আপনারা অনেকে জানতে চান শিশু দিবস কত তারিখে পালন করা হয়, আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদের জানাবো শিশু দিবস কবে পালন করা হয়, শিশু দিবস একটি স্মরণীয় দিন শিশুদের ওপর সম্মান রেখে এই শিশু দিবস প্রতিবছর পালন করা হয়ে থাকে। ১৯২৫ সালে প্রথম বিশ্ব শিশু কল্যাণ সম্মেলনের প্রথম আন্তর্জাতিক শিশু দিবস ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই ১৯৫০ সাল থেকে বেশিরভাগ কমিউনিটিস্ট দেশগুলোতে ১ এ জুন উদযাপিত হয় এই শিশু দিবস।
শিশু দিবস উদযাপন করার মাধ্যমে শিশুদের মূল অধিকার গুলোকে সবার সামনে তুলে ধরাই হয় এই দিবসের মূল লক্ষ্য। তবে বাংলাদেশে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন মন্ত্রিসভা ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন কেই শিশু দিবস হিসেবে পালিত করে আসছে। এছাড়াও বাংলাদেশের শিশু দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে গণনা করা হয়ে থাকে। প্রতিটা শিশুরই রয়েছে অধিকার এই পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার তাই সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হলে শিশুদের প্রতিটা অধিকারকে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে।
শিশুদের বিশেষ কিছু অধিকার রয়েছে যেমন বেঁচে থাকার অধিকার, নামের অধিকার, চিকিৎসা অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, স্বাস্থ্য সেবার অধিকার, এই অধিকারগুলো প্রতিটা শিশুর জন্য খুবই জরুরী। প্রতি আমাদের সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের বেশ কিছু দায়িত্ব রয়েছে এ দায়িত্ব মধ্যে অনেক কিছুই পড়ে যেগুলো আমরা আমাদের আর্টিকেলের এই মুহূর্তে আপনার সামনে প্রকাশ করব।
আশেপাশে তাকালে আমরা এখন দেখতে পাই শিফুরা বাসা বাড়ি, হোটেল রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, বিভিন্ন যানবাহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে থাকে, অথচ কোমলমতি এসব শিশুদের এক সময়ে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত অন্যরাষ্ট্র বাসস্থান সুচিকিৎসার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের গণ্ডিতে যাওয়ার কথা। কিন্তু অনেক শিশুর আছে যারা বাবা মার অবর্তমানে এসব কাজে জড়িয়ে পড়ে। কিছু বাচ্চারা আছে যারা জন্মের পর থেকে মা বাবা হারা হয়ে থাকে।
তবে আমাদের দেশের শিশুরা পড়ালেখার স্বাস্থ্য চিকিৎসা বাসস্থান এসবের নিশ্চয়তা পাচ্ছে না। বিভিন্ন সময় এসব বাচ্চাকে দিয়ে নানা ধরনের অপকর্ম করা হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করার কারণে আমাদের দেশে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে যাচ্ছে এই শিশুদের মাধ্যমে। এমনও বিষয় দাঁড়িয়েছে যে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য অমানবিক ঘটনা ঘটাচ্ছে আমাদের দেশের বিভিন্ন গৃহকর্মীরা।
এই ধরনের অবহেলা মুলক কর্মকাণ্ড থেকে আমাদের শিশুকে রক্ষা করতে হলে অবশ্যই আমাদের। চিকিৎসা খাদ্য বস্ত্র সহ সকল ধরনের কার্যক্রম গুলো ঠিক রাখতে হবে।জাতিসংঘ ১৯৮৯ সালে শিশু অধিকার সনদ ঘোষণার বহু পূর্বে ১৯৭৪ সালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ শিশু আইন প্রণয়ন করেন। বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরে শিশুদের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিনোদন ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সরকার জাতীয় শিশু নীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে। পথশিশু, ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু, বিদ্যালয় থেকে ঝরেপড়া ও প্রতিবন্ধী শিশুদের কল্যাণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
শিশুদের মানবাধিকার এবং সকল শিশুর জন্য যেসব অধিকার অর্জন করতে হলে সব দেশের সরকারকে যে নিরিখগুলো অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে সেগুলো খুব সংক্ষেপে অথচ সম্পূর্ণভাবে বিবৃত হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিতে : এটি হচ্ছে শিশু অধিকার সনদ। এ সনদ ইতিহাসের সবচেয়ে সর্বজনীন মানবাধিকার দলিল।
তাই এ দলিল মানবাধিকারের সর্বজনীন প্রয়োগ অন্বেষায় অনন্যভাবে শিশুদেরকে মধ্যমণি করে তুলেছে। দলিলটি অনুমোদনের মাধ্যমে জাতীয় সরকারগুলো শিশুদের অধিকার রক্ষা ও নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছে এবং এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে নিজেদের দায়বদ্ধ করে তুলেছে।
কিন্তু তবুও আমাদের এই উন্নয়নশীল বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশের বেশি যেখানে শিশু। আমাদের দায়বদ্ধতা সার্বিকভাবে এবং সামাজিকভাবে অপরিসীম। কারণ এং ৪০ শতাংশ শিশুর মধ্যে ১৫ শতাংশের বেশি দরিদ্র সীমারেখার নিচে বসবাস করে। এই দরিদ্র শিশুদের মধ্যে রয়েছে শ্রমজীবী শিশু, গৃহকর্ম ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত শিশু, প্রতিবন্ধী শিশু, পথশিশু, বাল্যবিবাহের শিকার শিশু এবং চর, পাহাড় আর দুর্গম এলাকায় বসবাসরত শিশু।