গাজার নেশা থেকে মুক্তির উপায়

যারা গাজার নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান অথবা গাজার নেশা থেকে কোন একজন ভিকটিমকে মুক্তি পাওয়াতে চান তাদেরকে বেশ কিছু উপায় অনুসরণ করাতে পারলে আশা করি কাজ হবে। গাজার নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় যদি শিখে নিতে পারেন তাহলে যেকোনো ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক কাজের নেশা থেকে মুক্তি করাতে পারবেন এবং সেই অনুযায়ী তাকে কাজে লাগাতে পারবেন। তবে এটা অত্যন্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ নেশা বলে বিবেচিত এবং এই নেশা একজন মানুষের জীবনকে তিলে তিলে শেষ করে দিতে পারে।

যদি মনে হয় গাজা খেয়েছে এমন কোন ব্যক্তিকে দ্রুত নেশা ছুটাবেন তাহলে নিচের কার্যকরী উপায়ে সেই সকল বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন। আর যখন কার্যকরী উপায় গাজার নেশা ছুটানোর চেষ্টা করবেন তখন দেখা যাবে যে সেটার নেশা ছুটে গিয়েছে এবং নিচের দিকে আপনাদের জন্য সে বিষয়ে আলোচনা করা হলো। যদি কোন ব্যক্তি গাজা খেয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে গাজার নেশা ছুটানোর জন্য টক জাতীয় ফল খাওয়াতে হবে অথবা লেবু খাওয়াতে হবে। কারণ টক জাতীয় ফলে এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।

আর যখন এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ করবে তখন দেখা যাবে যে আস্তে আস্তে তার নেশা কেটে যাচ্ছে এবং আসতে ওই নেশার যে ক্ষমতা রয়েছে সেটা নিঃশেষ হয়ে সেই শরীরকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি রয়েছে যেটার মাধ্যমে আপনারা গাজার নেশা ছোটাতে পারেন। এক্ষেত্রে যদি নারিকেলের পানি ম্যানেজ করতে পারেন তাহলে সেই নারিকেলের পানির ফলে গাছের নেশা যেমন কেটে যাবে তেমনি ভাবে সেই ব্যক্তির শরীরে আস্তে আস্তে শক্তি ফিরে আসবে।

গাজার নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার কার্যকরী উপায়

তাছাড়া গাজার নেশা ছুটানোর জন্য সবচাইতে কার্যকরী উপায় হলো আপনি যদি সেই গাঁজাখোর ব্যক্তিকে
চিনি অথবা লবণ ছাড়া শুধু লেবু জল খাওয়াতে পারেন তাহলে খুব কার্যকরী উপায়ে গাজার নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কেউ যদি গাজা খাওয়ার পর শারীরিকভাবে অনেকটাই অসুস্থতা বোধ করে অথবা সে যদি অচেতন অবস্থার মত ভাব ধরে তাহলে অবশ্যই তার কানের ভেতরে দুফোঁটা সরিষার তেল ঢেলে দিলে গাজার নেশা কেটে যাবে এবং সেই জ্ঞান ফিরে আসবে।

গাজার নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার প্র্যাকটিক্যাল উপায়

উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা গাজার নেশা কাটানোর জন্য ব্যবস্থা গুলো অনুসরণ করতে পারেন। তবে গাজার নেশা থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে এ সকল প্রাকটিক্যাল উপায়ে বাস্তবিক জীবনে অনেক কাজে আসে। তাছাড়া সেই গাধার নেশা সাময়িকভাবে কাটানোর পাশাপাশি আপনাদেরকে অবশ্যই পুরো নেশা কাটানোর জন্য মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে অথবা অন্য কেউ ব্যক্তি যদি এটা সেবন করে থাকে তাহলে তাদেরকে মানসিকভাবে সাহস দিতে হবে। কারণ যেকোনো ধরনের নেশা দ্রব্য বস্তু একটা মানুষের শরীরে ব্যাপক ক্ষতি করে এবং এই ক্ষতি হওয়ার পরে ধীরে ধীরে সেই ব্যক্তি ধ্বংসের পথে চলে যেতে পারে।

গাজার নেশা কতদিন থাকে

গাজার নেশা কতদিন থাকে এই প্রশ্নের উত্তর যদি জানতে চান তাহলে বলব যে এটা কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত একটা শরীরে থাকে। তবে উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা যদি গাজার নেশা কাটাতে চান তাহলে অবশ্যই সেই নিয়ম গুলো অনুসরণ করলে কিছুক্ষণের ভেতরেই গাজার নেশা কেটে যাবে। তাই যে সকল ব্যক্তি গাজা খায় তাদেরকে আমরা যদি সঠিক পথে পরিচালনা করার বিষয়গুলো জানিয়ে দিই অথবা ধর্মীয় অনুশাসনের বিষয়গুলো জানিয়ে দিতে পারি তাহলে সেই অনুযায়ী সেই ব্যক্তি হয়তো গাজা খাওয়া ছেড়ে দিতে পারে।

গাজা খাওয়া ছেড়ে দিলে কি হয়

অনেকেই বলে থাকে গাজা খাওয়া ছেড়ে দিলে শরীর অনেক ক্ষতি হয় অথবা শরীর ফুলে যেতে পারে। সাময়িকভাবে এ সকল সমস্যাগুলো হয়ে থাকলেও অথবা কিছু কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে না হয়ে থাকলেও হয়তো এটা বাদ দেওয়ার কারণে অনেক খারাপ লাগতে পারে। গাজার নেশা যখন উঠবে তখন আপনাদেরকে অবশ্যই ভালো পরিবেশে থাকতে হবে এবং ভালো কিছু শুনতে হবে ও জানতে হবে। অর্থাৎ মানুষের সংস্পর্শে থাকলে এবং ভালো মানুষের সংস্পর্শে থাকার ফলে যদি ভালো কিছু শুনতে পারেন তাহলে গাঁজা খাওয়ার পরও গাঁজার নেশা আপনারা ছাড়তে পারবেন।

Leave a Comment