আপনারা যদি ইসরাকের নামাজ পড়তে চান তাহলে এটা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ ইবাদত হওয়ার কারণে পড়তে পারেন। তবে ইশরাকের নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে জানতে এখানে যারা ভিজিট করেছেন তাদের উদ্দেশে আমরা এই নামাজের ফজিলত রেফারেন্স সহকারে প্রদান করব। যখন আপনারা এই নামাজ পড়ার ফজিলত সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন তখন দেখা যাবে যে এই নামাজ পড়ার প্রতি আগ্রহ চলে আসবে এবং আপনারা মনোযোগ দিয়ে খুশু খুজুর সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। তাই নিচের দিকে আপনাদের জন্য ইশরাকের নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হবে।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের জন্য দৈনন্দিন জীবনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। কিন্তু আমরা অলসতার কারণে অথবা শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি না। কিন্তু এটা আমাদের জীবনের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে আমরা যদি কোন কারণে নামাজ আদায় না করে তাহলে অনেক পাপের ভাগীদার হয়ে যাব। তাই নামাজ নিয়মিতভাবে পড়তে হবে এবং নামাজ পড়ার ফজিলত যে কত বেশি তা যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন তাহলেই তা বুঝতে পারবেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার পাশাপাশি মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের নফল ইবাদত রয়েছে। আপনার মনের চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য যেমন হালাল উদ্দেশ্যে সালাতুল হাজত আদায় করতে পারবেন তেমনিভাবে রাতের বেলায় শেষ প্রহরে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন নামাজ রয়েছে যেগুলো আমাদের জীবনে ভালোর দিকে নিয়ে যাই। প্রকৃতপক্ষে নামাজ এমন এক ধরনের ইবাদত যেটার মাধ্যমে আপনার জীবনে শৃঙ্খলা চলে আসবে এবং আপনি প্রত্যেকটি কাজে নিজেকে সময়মতো সেই কাজটি উদ্ধার করার জন্য সক্রিয় করতে পারবেন।
তাই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আপনারা যখন সময়ানুবর্তিতার তার শিক্ষা পেয়ে যাচ্ছেন তখন দেখা যাচ্ছে যে জীবনের চলার পথে অনেক কিছুই সফলতা পেয়ে যাচ্ছেন। তাই আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি যখন সালাতুল হাজত নামাজ আদায় করবেন তখন সালাতের নিষিদ্ধ সময় ব্যতীত যেকোনো সময় দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন। আর আপনি যখন ইসরাকের নামাজ আদায় করবেন তখন ফজরের নামাজের পর সূর্য ওঠার জন্য যে ১৫ মিনিট নিষিদ্ধ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সেই সময় ব্যতীত পরবর্তী সময়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
অর্থাৎ সূর্যোদয়ের সময়ের পরে আপনারা দ্বিপ্রহর শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগ পর্যন্ত ইসরাকের নামাজ আদায় করতে পারবেন। হজরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহুর মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করার পর সেই স্থানে কিছুক্ষণ বসে থাকলো এবং বিভিন্ন ধরনের করল সেটা সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হবে। জিকর আজগার করার পরে দুই রাকাত নামাজ যখন পরিপূর্ণ মনোযোগ সহকারে করবেন তখন অবশ্যই সেই ব্যক্তিকে একটি পূর্ণাঙ্গ হজ ও ওমরার সওয়াব প্রদান করা হবে।
আর এই হাদিসটি মিশকাত তিরমিজি থেকে তুলে ধরা হয়েছে। তাই আপনারা যখন ইসরাকের নামাজ আদায় করবেন তখন অবশ্যই গুরুত্বের সঙ্গে নামাজটি আদায় করবেন এবং এই নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আপনাদের উচ্চস্থানে অধিষ্ঠিত করা হবে। এই নফল ইবাদত যদি করতে পারেন তাহলে এটা আপনাদের জন্য অনেক ভালো হবে এবং দৈনন্দিন জীবনে যদি সেভাবে সময় না পেয়ে থাকেন তাহলে ফজরের নামাজের পর সূর্যোদয়ের 15 মিনিট পরে নামাজ আদায় করা যেতে পারে।
তবে সবচাইতে ভালো হয় সূর্যোদয়ের এক থেকে দেড় ঘন্টা পর এই নামাজ যদি আদায় করেন। তাই উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে ইসরাকের সালাতের ফজিলত সম্পর্কে অবগত হতে পেরেছেন। সাধারণভাবে নফল নামাজ যেভাবে আদায় করতে হয় ঠিক একই নিয়মে নফল নামাজের হিসেবে এটা আদায় করতে হবে। এ প্রসঙ্গে যদি কারো কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে লিখে জানান এবং বিভিন্ন ধরনের নামাজের নিয়ম ও দোয়া জানতে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করুন।