ওসিডি থেকে মুক্তির উপায় জানার চাইতে আগে আমাদের জেনে নিতে হবে আসলে ও সিটি কথাটির অর্থ কি। ওসিডি ফুল মিনিং কি সেই বিষয়টি আগে আমাদের জেনে নিতে হবে তারপর এ থেকে মুক্তির উপায় বিষয়টি আমরা খুঁজে বের করতে পারবো। তাহলে চলুন আগে ওসিডি কি এ বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। OCD কথার অর্থ হচ্ছে Obsessive Compulsive Disorder. এর মানে হলো আপনি কোন কিছু নিয়ে যদি অত্যাধিক ভেবে থাকেন তাহলে সেই বিষয়টি সম্পর্কে যাবতীয় ভাল
অথবা খারাপ উভয় বিষয় সম্পর্কে আপনার মনের মধ্যে চলে আসবে। অর্থাৎ কল্পনার মধ্যে অনেক কিছু চলে আসবে এবং সেটার কারণে আপনার মানসিক চাপ বাড়বে। অর্থাৎ বলা যায় যে এই সকল কিছু ভাবার কারণে আপনার মানসিক অত্যাধিক ভাবে চাপে পড়বে কিন্তু আপনি যন্ত্রণা অনুভব করবেন কিন্তু এই বিষয়টি ইচ্ছা করলেও ছাড়তে পারবেন না।
আর ইচ্ছা করলেও ছাড়তে না পারার বিষয়টি হলো আসলে ওসিডি। এখন আমাদের দেখতে হবে যে এই ওসিডি থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কি। হয়তো এই ওসিডি ভালো করে বুঝতে পারেননি, আরো ভালো করে বোঝানোর জন্য বলতে হচ্ছে যে আপনি যদি একজন বাবা হয়ে থাকেন তাহলে আপনার ছেলে অথবা মেয়ে বাড়ির বাইরে থেকে পড়াশোনা করে। সে যখন
বাড়ি থেকে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে স্কুল অথবা কলেজে চলে গেল তখন আপনার চিন্তা হতে থাকলো ছেলেটি অথবা মেয়েটি আমার ঠিকমতো স্কুলে গেল কিনা পথে কোন বিপদ হবে কিনা এবং সে ঠিকমতো আবার বাসায় ফিরবে কিনা। এই ধরনের চিন্তা করতে করতে আপনি যাবতীয় চিন্তাভাবনা অর্থাৎ ভাল খারাপ দুই চিন্তা করতে করতে একসময় যত খারাপ চিন্তা করি আপনার মাথায় আসা সম্ভব সেই চিন্তা গুলি এসে গেল।
আপনি মানসিকভাবে যন্ত্রণা ভোগ করলেন কিন্তু একসময় দেখা গেল আপনার ছেলে অথবা মেয়ে ঠিক সময় বাড়ি ফিরে চলে এলো। আর এই মানসিক যন্ত্রণারটাই আসলে ওসিডি বলা হয়। তবে এই সকল বিষয় সম্পর্কে মনোবিদরা আরও বেশি ভালো করে বলতে পারবে। আমরা সাধারণত ও সিটি কেমন ধরনের বিষয় সে সম্পর্কে আপনাদেরকে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র। এখন আমাদের দেখতে হবে বা খুঁজে বের করতে হবে যে এই ওসিডি থেকে আমরা আসলে কিভাবে মুক্তি
পেতে পারি। এরকম বিষয়গুলি আপনারা ভেবে দেখবেন যে অনেক মানুষের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু যাদের মধ্যে বেশি রয়েছে তাদেরকে মানসিক রোগী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তবে ওসিডি হল মানসিক রোগ। আর এই রোগ থেকে মুক্তির উপায় অবশ্যই মানসিক চিকিৎসকন দিতে পারবেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা পরামর্শ দিতে পারি যেগুলিতে আপনি সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে পারবেন।
আর সেই কথাগুলি এখন আপনাদের বর্ণনা করব কিভাবে আপনি আপনার মনকে এই সকল দুশ্চিন্তা থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারেন। মনকে ঐ সকল জায়গা থেকে বের করে নিয়ে আসতে হলে আপনাকে নিয়মিতভাবে-যোগাসন, প্রাণায়াম, মেডিটেশন,ডিপ-ব্রিদিং এগুলো করলে অবশ্যই আপনার মন সেই ধরনের দুশ্চিন্তা থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসবে বা কার্যকারী ভূমিকা পালন করবে বলেই মনে করা হয়।
এছাড়াও আপনার শরীরে ক্লান্তিবোধ নিয়ে আসতে হবে অর্থাৎ প্রচুর পরিশ্রম বা শারীরিক ব্যায়াম করে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম হলে আপনার শরীর অবশ্যই সে ক্লান্তি থেকে বেরিয়ে আসবে এবং এই ধরনের আজেবাজে বিষয়গুলি মাথায় আসবে না। এবং আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হল কোনমতেই অ্যালকোহল বা নিকোটিন জাতীয় পদার্থ যেন শরীরের প্রবেশ করতে না পারে।
যদি এই খারাপ অভ্যাসগুলো আপনি কমপক্ষে ছয় মাস সঠিকভাবে ধরে রাখতে পারেন বা বদভ্যাসগুলো বাদ দিতে পারেন তাহলে আপনার মন থেকে এই সকল আজেবাজে বিষয়গুলি দূরে সরে যেতে পারে বলেই মনে করি। এ চেষ্টা গুলি করেও যদি সফলতা না পান তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।