মেয়েদের এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ কি কি

এপেন্ডিসাইটিস এমন একটি সমস্যা যেটা গ্রামাঞ্চলে মানুষের বেশি দেখা যায়। এটা গ্রামাঞ্চলে বেশি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে লক্ষণগুলো দেখার পরেও আমরা এগুলোকে অবহেলা করি তার কারণ হচ্ছে আমরা জানি না এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার লক্ষণ। লক্ষণ গুলোর ক্ষেত্রে শুধুমাত্র যে ছেলেদের ক্ষেত্রে একই ধরনের লক্ষণ বা মেয়েদের ক্ষেত্রে আলাদা ধরনের লক্ষণ আছে এমন নাই। আসুন সকলে মিলে জানার চেষ্টা করি এই রোগ সনাক্ত করার জন্য ছেলে অথবা মেয়েদের জন্য কোন কোন সমস্যা বা কোন কোন লক্ষণ দেখা যায়।

সাধারণত তলপেটে ডানদিকে ব্যথা একইসঙ্গে জ্বর এবং একই সঙ্গে বমি এই ধরনের প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়। তবে এই লক্ষণ গুলো অন্য কারণেও হয়ে থাকে এবং ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই একই লক্ষণ হয়ে থাকে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে কোন ধরনের পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া যাবেনা অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে কিনা কিন্তু এটা এমন একটি রোগ যে এটা আগে বুঝতে না পারলে পরবর্তীতে এটা অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই কারো শরীরে যদি একই সঙ্গে ব্যথা এবং জ্বর ও বমি হয় এবং তলপেটের ডান দিকে ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এপেন্ডিক্স এর ব্যাথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে

আমরা যে ৭ ধরনের লক্ষণের কথা উল্লেখ করব সেটা যদি কারো শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই তারা বুঝতে পারবেন তার এপেন্ডিসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। কেউ এপেন্ডিসাইটিস বলে কেউ অ্যাপেন্ডিক্স বলে যেটাই বলুক না কেন রোগটা একই এবং এটা যত দ্রুত সমাধান করা যাবে ততই ভালো। এই লক্ষণ গুলোর মধ্যে সবার প্রথমে যে লক্ষণ দেখা যায় সেটা হচ্ছে রোগীর তলপেটে ব্যথা। এই দল পেটে ব্যথার সঙ্গে আর কি কি সমস্যা থাকতে পারে চলুন সেগুলো জানার চেষ্টা করি।

  1. তলপেট এর ডান দিকে ব্যথা
  2. জ্বর
  3. বমি
  4. শারীরিক দুর্বলতা
  5. প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
  6. হাঁটাচলা করতে না পার
  7. তলপেট ফুলে ওঠা
  8. হজমের সমস্যা হওয়া
  9. ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য

উপরে উল্লেখ করা লক্ষণগুলো যদি একইসঙ্গে কারো শরীরে থাকে তাহলে অবশ্যই নিকটস্থ রেজিস্টার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আরো যদি বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গেই থাকুন আমরা চেষ্টা করব আপনাদের এ বিষয়ে জানাতে ‌।

এপেন্ডিসাইটিস এর লক্ষণ

এটা এমন একটি সমস্যা যেটা হঠাৎ করেই মানব শরীরে দেখা দেন এবং দেখা দেওয়ার পরে প্রচন্ড ব্যথা হয়। যদি এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অপারেশন করে সেটা শরীর থেকে অপসারণ করাটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সঠিকভাবে যদি এটা করা যায় তাহলে আর পরবর্তীতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না তবে যাদের এই সমস্যা থেকে থাকে তারা সাধারণত অপারেশনের কাছে যাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু ভুল করে ফেলেন অর্থাৎ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেন না।

তখন সম্পর্কে আমরা উপরে খুব স্পষ্টভাবে আপনাদের জানিয়েছে উপরে উল্লেখ করা প্রত্যেকটি লক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে এই লক্ষণ গুলো দেখার সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে বসে না থেকে দ্রুত একজন রেজিস্টার চিকিৎসকের কাছে যাবেন। সঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা না করাতে পারেন তাহলে আপনার কষ্টই বৃদ্ধি পাবে। সব সময় আমরা রোগীদের পাশে থাকার চেষ্টা করি যাতে করে সঠিক তথ্য পেয়ে তারা অনেক বেশি উপকৃত হন।

এপেন্ডিসাইটিস এমন একটি রোগ যেটা প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারে রয়েছে। তবে এটা বংশ পরিক্রমায় আসা এমন কোন রোগ নয় হঠাৎ করে যে কারো শরীরে এই রোগ ধরা পড়তে পারে এবং খুব দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে হতে পারে অথবা অপারেশন করা লাগতে পারে ‌। আশা করছি বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে আপনারা বুঝতে পেরেছেন কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সেগুলো আমাদের জানাবেন।

 

Leave a Comment