বিভিন্ন জায়গায় যখন প্রশ্ন করা হয় মহান আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম কে সৃষ্টি করেছেন তখন হয়তো আপনারা এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেই জানেন না বলে সঠিকভাবে প্রদান করতে পারেন না। তবে আপনাদের এখানে আমরা রেফারেন্স সহকারে এ প্রশ্নটির উত্তর প্রদান করব বলে অনেকেই তা বুঝতে পারবেন। বিভিন্ন জায়গায় যখন প্রশ্ন করা হয় মহান আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম কে সৃষ্টি করেছেন তখন হয়তো আপনারা ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন উত্তর দেখেছেন বলে বিভিন্ন ধরনের উত্তরের ভেতরে কোনটি প্রদান করবেন তা বুঝতে পারেন না। আর সেই জন্যই আমরা এখানে রেফারেন্স সহকারে আল্লাহ তায়ালা প্রথমে কি সৃষ্টি করেছেন তা উল্লেখ করব।
আল্লাহপাক মানুষ এবং জিন জাতিকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। মহান আল্লাহ তায়ালা যখন এ পৃথিবীর বুকে মানুষ ও জিন জাতিকে ইবাদত করার জন্য সৃষ্টি করেছেন তেমনি ভাবে তাদের প্রত্যেকটি কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ামত প্রদান করেছেন। মানুষ জাতি যেমন অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে না তেমনি ভাবে অন্যান্য যে সকল প্রাণী রয়েছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাই আমাদের সুবিধার্থে আল্লাহ পাক যে সকল ভালোবাসা প্রদর্শন করেছেন সেগুলো কখনোই ভুলে যাবার মত নয়।
আমরা যদি একটু লক্ষ্য করে দেখি তাহলে দুনিয়ার জীবনে হয়তো অনেক ধরনের অন্যায় কাজ অথবা পাপ কাজের মধ্যে লিপ্ত থাকার পরেও দেখবো আল্লাহপাক কখনোই আমাদেরকে তাঁর নেয়ামত ও রহমত থেকে বঞ্চিত করেননি। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহপাক তাঁর বান্দাদের ভালোবাসা এবং বান্দা যদি ভুল করেও থাকে তাহলে সেটা ক্ষমা চাওয়ার ভিত্তিতে ভুল ক্ষমা করে দেন। তাই এই পৃথিবীর বুকে আমরা বেশ কিছু দায়িত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আল্লাহ পাকের ইবাদত করার পাশাপাশি মানুষের জন্য কল্যাণ করা হয় এমন কোন কাজে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করব।
আর যেহেতু আপনারা টপে অনুযায়ী আল্লাহপাকের প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে এসেছেন সেহেতু এই সৃষ্টি হিসেবে আমরা কলমের নাম উল্লেখ করব। অর্থাৎ মহান আল্লাহ্র প্রথম সৃষ্টি কলম। মহানবী (সঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ প্রথম যে জিনিস সৃষ্টি করেন, তা হল কলম। তিনি তাঁকে বললেন, ‘লিখো’। সে বলল, ‘প্রভু! কি লিখব?’ তিনি বললেন, ‘কিয়ামত পর্যন্ত প্র্যত্যেক জিনিসের ভাগ্য লিখো।’এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা আশা করি বুঝতে পারছেন যে মহান আল্লাহ পাক সর্বপ্রথমে কি সৃষ্টি করেছেন।
তবে অনেক জায়গায় দেখা যায় যে মহান আল্লাহ পাক আরশে আজিম সৃষ্টি করেছেন। তবে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভিন্ন সোর্স থেকে ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা সর্বোত্তম উত্তর হিসেবে কলমের নাম জানতে পেরেছি। তাই আপনারা এখান থেকে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারলেন বলে আপনাদের ভাগ্য মহান আল্লাহ পাক আগে থেকে লিখে রেখেছেন। তবে আপনার কাছে যদি মনে হয় আপনার এই ভাগ্য আপনার জন্য সুপ্রসন্ন নয় তাহলে দোয়ার মাধ্যমে ভাগ্যকে বদলাতে পারেন।
মহান আল্লাহপাক আমাদের জীবনের সকল ধরনের উপাদান চালু রেখেছেন এবং সকল ধরনের নিয়ামত আমাদের জন্য লিখে রেখেছেন। তাই আমরা যদি দোয়া করতে পারি এবং আল্লাহপাকের সন্তুষ্ট করতে পারি তাহলে দোয়া এমন একটা জিনিস যা বান্দার ভাগ্যকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাই আল্লাহপাকের কাছে নির্দিষ্ট করে কোন কিছু চাওয়ার পরিবর্তে সব সময় এভাবে চাইতে হবে যে, যা আমাদের জন্য কল্যাণ কর তাই যেন আল্লাহ পাক আমাদেরকে প্রদান করে থাকেন। কারণ আল্লাহপাক হয়তো আমাদের জন্য কল্যাণ করে জিনিস দিয়ে আমাদের সন্তুষ্টি প্রদান করেন।
আবার অনেক সময় হয়তো আমাদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে অকল্যাণকর জিনিস প্রদান করে আমাদের পরীক্ষা নিয়ে থাকেন। দুনিয়ার মতো পরীক্ষা ক্ষেত্রে টিকে থাকার জন্য আমাদেরকে ধৈর্য ধারণ করে অবশ্যই আল্লাহর পথে থাকতে হবে। কেউ যদি আল্লাহপাকের প্রতি ভরসা হারিয়ে ফেলেন এবং সেই পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যান তাহলে দেখা যাবে যে এর চাইতে দুর্ভাগ্য ব্যক্তি আর কেউ নেই। তাই আল্লাহ মহান এবং আল্লাহ যা কিছু করেন আমাদের ভালোর জন্যই করেন এটা মেনে নিয়ে সব সময় সকল পরিস্থিতিতে বলতে হবে আলহামদুলিল্লাহ।