যেকোনো ধরনের নেশাদ্রব্যই আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে নেশা দ্রব্য খেতে খেতে আপনারা যারা বিপর্যস্ত অথবা এটা ছাড়া চলতেই পারেন না তারা হয়তো অনেক সময় বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করেন। আশেপাশের যে সকল ব্যক্তি নেশা করেন তাদের ভেতরে খুব বেশি জনের মধ্যে গাঁজা খাওয়ার নেশাটা বেশি দেখা যায়। কারণ কম দামের ভেতরে আপনি এই গাজার নেশাগুলো হয়তো করতে পারছেন অথবা অন্য যে সকল ব্যক্তিরা করছে তারা তাদের আয়ের উপর নির্ভর করে গাঁজা খেয়ে তাদের নেশাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তবে যারা গাঁজা খায় তাদের আবার দুধ খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। তাই গাজার সঙ্গে দুধের কি সম্পর্ক অথবা গাঁজা খেয়ে দুধ খেলে কি ধরনের শারীরিক উন্নতি হয় অথবা অবনতি হয় এ প্রসঙ্গে যারা জানতে এসেছেন তাদের জন্যই আমরা এখানে এই আলোচনা শুরু করেছি। অনেকেই বলে থাকেন গাজা খাওয়ার পর অথবা যে ব্যক্তি গাজা খায় সে ব্যক্তি যদি নিয়ম করে দুধ খায় তাহলে তার শারীরিক কোন ধরনের অবনতি হয় না। আর এই ক্ষেত্রে গাজা খাওয়ার পর অনেকেই দুধ খেয়ে থাকেন।
তাই গাজা খাওয়ার পর যারা দুধ খান তাদের হয়তো শারীরিক অবনতি হয় না কিন্তু এটা অবশ্যই কোনো না কোনোভাবে আপনার শরীরে ক্ষতি করবে।অর্থাৎ আপনি যে গাজা খাচ্ছেন সেটার মধ্যে যে ক্ষতিকর দ্রব্যগুলো আছে সেটা হয়তো আপনার মস্তিষ্কে কিছুক্ষণের জন্য শান্তি প্রদান করলে অথবা এটা আপনার নেশাকে চরম পর্যায়ে নিয়ে গেল শারীরিক যে ক্ষতি হচ্ছে সেটা দুধ খাওয়ার মাধ্যমে পূরণ হবার নয়।
তাই যারা গাঁজা সেবন করে থাকেন তাদের উদ্দেশ্যে বলবো যে এই গাধা সেবন করার পর দুধ খেলেও হয়তো আপনারা সাময়িকভাবে সেটা শান্তি অথবা শারীরিকভাবে ভালো কিছু উপলব্ধি করতে পারলেও ভবিষ্যতে এটার সাইড ইফেক্ট আপনাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। তাছাড়া ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যেকোনো ধরনের নেশ জাতীয় দ্রব্য নিষেধ করা হয়েছে বলে এগুলো যদি আমরা চলতে পারি তাহলে সবচাইতে ভালো হয়। কোন ধরনের নেশার মূল উৎস হলো সিগারেট এবং সিগারেট খাওয়া থেকে একটা মানুষ পরবর্তীতে অন্যান্য নেশা দ্রব্যের কেমন টেস্ট এটা গ্রহণ করতে গিয়ে আস্তে আস্তে তারা সেখানে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে।
তাই নেশা জাতীয় দ্রব্যগুলো বাস্তবিক জীবনে এড়িয়ে চলতে হবে এবং এটার মাধ্যমে আপনি যেমন নিজের শারীরিক অবস্থার উন্নতি করতে পারবেন তেমনি ভাবে আপনার পরিবার ও আপনার পরিবেশ সকল দিক থেকে সুরক্ষা অবলম্বন করতে পারবেন। তাই এখানকার আলোচনার ভিত্তিতে আপনারা যারা নেশা জাতীয় দ্রব্য থেকে সবসময় নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারবেন সেটাই সবচাইতে ভালো হবে।তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আপনাদের সামনে এ বিষয়গুলো উপস্থাপন করলাম বলে আশা করি আপনাদের তা বুঝতে অনেক সুবিধা হল।
গাজা খাওয়া ছেড়ে দিলে কি হয়
গাজা খাওয়া অবস্থায় আপনাকে হয়তো অনেকেই পরামর্শ দেবে যে আপনি এই অভ্যাসে পরিণত হয়েছেন বলে যদি গাজা খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন হবে অথবা আপনি অসুখে ভুগবেন। তবে এ ধরনের কথা তাদের মুখেই মানায় যারা গাঁজা খাওয়াতে আসক্ত হয়ে গিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি গাজা খাওয়া ছেড়ে দেন তাহলে সেটা আপনার শারীরিক অবস্থার অবশ্যই উন্নতি করবে এবং আস্তে আস্তে আপনি নেশা দ্রব্য থেকে দূরে সরে আসতে পারবেন। ছেড়ে দেওয়ার কিছুদিন পর আপনাদের শরীরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের খারাপ লাগে কাজ করলেও আস্তে আস্তে সেটা ঠিক হয়ে যাবে এবং আপনি পরবর্তীতে ভালো বোধ করতে পারবেন।
প্রথমবার গাঁজা খেলে কি হয়
প্রথমবার গাঁজা খেলে কি হয় এই প্রশ্ন যারা করেছেন তারা আসলেই বোকা। প্রথমবার আপনি হয়তো গাঁজা খেলে সেটা আপনার শরীরে প্রচুর পরিমাণে সাইড ইফেক্ট তৈরি করবে এবং শরীর আপনার প্রচুর পরিমাণে দুর্বল করে দিবে। এই দুর্বলতার সাথে আপনাদের মাথা ঝিমঝিমি ভাব আসতে পারে এবং শরীর যদি দুর্বল হয়ে থাকে তাহলে এটা অনেকেই সহ্য করতে পারে না। তাই যেকোনো নেশা জাতীয় দ্রব্য আমাদের জন্য খারাপ এটা ভেবে সবসময় সেগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।