পাকের প্রতি কতটা ভরসা করতে পারি তা জানতে চেষ্টা করছেন। তাই দুনিয়ার জীবনে আমাদেরকে শক্ত সামর্থ্যবান হতে হবে এবং মুমিন হিসেবে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যে আমরা মুহূর্তগুলো পার করছি তাতে করে মোমিন ব্যক্তির পরিচয় খুব কম পাওয়া যায় এবং আমাদের ভেতরে সবসময় দুনিয়ার জীবনে কিভাবে ভালো থাকা যায় অথবা দুনিয়ার জীবনের লোভ লালসার বিষয়গুলো উঠে আসে।
স্বাভাবিকভাবে যখন কোন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করে তখন তার কবরের পাশে জানাজার উদ্দেশ্যে যখন যাই অথবা তাকে যখন কবরস্থ করতে যায় তখন আমাদের ভেতরে মৃত্যু সম্পর্কে ধারণা চলে আসে। তেমনি ভাবে আপনি যখন কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করবেন তখন দেখবেন যে সেখানে বাংলাতে এত সুন্দর সকল অর্থ প্রদান করা আছে যেগুলো আমাদের জীবন পরিবর্তনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
তাছাড়া কুরআন মাজিদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আয়াত রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা সরাসরি মহান আল্লাহ পাকের কাছে আমাদের জীবনের হালাল চাহিদা গুলো পূরণ করার জন্য দোয়া করতে পারি। বিশেষ করে কেউ যদি জীবনে পরহেজগার এবং নেককার জীবনসঙ্গিনী অথবা জীবনসঙ্গী পেতে চাই তাহলে তাকে সূরা ফুরকানের 74 নম্বর আয়াত পড়তে বলা হয়। তেমনি ভাবে চরম বিপদের সময় দোয়া ইউনুস পাঠ করতে পারলে সেখান থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। এছাড়াও আল্লাহ পাক কোরআন মাজীদ থেকে এমন কিছু লাইন আমাদের দোয়ার মধ্যে পাঠ করতে বলেছেন অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যেগুলোর মাধ্যমে আমরা নিজেদের জীবনের পরিপূর্ণতা খুঁজে পেতে পারি অথবা সমস্যার সমাধান পেতে পারি।
কুরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত
প্রকৃতপক্ষে কোরআন মাজীদের প্রত্যেকটা আয়াতই শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে বিবেচিত এবং প্রত্যেকটা কথাই অত্যন্ত মূল্যবান। তাছাড়া জীবনের সন্ধিক্ষণে যে সকল লাইন আমাদের জীবন পরিবর্তন করতে সাহায্য করে অথবা যেখান থেকে আমরা নতুন করে প্রত্যেকটি কাজের অনুপ্রেরণ খুঁজে পাই সে সকল লাইনকে যদি আপনারা শ্রেষ্ঠ আয়াত হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন তাহলে সেই আয়াত আমরা এখানে প্রদান করলাম। কুরআন মাজীদের শ্রেষ্ঠ আয়াত গুলো পড়ে নেয়ার মাধ্যমে আপনারা সঠিক পথের সন্ধান পাবেন অথবা এখান থেকে ধৈর্য ধারণ করার শিক্ষা পাবেন।
কোরআনের বাণী ছবি
যদি কোরআনের বাণী ছবি আকারে কেউ পেতে চান অথবা কোরআনের বাণী গুলো ছবি আকারে সংগ্রহ করে নিয়ে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপলোড করতে চান তাহলে এখান থেকে তা জেনে নেওয়ার পাশাপাশি দোয়া এবং ইস্তেগফার সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ রয়েছে যেগুলোতে আপনারা যুক্ত হতে পারেন। নিজের জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালিত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এসে অহেতুক পেজগুলোতে ঘোরাফেরা না করে আপনারা ইসলামিক পেজগুলোতে ঘোরাফেরা করলে সেখান থেকে আপনাদের ঈমান বৃদ্ধি পাবে এবং আপনারা সঠিকভাবে আমল করার সুযোগ পাবেন।