গাইনেকোমাস্টিয়া থেকে মুক্তির উপায়

কেউ যদি গাইনোকোমাস্টিয়া সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে সেটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে যারে জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই প্রসঙ্গে আলোচনা করব। কারণ এই সমস্যা যদি কোন পুরুষের থেকে থাকে তাহলে তারা টি শার্ট থেকে অন্যান্য যেকোনো ধরনের টাইট ফিটিং পোশাক পড়তে লজ্জাবোধ করেন। তাই এই সমস্যা যদি না হয় তার জন্য আপনাদেরকে বিশেষ কিছু পদ্ধতি শিখিয়ে দেওয়া হবে এবং সেই ক্ষেত্রে যারা সার্জারি করার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদের সার্জারি করার ক্ষেত্রে কত টাকা খরচ হতে পারে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

এই রোগের সমস্যা অনেকেরই হতে পারে এবং এই সমস্যা হওয়ার ক্ষেত্রে হরমোনের বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে শরীরের প্রত্যেকটি হরমোনের ব্যাপারে যদি ব্যালেন্স না থাকে অথবা ভারসাম্য না থাকে তাহলে আপনার শরীরের স্তন এটা ফুলে যেতে পারে। স্বাভাবিকভাবে একটা পুরুষের স্তন অথবা পুরুষের বুক শক্ত হবে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের লোম গজাবে। কিন্তু যারা গাইনোকোম্যাস্টিয়ার রোগী তারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্তন নরম করে ফেলে অথবা স্তন আপনা আপনি নরম হয়ে যায়।

আপনি দৈনন্দিন জীবনে যে সকল জীবন ব্যবস্থা অনুসরণ করছেন সেটার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। বিশেষ করে বেশি পরিমাণে তেলে ভাজাপোড়া জাতীয় খাবার অথবা চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার ফল এটা হয়ে থাকে। তাছাড়া পারিবারিক জিনগত কারণেও এটা হতে পারে। তাই সকল দিক বিবেচনা করে যদি আমরা এটার উত্তর বলতে চাই তাহলে আপনার গাইনোকমিস্ট্রিয়া যেভাবে হয়ে থাকুক না কেন সর্ব প্রথম আপনাকে খাবারদাবারের ব্যাপারে এবং তেল খাবার ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।

খাবার-দাবার ব্যাপারে আমরা যদি সচেতন ভূমিকা পালন করে চলি এবং কিছু এক্সারসাইজ করার চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই এই ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। অর্থাৎ আপনাদের নরম বুক আস্তে আস্তে শক্ত হতে শুরু করবে এবং গাইনোকোম্যাস্টিয়া কমতে শুরু করবে। তাই গাইনোকোম্যাস্টিয়া থেকে বাঁচতে আপনারা পুষ আপ দেওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল ব্যায়াম রয়েছে যেগুলো এগুলোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে সেগুলো মেনে চলতে হবে। ইউটিউবে সার্চ করলে আপনারা গাইনোকমাস থেকে কমার মত বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম পেয়ে যাবেন। তাই খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার পাশাপাশি আমাদের সকল নিয়ম মেনে চললে আশা করি আস্তে আস্তে আপনার শরীরের ওজন কমে যাবে এবং আপনার সেই গাইনোকোমস্টিয়াও কমে যাবে।

গাইনোকোম্যাস্টিয়া সার্জারি খরচ বাংলাদেশ

তবে অনেক ক্ষেত্রে আপনাদেরকে গাইনোকোম্যস্টিয়া কমার জন্য সার্জারি করতে বলা হয়ে থাকে। এটা সম্পূর্ণ এক ধরনের ঐচ্ছিক সার্জারি অথবা এটা অনেক সময় যাদের টাকা পয়সা আছে তারা করে থাকেন বলে বেশি টাকা খরচ পড়বেন। এক্ষেত্রে খুব নিখুঁতভাবে বুকের চর্বি অপারেশন করার জন্য ডাক্তারের ভূমিকা পালন করবে এবং সেই চর্বি ও অপসারণ করে দেবে। তাই এই ক্ষেত্রে আপনি অপারেশন করলে কমপক্ষে এক লক্ষ টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা খরচ পড়বে। তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে এই খরচের পরিমাণ আরো বাড়তে পারে।

গাইনেকোমাস্টিয়া অপারেশন খরচ কত

সাধারণত শরীরের ওজন অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এই সমস্যাগুলোর যেহেতু সৃষ্টি হয়ে থাকে সেহেতু আপনারা শরীরের ওজন কমানোর জন্য ভূমিকা পালন করতে পারেন। বর্তমান সময়ের কার্যকরী উপায়ে জেকে লাইফস্টাইল অনুসরণ করার মাধ্যমে শরীরের ওজন কমে যেতে পারে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখতে পারেন। তবে ওজন কমাতে যদি না পারেন তাহলে গাইনোকোম্যাস্টিয়া থেকে মুক্তির জন্য আপনাদের অপারেশন করতে হবে। আর অপারেশনের খরচ কত হতে পারে তার উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।

ছেলেদের দু’ধ কমানোর ওষুধ

ছেলেদের যদি দু’ধের সাইজ বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনারা সেই অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে পারেন। ওষুধের মাধ্যমে হরমোনের ব্যালেন্স আসলেও যেটা শরীরে পরিবর্তন চলে এসেছে সেটার পরিবর্তন আপনারা হয়তো খুব একটা করতে পারবেন না। তাই আপনাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার পাশাপাশি এক্সারসাইজ করতে হবে এবং বিভিন্ন এক্সারসাইজের মাধ্যমে আস্তে আস্তে পরিবর্তন চলে আসবে। আর কেউ যদি দ্রুত সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে সার্জারির মাধ্যমে সম্পন্ন করে নিতে পারেন।

Leave a Comment