আসলে অ্যাজমা হল শ্বাস যন্ত্রের একটি দীর্ঘস্থায়ী রোগ। এই রোগ হলে আসলে শ্বাসনালী ফুলে যাওয়া এবং শক্ত হয়ে যাওয়া দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এই রোগটি অতিরিক্ত শ্লেষ্মা তৈরি করে বা শ্লেষ্মা তৈরি করতে পারে। এই কারণে এই রোগীরা শ্বাস গ্রহণকালে অসুবিধা অনুভব করে। শ্বাস নেওয়ার সময় শ্বাসকষ্টের শব্দ হয় বা শ্বাসকষ্ট অনুভব করে থাকে। এই রোগটি হলে তার সাথে সাথে কাশি ও হতে পারে। আমাদের বাংলাদেশে এই এজমা রোগীর অভাব নেই। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চল গুলিতে আরো বেশি অ্যাজমারগিয়ে দেখা যায়।
শুধু রাজশাহী অঞ্চল নয় বাংলাদেশের শহরাঞ্চল গুলিতে এজমা রোগী সংখ্যা বেশি থাকে। এর কারণ হলো শহরাঞ্চলে ধুলাবলির সংখ্যা অনেক বেশি থাকার কারণে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসনালীর বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন ঘটে। অর্থাৎ আমরা এতক্ষণ পর্যন্ত যে কথাগুলি বললাম অর্থাৎ অ্যাজমা হলে কি হয় সেই বিষয়গুলি অবশ্যই এই শ্বাস নালীর মধ্যে ঘটে থাকে। আর এই শ্বাসনালীর মধ্যে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া কারণেই মূলত এজমা রোগ হয়ে থাকে।
বিভিন্ন বয়সেই এজমা রোগ হয়ে থাকে। সাধারণত আমাদের সব সময় মনে করতে হবে যেন এজমা রোগ না হয়। কারণ আপনারা জানেন যে যে কোন রোগ প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধ করা বেশি সুবিধা জনক। এই কারণে এই রোগ হলে সেটি সারানোর চাইতে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যেন এই রোগটি যেন আপনার শরীরে বাসা না বাঁধতে পারে। তাই সব সময় আমাদেরকে সতর্ক থাকা উচিত। যাদের অল্প অল্প এই ধরনের বিষয় দেখা দেয় অর্থাৎ প্রথমেই এটিকে প্রতিরোধ করতে
পারবেন। এছাড়াও আমরা সুস্থ ভাবে বাঁচতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করে বাইরে চলাফেরা করলে বাইরের ধুলাবালি অনেকটাই ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে না। আমরা দেখে থাকি যে ধুলাবালির সঙ্গে বিভিন্ন রোগের ভাইরাস আমাদের শরীরের মধ্যে ঢুকে যায়। আর তাই শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদেরকে সবসময় চেষ্টা করতে হবে যেন এই শরীরকে কোনমতেই রোগের বাসা হতে দেওয়া যাবে না।
এরকমভাবে আমরা যদি অ্যাজমা রোগটি হওয়ার পূর্বেই রুখে দিতে পারি তাহলে আপনি সারা জীবন ভাবে অবশ্যই পূর্ণাঙ্গ শ্বাস নিয়ে বা শ্বাসকষ্ট ছাড়া শ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন। কারণ সবচাইতে বড় অসুবিধার জায়গা হল এই শ্বাসকষ্ট। আপনারা সকলেই কমবেশি অনুভব করতে পারবেন যে এই শ্বাসকষ্ট হলে কেমন অসুবিধা হতে পারে শরীরের মধ্যে। এই কারণে আমাদের সব সময় চেষ্টা করতে হবে যে যাতে আমরা কোন অসুখের মধ্যে না পড়ি কোন রোগের মধ্যে না পরি।
সুস্থভাবে যদি আমরা জীবন যাপন করতে চাই তাহলে অবশ্যই সব সময় আমাদেরকে স্বাস্থ্য সচেতন ভাবে চলাফেরা করতে হবে। অ্যাজমারক্তি যদি একবার হয় তাহলে এখান থেকে মুক্তির উপায় অনেকটাই নেই বললেই চলে। তাই আমাদের উচিত হবে যে অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা অর্থাৎ যে কাজগুলো করলে আমার বা একজন রোগীর এজমা রোগটা বেশি বেড়ে যেতে পারে সে ধরনের কাজ কখনোই কোন অবস্থাতেই করা উচিত নয়।
তাহলে আস্তে আস্তে হয়তো একদিন সুস্থ হতে পারে। তাই এখান থেকে খুব একটা বেশি যে মুক্তির উপায় আছে এ কথা আমরা বলতে পারব না। তাহলে চলুন আমরা এখন দেখব যে এজমা রোগ থেকে আসলে মুক্তি পেতে পারি কিনা। বা এজমা রোগের মুক্তির উপায় খুঁজতে পারি কিনা চলুন দেখা যাক। এজমা থেকে মুক্তির উপায় রোগের মাত্রা ভেদে ভিন্ন ভিন্ন। কারো ক্ষেত্রে জীবনধারণে সাধারন পরিবর্তন আনলেই চলে।
আবার কারো কারো ক্ষেত্রে ঔষধ দিয়ে সাময়িক ভাবে এর প্রকোপ কমানো যায়। তবে অনেকের অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়। তখন চিকিৎসা ছাড়া উপায় থাকে না। তাই যদি অ্যাজমা হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনার জীবন যাপন করা উচিত বলে মনে করি। আর যদি চিকিৎসক ঔষধ দেয় তাহলে অবশ্যই সেই ঔষধ গুলি নিয়মিতভাবে আপনাকে সেবন করা উচিত বলে মনে করা হয়।