আমরা আমাদের চারপাশে যা কিছু দেখতে পাই বা অনুভব করতে পারি তাকে সাধারণত দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এই দুইটি ভাগ হলো একটি পদার্থ অন্যটি শক্তি। অর্থাৎ আমরা আপনারা জানেন যে যে সকল বস্তুর ওজন আছে আয়তন আছে বল প্রয়োগ করলে বাধার সৃষ্টি করে তাদেরকে পদার্থ বিজ্ঞানের ভাষায় সাধারণত পদার্থ বলা হয়ে থাকে। পদার্থ ছাড় াও
আরেকটি বিষয় আমাদের চোখের সামনে অনুভূত হয় অথবা আমরা আমাদের ত্বক চক্ষু বা অন্যান্য পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করতে পারি। সেগুলো হলো আলো ,তাপ ইত্যাদি। আর এদেরকে বলা হয় শক্তি। তাহলে আমাদের এই মহাবিশ্ব সাধারণত পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় দুই প্রকারের বিষয় নিয়ে গঠিত হয়েছে। শক্তি সাধারনত দুই প্রকারের হয় একটি স্থিতিশক্তি অপরটি হল গতিশক্তি। শক্তির এই রোগ গুলি সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে আমরা অবগত করাবো।
আমরা ইতিমধ্যেই আপনাদেরকে জানিয়েছি শক্তি সম্পর্কে। আমরা সব সময় বিভিন্ন প্রকার শক্তি সম্পর্কে জানি। তবে শক্তিগুলো হল যে আলোক শক্তি তাপ শক্তি বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তি ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের শক্তির সাথে আমরা ইতিমধ্যে পরিচিত। সত্যি ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চলতে পারি না। আমাদের চলাচলের ক্ষেত্রে শক্তির প্রয়োজন। এবং আমাদের শরীরে শক্তি কোথা থেকে আসে তা হয়তো আপনারা অবগত রয়েছেন। আমরা যে খাবার খাই সেই খাবার থেকে উৎপন্ন শক্তি আমাদের শারীরিক যাবতীয় কাজকর্ম করার শক্তি বা এনার্জি পেয়ে থাকে।
তাই শক্তির বিভিন্ন রূপ রয়েছে। সত্যি গতিশক্তি ইত্যাদি দুই ধরনের শক্তি আমরা জেনে থাকি। স্মৃতিশক্তি হলো যে সত্যি সঞ্চয় রূপে থাকে অর্থাৎ একেবারে স্থিতিশীল থাকে তাকে স্থিতিশক্তি বলা হয়ে থাকে। আর স্মৃতিশক্তিকে গতিশক্তির রূপ দেওয়া হয় বিভিন্ন সময়। যান্ত্রিক শক্তিগুলো স্মৃতিশক্তি গতিশক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে তারপর চলাচল শুরু করে। তাই আমরা আরেকটি বিষয় জানি আর সেটা হল শক্তির সবচেয়ে সুবিধা জনক রূপ হলো বৈদ্যুতিক শক্তি। তাই পৃথিবীর যে কোন প্রাণীকে চলতে হলে শক্তির প্রয়োজন রয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য শক্তি একটি অমূল্য সম্পদ। সত্যি না হলে কোন প্রাণী উদ্ভিদ বেঁচে থাকতে পারে না।
গতিশক্তি
আসলে পৃথিবীতে যে শক্তিগুলো আমরা দেখে থাকি সেটি আসলে গতিশক্তি। অর্থাৎ গতিশক্তির রূপটাই আমাদের চোখে পড়ে। তাই গতিশক্তি বলতেই আসলে শক্তি বুঝায়। আসলে পদার্থবিজ্ঞানে গতিশক্তি বলতে কোন বস্তু এর গতির কারণে কাজ করার যে সামর্থ্য অর্জন করে সেই বিষয়টি বোঝানো হয়ে থাকে। কোন বস্তুকে স্থির অবস্থা থেকে কোন নির্দিষ্ট বেগে জড়িত করতে বা গতিশীল করতে যে পরিমাণ কাজ করতে হয় তা দিয়ে এর গতিশক্তির পরিমাপ করা যেতে পারে বা পরিমাপ করা হয়।
হঠাৎ এটিকে তড়িত করার সময় এই শক্তি অর্জন করলে বস্তুটি যদি বেগ পরিবর্তন না হয় বেগ পরিবর্তন না করে তাহলে ত্বরণের সময় অর্জিত এই গতিশক্তি অব্যাহত থাকে। কোন বস্তুটিকে এর বর্তমান বেগ থেকে পুনরায় স্থির অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মন্দনের ফলে একই পরিমাণ কাজ সম্পন্ন করতে হয়। তাহলে আপনারা অবশ্যই বুঝে নিতে পারলেন যে গতিশক্তি কি কাকে বলে। আমরা এর পূর্বে আপনাদেরকে বলেছি যে আসলে আমরা যে সুখের হোক আমাদের চোখের সামনে অর্থাৎ বিভিন্ন কাজকর্মে দেখতে পাই এটি আসলে গতিশক্তি।
কারণ স্থিতিশক্তি স্থির অবস্থায় থাকে তাই এটি সাধারণভাবে আমরা বুঝতে পারি না তবে বিজ্ঞানের ভাষায় স্থিতিশক্তি অবশ্যই রয়েছে আমরা বুঝতে পারি আর না পারি সেটি কোন ব্যাপার নয়। তাই এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে থাকেন তাহলে আপনার জীবনের সমস্ত ধরনের তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট আপনাদের জন্য প্রয়োজনে একটি ওয়েবসাইট হয়ে উঠতে পারে। তাই আপনারা বারবার ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকবেন এটা আমরা বিশ্বাস করতে চাই। আর আমরাও আপনাদেরকে সবসময় সঠিক তথ্য তুলে ধরে আপনাদের পাশে থাকার অঙ্গীকারবদ্ধ হতে পারি।