অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের মধ্যে এমনও অনেকেই রয়েছেন যারা অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগেন এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার সঠিক উপায় সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানেন না। তবে আজকে আপনাদেরকে এই অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থেকে নিজেকে বিরত রাখার যে উপায় রয়েছে সেটি আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব তাহলে আপনারা অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিক থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনাকে যা কিছু করনীয় সকল কিছু আমাদের এই প্রবন্ধের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। অতিরিক্ত গ্যাসটি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হলে বেশ কিছু সাধারণ উপায় রয়েছে। এই সকল উপায় গুলো আপনারা যদি প্রতিদিন প্রতিনিয়ত এই উপায় গুলো সেবন করেন বা এই উপায় গুলো মেনে চলার চেষ্টা করেন তাহলে আপনারা অবশ্যই অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারবেন।

নিচে অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে বেশ কিছু উপায় উল্লেখ করা হয়েছে মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।

১. পানি
পানি পান করার মাধ্যমে মানুষ অতিরিক্ত সুফল পাই। এটা সবারই জানার কথা সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি যদি দুই গ্লাস করে পানি পান করেন তাহলে আপনাকে সারাদিন আর কোন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না এটি বিজ্ঞানী ভাষায় পরীক্ষিত। অনেকেই এই ধরনের কাজ করেন অর্থাৎ অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই গ্লাস বা তিন গ্লাস পানি পান করেন এতে করে পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার থাকে। আর তাই সারাদিন আপনার কোন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না। এজন্য বলছি যে, আপনারা এই নিয়মটি মেনে চলতে পারেন।

২. আদা
আদাতে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা অর্থাৎ জ্বালাপোড়া হলে তা রোধ করতে সহায়তা করে। আদা খেলে সাধারণ মানুষের বমি সমস্যা, বদহজম হওয়া, গ্যাস হওয়া থেকে অনেক কিছুতেই নিস্তার পাওয়া যায়। এজন্য আদা খাওয়া প্রত্যেকটি সাধারণ মানুষের জন্য অনেক বেশি উপকারী স্বরূপ। যদি ক্ষেপে যায় বা পেটে গ্যাসের সমস্যা হয় তাহলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে সেই পানিটি যদি আপনি খেয়ে নেন তাহলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আপনার গ্যাসের সমস্যা অর্থাৎ গ্যাস্টিকের সমস্যা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন।

আদার রসের সাথে মধুর মিশেও খেতে পারেন দুপুরে ও রাতে এটি খাওয়া যেতে পারে। আপনি প্রতিদিন যদি এটি সেবন করেন তাহলে আপনার কোন ধরনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে না। আদা কুচি করে পানি দিয়ে ফুটিয়ে নিন তারপরে আপনাকে যা করতে হবে তা হল ১০ মিনিট ঢেকে রাখুন। এরপর সামান্য মধু তার মধ্যে ছিটিয়ে দিন তারপর সেটি চায়ের মতো করে বানিয়ে নিন এই পানীয়টি যদি আপনি প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার পান করেন তাহলে অনেক ধরনের উপকার পাবেন। এইজন্যই এই সকল তথ্যগুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

৩. কলা
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে, কলা মানুষের হজমে সাহায্য করে। আর আপনার হজম শক্তি যদি কম থাকে তাহলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হবে এটা স্বাভাবিক। যাদের হজম শক্তি কম তারা অনেক ধরনের সমস্যায় ভুগেন গ্যাস্ট্রিক। তাদের জন্য একটি সাধারণ সমস্যা। হজম শক্তি যদি আপনার ঠিক থাকে তাহলে আপনি নিজেকে অনেক ধরনের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারবেন।

আর এই জন্য কলা একটি উপকারী উপাদান। কলা খাওয়া হলে আপনার শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং যে সকল মানুষ কোন খাবার খাওয়ার পরে সেই সকল খাবার গুলো হজম করতে সক্ষম হয় তাহলে তাদের অন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না। এই জন্য কলা সেবন করা কলা খাওয়া আপনার এবং আপনার শরীরের জন্য অনেক ভালো এবং কার্যকরী একটি উপাদান।

পরিশেষে বলা হচ্ছে যে, আপনারা উপরে যে সকল ফর্মুলা গুলো দেখছেন অর্থাৎ মানুষের শরীরের গ্যাস্ট্রিক থেকে নিজেকে দূরে রাখার যে সকল উপায়গুলো আপনাদেরকে দেখানো হচ্ছে এই সকল উপায় গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে। আপনারা এ সকল উপায় গুলো সেবন করতে পারেন। আপনি যদি চান তাহলে আমরা আরো অনেক উপায় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন।

 

Leave a Comment