প্রিয় বন্ধুগণ এবং আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীগণ আজকে এই আর্টিকেলে আমরা রসায়নের একটি বিষয় পদার্থের গঠন এবং পদার্থের উপস্থিত কেলাস পানি সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব। রসায়ন এমন একটি সাবজেক্ট যেখানে পদার্থের অবস্থা এবং অণুগুলোর পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে পারলে রসায়ন হয়ে যাবে অনেক সহজ। কিন্তু রসায়ন পাঠের সময় অবশ্যই
মনোযোগ দিতে হবে কারণ বুঝতে না পারলে রসায়ন মনে হবে অনেক কঠিন। নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য আমাদের আর্টিকেলটি খুবই উপযোগী হবে। আজকে এই আর্টিকেলটিতে আমরা রসায়ন পাঠের গুরুত্ব আলোচনা করব এবং রসায়নের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কেলাস পানি সম্পর্কে যত ধরনের সমস্যা রয়েছে সব সমাধান করে দেব।
রসায়ন খুবই জটিল এবং মজাদার একটি সাবজেক্ট। বুঝতে না পারলে রসায়ন সাবজেক্ট হয়ে যাবে খুবই কঠিন কিন্তু মনোযোগ দিয়ে যদি বোঝার চেষ্টা করা যায় তাহলে রসায়ন হয়ে যাবে ইন্টারেস্টিং। শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক যখন আমাদের কোন বিষয়ে বোঝান তখন অনেক সময় কিন্তু শ্রেণিকক্ষে আমরা বুঝতে পারি না। আরো ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতির কারণে অনেক সময় আমাদের অনেক বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে বুঝতে সমস্যা হয়।
কিন্তু এখন আমরা হাতের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে কিন্তু আমাদের পড়াশোনার বিষয়ে যে কোন প্রশ্নের সমাধান খুব সহজে করে নিতে পারি । আজকে আমরা জন্ম কেলাস পানি কাকে বলে। এবং বস্তু হতে কেলাস পানি নির্ণয় করাটা ও আপনাদের বুঝিয়ে দেব। কেলাস পানি সম্পর্কে যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং কেলাস পানি থেকে যে কোন প্রশ্ন আসলে আমাদের প্রিয় শিক্ষার্থীরা খুব সহজে সেটার উত্তর করতে পারবে।
এই পোস্টটি থেকে রসায়নের ধারণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।প্রকৃতিতে বিদ্যমান বস্তুসমূহের বিভিন্ন ধর্মকে কাজে লাগিয়ে মানবজাতি ও পরিবেশের কল্যাণসাধনে নিয়োজিত যে বিজ্ঞান তার নামই হলো রসায়ন। রসায়ন প্রাচীন ও প্রধান বিজ্ঞানগুলোর মধ্যে অন্যতম।রসায়নের বিস্তৃতি ব্যাপক। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সকল কর্মকাণ্ডে রয়েছে রসায়ন। আমাদের নিঃশ্বাসে গৃহীত বায়ু, পানি, খাবার, পরিধেয় বস্ত্র, গৃহস্থালি ও শিক্ষা সরঞ্জাম, কৃষি, যোগাযোগ, গাছে ফল পাকা, লোহায় মরিচা ধরা, আগুন জ্বালানো সবকিছুতেই রসায়ন এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়া বা জীব রাসায়নিক প্রক্রিয়া জড়িত।
সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের প্রয়োজনীয় সব কিছু জিনিসই কিন্তু রসায়নের প্রভাব রয়েছে। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে ই ফ্রেশ হওয়ার জন্য আমরা যে টুথপেস্ট ব্যবহার করি সেটাও কিন্তু রসায়নের অবদান। আমাদের নিত্য দিনের প্রয়োজন এই সবকিছুই কিন্তু রসায়নের অবদান।বিদ্যুৎ, চুম্বক, কম্পিউটার ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্সের তত্ত্ব, উৎপাদন
ও ব্যবহারের আলোচনা পদার্থ বিজ্ঞানের অন্তভুর্ক্ত। বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্যের গুণাবলির সমন্বয় ঘটিয়ে রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পদার্থবিজ্ঞানের এসব বস্তু ও শক্তির উৎপাদন ও ব্যবহার সম্ভব হয়েছে। রসায়নের বিভিন্ন পরীক্ষণ যন্ত্রনির্ভর। এসব যন্ত্রের মূলনীতি বা পরীক্ষণ পদার্থবিজ্ঞানের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত। তাই, রসায়নচর্চার মাধ্যমেই পদার্থবিজ্ঞানের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ সম্ভব।
রসায়নে হিসাব—নিকাশ, সূত্র প্রদান ও গাণিতিক সম্পর্ক সবই গণিত। কোয়ান্টাম ম্যাকানিকস, যা মূলত গাণিতিক হিসাব—নিকাশের সাহায্যে পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যা করে।উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ পচনের পর ভূগর্ভের তাপ ও চাপের প্রভাবে তাদের রাসায়নিক পরিবর্তন হয়। ফলে এরা পেট্রোলিয়াম, কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি জীবাশ্ম জ্বালানিতে পরিণত হয়। আবার বায়ুমণ্ডলের ওজোনস্তরের ক্ষয়কারী গ্যাসসমূহের শনাক্তকরণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানতে রাসায়নিক পদ্ধতির বিকল্প নেই।
মানুষের মৌলিক চাহিদার উপকরণ জোগানো থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার জীবনকে করেছে সহজ ও সুন্দর। নিচে রসায়নের অন্তর্গত কতিপয় রাসায়নিক দ্রব্যাদির ব্যবহার দ্বারা রসায়ন পাঠের গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়।
কেলাস পানের সংজ্ঞা প্রথমে যদি আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারি তাহলে কিন্তু কোন সমস্যা হবে না। প্রথমে আমাদের সংজ্ঞা ভালোভাবে বুঝতে হবে।আয়নিক যৌগ তার কেলাস গঠনের জন্য যতসংখ্যক পানির অনু এর অপরিহার্য অংশ হিসেবে যুক্ত থাকে তাকে কেলাস পানি বা জল বলে । যেমন তুঁতের গঠনের ক্ষেত্রে এখানে 5H2O কেলাস পানি বা জল ।
সোদক স্ফটিকএই জাতীয় স্ফটিক তৈরির ক্ষেত্রে স্ফটিকের মূল উপাদানের সাথে সুনির্দিষ্ট সংখ্যক পানির অণু থাকে। এই পানিকে কেলাস-পানি বলা হয়।