আজকে আমাদের প্রিয় মুসলমান ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা আলোচনা করব। ইসলাম ধর্মের হাদিস অনুযায়ী রয়েছে ধর্মের অনেক বিধি বিধান। আমরা ইসলাম হিসেবে জন্মগ্রহণ করে সত্যিই কি সঠিক ইসলামিক পথে চলতে পারি? প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সঠিক নিয়মে পড়া আমাদের কি হয়ে থাকে? নামাজ পড়ার কিছু নিয়ম নীতি রয়েছে সেগুলো আমাদের মেনে চলতে হবে। এভাবে নামাজ পড়ায় যদি ভুল ত্রুটি থেকে থাকে তাহলে নামাজ পড়ে কোন লাভ নেই । তাই সঠিক নিয়মে নামাজ পড়ার নিয়ম গুলি জানতে হবে। ইমামের পেছনে কি নামাজ হয়? কোন ইমামের পেছনে নামাজ হয় না?এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন হবে পড়তে হবে।
মসজিদ মুসলমানদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত স্থাপনা। শব্দটির উৎপত্তি আরবি থেকে, যার আভিধানিক অর্থ শ্রদ্ধাভরে মাথা অবনত করা অর্থৎ সিজদাহ করা। সাধারণভাবে, যেসব ইমারত বা স্থাপনায় মুসলমানেরা একত্র হয়ে প্রাত্যহিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন, তাকে মসজিদ বলে। আবার যেসব বড় আকারের মসজিদগুলো নিয়মিত নামাজের সাথে সাথে শুক্রবারের জুম’আর নামাজ আদায় হয় এবং অন্যান্য ইসলামিক কার্যাবলী সম্পাদিত হয়, সেগুলো জামে মসজিদ নামে অভিহিত।মসজিদে সাধারণত একজন ইমাম বা নেতা থাকেন যিনি নামাজের ইমামতি করেন বা নেতৃত্ব দেন।
মসজিদ মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলীর প্রাণকেন্দ্র। এখানে প্রার্থণা করা ছাড়াও শিক্ষা প্রদান, তথ্য বিতর়ণ এবং বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়।মসজিদের উৎকর্ষের ক্ষেত্রে, সেই সপ্তম শতাব্দির সাদাসিধে খোলা প্রাঙ্গণবিশিষ্ট মসজিদে কাবা বা মসজিদে নববী থেকে বর্তমানে এর প্রভূত উন্নয়ন ঘটেছে। এখন অনেক মসজিদেরই সুবিশাল গম্বুজ, উঁচু মিনার এবং বৃহদাকার প্রাঙ্গণ দেখা যায়। মসজিদের উৎপত্তি আরব উপদ্বীপে হলেও বর্তমানে তা পৃথিবীর সব দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে।
ইমাম ইসলাম ধর্মাবলম্বিদের ব্যবহৃত একটি শব্দ যদ্বারা সাধারণভাবে মুসলিম সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে বোঝানো হয়ে থাকে। সর্বাধিক প্রচলিত অর্থে ইমাম হলেন সেই ব্যক্তি যিনি মসজিদে বা বাইরে জামায়াতে নামাজ পরিচালনা করেন,।ইমাম সম্পর্কে শিয়াদের চেয়ে সুন্নিদের মতামত ভিন্ন।
সুন্নিদের মতে নামাজ পরিচালনাকারী যে কেউই ইমাম হিসেবে সম্বোধিত হন, তিনি মসজিদের বাহিরে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির নামাজ পরিচালনা করলেই। ফলে প্রতিটি মসজিদেই সম্মানী ভাতা প্রদানের মাধ্যমে একজন ইমাম সংযুক্ত রাখা হয়; তবে কোনো কারণে তিনি অপারগ হলে নামাজ পরিচালনার জন্য আগত যে কাউকেই ইমাম হিসেবে নির্বাচন করা হয়। তবে সুন্নিদের ক্ষেত্রে নামাজ পরিচালনার জন্য শরিয়তের আলেম হতে হয়।
হাদিসকে ইসলামি সভ্যতার “মেরুদন্ড” বলা হয়েছে, এবং ইসলামের মধ্যে ধর্মীয় আইন এবং নৈতিক দিকনির্দেশনার উৎস হিসাবে হাদিসের কর্তৃত্ব কুরআনের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যাকে মুসলিমরা এই শব্দ বলে মনে করে মুহাম্মাদ কে আল্লাহর কাছে অবতীর্ণ করা হয়েছে। অধিকাংশ মুসলিম বিশ্বাস করে যে হাদিসের জন্য শাস্ত্রীয় কর্তৃত্ব এসেছে কুরআন থেকে, যা মুসলিমদের মুহাম্মদকে অনুকরণ করতে ও তার রায় মেনে চলতে নির্দেশ দেয় ।
যদিও কুরআনে আইন সম্পর্কিত আয়াতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, হাদিস ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার বিবরণ (যেমন গোসল বা অজু, নামাজের জন্য অজু) থেকে শুরু করে সালাতের সঠিক ধরন এবং দাসদের প্রতি দানশীলতার গুরুত্ব পর্যন্ত সবকিছুর নির্দেশনা দেয়।এইভাবে শরীয়তের (ইসলামি আইন) নিয়মের “বৃহৎ অংশ” কুরআনের পরিবর্তে হাদিস থেকে নেওয়া হয়েছে।
হাদিস হলো আরবি শব্দ যার অর্থ বক্তৃতা, প্রতিবেদন, হিসাব, বর্ণনা। কুরআনের বিপরীতে, সমস্ত মুসলমান বিশ্বাস করে না যে হাদিস বর্ণনা (বা অন্তত সব হাদিস বর্ণনা নয়) ঐশ্বরিক উদ্ঘাটন। হাদিসের বিভিন্ন সংগ্রহ ইসলামি বিশ্বাসের বিভিন্ন শাখাকে আলাদা করতে আসবে। কিছু মুসলিম বিশ্বাস করে যে ইসলামি নির্দেশনা শুধুমাত্র কুরআনের উপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত, এইভাবে তারা হাদিসের কর্তৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করে; অনেকে আবার দাবি করেন যে বেশিরভাগ হাদিসই বানোয়াট ৮ম ও ৯ম শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছে এবং যেগুলোর জন্য মুহাম্মদকে মিথ্যাভাবে দায়ী করা হয়েছে।
আশা করি আপনারা আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের এই প্রতিবেদনটি তারা সকল মুসলিম ভাই বোন গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য জানতে পারবে। তাই এই আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।