মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির উপায়

সঠিক দিক দিয়ে যদি ছেলে সন্তানের সঙ্গে মেয়ে সন্তানের তুলনা করা হয় সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে একজন মেয়ে সন্তান ছেলে সন্তানের থেকে একটু দুর্বল হয়। সঠিকভাবে তার পরিচর্যা করে তাহলে অবশ্যই সেই মেয়ে সন্তানও অনেক সুস্থ থাকবে এবং সঠিক সময় সঠিক উচ্চতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারবে। জন্মগ্রহণের পর থেকে বাড়তি বয়স পর্যন্ত বাবা-মাকে প্রত্যেকটা বিষয় খেয়াল রাখতে হয় আর এত বড় দায়িত্ব পালন করেন বলেই তারা বাবা মা। একটু শান্ত মাথায় চিন্তা করলে হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন বাবা-মায়ের দায়িত্ব কতটা বড় সন্তান জন্মগ্রহণ এর আগে থেকে যতদিন তারা পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে তার সন্তানের দায়িত্ব তার ঘাড়ের উপরেই থাকে।

সন্তানের সঠিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং এই তথ্যের আলোকে বড় বড় চিকিৎসকের কিছু পরামর্শ আমরা জানতে পেরেছি চেষ্টা করব আপনাদের আজকে আমরা এই বিষয়ে হালকা ধারণা দিতে।। মেয়েদের সঠিক উচ্চতা পাওয়ার জন্য প্রথম আলো একটি প্রতিবেদন রয়েছে যে প্রতিবেদনে জানতে চাওয়া হয়েছে একজন বড় চিকিৎসক এর কাছে যার নাম আতসী আফরিন, বয়স ১৬ বছর এবং ওজন ৫৫ কেজি উচ্চতা ৫ ফুট এক্ষেত্রে উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য একজন মানুষ আর কি কি করতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জিনিস থেকে উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে একটা হচ্ছে সঠিক খাবার খাওয়া এবং পরিমাণে ঘুম ও শারীরিক পরিশ্রম। তিনটা পয়েন্ট আমরা এখানে উল্লেখ করলাম আশা করছি শেষ পর্যন্ত আপনারা আমাদের সঙ্গে থেকে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির বয়স

মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির বয়স ১৮ বছর পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তাদের শারীরিক গঠন ২৫ বছর পর্যন্ত হয় কিন্তু তাদের উচ্চতা বৃদ্ধি পায় ১৮ বছর পর্যন্ত এটা প্রমাণিত। কি কি খাবার এবং উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য কি কি জিনিস করা যেতে পারে সেই বিষয়ে জানব।

প্রাকৃতিক উপায়ে মেয়েদের উচ্চতা বৃদ্ধির উপায়

প্রাকৃতিক উপায় একজন মেয়ের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য সবার প্রথমে গুরুত্ব দিতে হবে খাবারের প্রতি। যত পরিমাণে আম এসেছে যেমন মাছ মাংস থেকে শুরু করে ডিম ও দুধ ডাল জাতীয় খাবার সকল ধরনের বাদাম জাতীয় খাবার প্রতিদিন যেন সে পর্যাপ্ত পরিমাণে খায় সেদিকে অবশ্যই রাখতে হবে। ক্যালোরির দিকে নজর দিতে হলে অবশ্যই শর্করা জাতীয় খাবার যেমন ভাত এবং রুটি এইগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে বাড়তি বয়সে। তাছাড়া অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন খনিজ এগুলো পাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে খাবার খেতে হবে এবং হাড়ের গঠন শক্তিশালী হতে এবং হাড়ের গঠন নিশ্চিত করতে অবশ্যই ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে।

উপরে উল্লেখ করা খাবারগুলো যদি বাড়তি বয়সে কোন বাবা-মা সন্তানের জন্য পর্যাপ্ত রাখতে পারে তাহলে সেই বাবা-মা নিশ্চিত থাকতে পারে সন্তান জিনগতভাবে যতটুকু লম্বা হওয়ার কথা ততটুকুই হবে। আর মেয়েদের লম্বা হওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই বাবা মা চিন্তায় থাকে তাই অবশ্যই বাবা-মাদের মেয়েদের খাবারের প্রতি নজর দিতে হবে।

প্রাকৃতিকভাবে মেয়েদের লম্বা হওয়ার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম। আপনি যদি সঠিক সময় ঘুমাতে না যান এবং সঠিক সময় ঘুম থেকে না ওঠেন তাহলে আপনার শরীর কখনোই সবকিছু মেন্টেন করতে পারবে না আর যখন গোলমেলে হয়ে যাবে সবকিছু তখন শারীরিক গঠন সঠিক হবে না।

শারীরিক গঠন নিশ্চিত করতে অবশ্যই নিজের মেয়ে সন্তানকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম এবং সঠিক সময়ে ঘুমের ব্যবস্থা করে দিন। এর পরবর্তীতে যেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হচ্ছে ব্যায়াম। দৈনন্দিন জীবনে পড়াশোনাতে সন্তানকে আমরা এতটাই ব্যস্ত করে দিচ্ছি যে তার শারীরিক পরিশ্রম হচ্ছে না যেটা তার শারীরিক গঠন বৃদ্ধি করতে একটি বড় ধরনের বাধা। মেয়ে সন্তান যেন নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং এই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখলেই নিশ্চিত সে পর্যাপ্ত পরিমাণে লম্বা হবে।

 

 

Leave a Comment