হ্যালো আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুগণ। আজকে তোমাদের সাথে আরও একটি বিশেষ আলোচনায় আমাদের হলাম। আজকে লেখাপড়া বিষয়ে কিছু টিপস দিতে চায় আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের। বর্তমানে অনেক ছাত্রছাত্রী আছে যারা কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যান। অনেকে আছে যারা ছোটখাটো জব করে এবং পার্ট টাইম জব করে। যারা কাজ করার পাশাপাশি লেখাপড়া করে একটি ভালো রেজাল্ট করতে চাই তাদের জন্য আমাদের এই আজকের আর্টিকেলটি খুবই
সাহায্য করে একটি আর্টিকেল হিসেবে প্রমাণিত হবে। এখন ইন্টারনেটের যুগ। বিনোদনের জগতে সবাই ব্যস্ত। মোবাইল ফোন ব্যবহার করে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। এজন্য সারা বছর লেখাপড়া না করে পরীক্ষার কিছুদিন আগে লেখাপড়া করতে বসে। যারা সারা বছর লেখাপড়া না করে অল্প সময়ের মধ্যে লেখাপড়া করে ভালো রেজাল্ট করতে চাই। তাই সকাল ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা আমাদের এই আর্টিকেলটি ফলো করতে পারো। আজকে আমরা আলোচনা করব কম সময়ের মধ্যে কিভাবে পড়াশোনা করলে একটি ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব।
সিলেবাস অনেক বড় হয়ে থাকে। কিন্তু যদি আমরা ইমপর্ট্যান্ট টপিক গুলো নোট ডাউন করে পড়াশোনা করি তাহলে সিলেবাসটা ছোট করা সম্ভব। অনেক স্টুডেন্ট রয়েছে যারা সম্পূর্ণ বই পড়তে চেষ্টা করে। যারা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছো তারা কোন দিনই সম্পূর্ণ বই পড়তে যাবে না। ইম্পর্টেন্ট অধ্যায় গুলো ভালোভাবে করতে হবে। বিগত সালের প্রশ্নগুলো ফলো করতে হবে। বিগত সালের প্রশ্নগুলো বারবার রিভিশন করলে বুঝতে পারবে কোন টপিকগুলো বারবার পরীক্ষায়
রিপিট হয়। গুরুত্বপূর্ণ টপিক গুলো ভালোভাবে পড়তে হবে। আমরা যখনই লেখাপড়া করব তখন যেটাই পড়বো সেটা লিখে রাখতে হবে। পড়াশোনা করার সময় শান্ত মাথায় বুঝে পড়তে হবে। আমাদের যদি কোন অধ্যায় বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে সেই অধ্যায়টি বারবার রিভিশন করতে হবে। শ্রেণি শিক্ষক অথবা প্রাইভেট টিউটর এর কাছ থেকে আমাদের সমস্যাগুলির সমাধান করে নিতে হবে। এভাবে পড়াশোনা করলে অল্প সময়ের মধ্যে একটি ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব।
আমরা সবাই কোন না কোন বিষয়ে একটু ভালো আবার কোন বিষয়ে একটু খারাপ হয়ে থাকে। যে সাবজেক্টই আমাদের কঠিন মনে হয় সেই সাবজেক্টটি প্রথমে পড়তে হবে। যে অধ্যায় গুলো কঠিন সেই অধ্যায়গুলো যদি তুমি পড়ে পড়বে বলে রেখে দাও তাহলে হবে না।যে সাবজেক্টে আমরা ভয় পাই সেই সাবজেক্টটি বারবার পড়তে হবে। তাহলে আমরা খুব সহজেই
সেই সাবজেক্টে ভালো রেজাল্ট করতে পারব। পড়াশোনা করার পাশাপাশি পরীক্ষার খাতায় ভালোভাবে লিখতে জানতে হবে। অনেক সময় ছাত্র ভালো হলেও লেখার ধরণ ভালো হয় না এজন্য ভালো রেজাল্ট করা যায় না। তাই হাতের লেখা অবশ্যই সুন্দর হতে হবে। একটার পর একটা প্রশ্ন সুন্দর ভাবে লিখতে হবে। সহজ ভাষায় বুঝে নিজের মতো করে পরীক্ষার খাতায় লিখলে নাম্বার বেশি পাওয়া যায়। তাই অবশ্যই সৃজনশীলতা থাকতে হবে। সৃজনশীলতার সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিলে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব।
বেশিরভাগ স্টুডেন্ট ইংরেজি এবং গণিত সাবজেক্টে খারাপ রেজাল্ট করেন। ইংরেজি খুবই সহজ একটি সাবজেক্ট। ইংরেজি ভাষার চর্চা এবং গ্রামারটিকাল রুলগুলো যদি আমরা বারবার প্র্যাকটিস করি তাহলে খুব সহজে ইংরেজিতে ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। গণিতে যারা ভয় পায় তারা অবশ্যই সকালে এবং সন্ধ্যায় নিয়মিত গণিতের অনুশীলন করব।
যেই গণিতের অধ্যায় গুলো কঠিন মনে হবে সেই অধ্যায় গুলো বারবার করতে হবে। পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য অবশ্যই শ্রেণী শিক্ষকের পরামর্শ এবং সাজেশন গুলো কালেক্ট করতে হবে। প্রথমে হ্যান্ড নোট গুলো কালেক্ট করে ইম্পরট্যান্ট অধ্যায় গুলো মার্ক করে নিতে হবে। তারপর মার্ক করা প্রশ্নগুলো ভালোভাবে পড়তে হবে।
অল্প সময়ের মধ্যেও ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব। মাত্র তিন মাস পড়াশোনা করেও পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়া সম্ভব। তিন মাস নিয়মিত সকালে পড়তে হবে এবং সন্ধ্যায় পড়াশোনা করতে হবে। যখন পড়াশোনা করবে তখন অবশ্যই নিজের শরীরের যত্ন নিতে হবে। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। এভাবে তিন মাস নিয়ম করে পড়াশোনা করলে পরীক্ষায় একটি ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব।