গলা ব্যাথার ঔষধ কি

কারণে অকারণে অথবা আবহাওয়া জনিত কারণে অথবা অন্যান্য সময় অতিরিক্ত পরিমাণ কথা বলার কারণে গলা ব্যথা অনেকেরই হয়ে থাকে। আর যখন গলা ব্যাথার সৃষ্টি হয় তখন আপনি ভালোমতো কথা বলতে পারেন না ভালোমতো ঢুকতে পারেন না অথবা এবাদত করার সময় মনে মনে যে সকল দোয়া পড়েন সেগুলো করার ক্ষেত্রেও ব্যাথা অনুভূত হয়। তাই গলা ব্যথার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা যারা ঔষধ সেবন করতে চাচ্ছেন তারা হয়তো জানতে চেয়েছেন গলা ব্যথার ওষুধ কি অথবা এটার নাম কি। তাদের জন্য আমরা এখানে গলা ব্যথার ওষুধের নাম উল্লেখ করব এবং সেই সাথে আপনারা গলা ব্যথা হলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চললে আশা করি খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন।

যদি আমরা কোথাও ঘুরতে যাই তাহলে দেখা যায় যে সেখানকার পরিবেশের আবহাওয়া এবং আমাদের বর্তমান সময়ের আবহাওয়ার সঙ্গে মিলে না। আবার জার্নি করার সময় জানলা খোলা রেখে বাতাস খেতে খেতে গেলে একটা সময় আরাম প্রদান করলেও সেই আরাম থেকে গলা ব্যথার সৃষ্টি হয়। আবার যারা অতিরিক্ত পরিমাণে ফ্রিজের হিমায়িত খাদ্য অথবা কোল্ড্রিংস খেয়ে থাকেন তাদের এ ধরনের সমস্যা হয়। আবার অনেকেই আছে যারা শীতের মধ্যে ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে গলা বসিয়ে ফেলে এবং গলাতে প্রচন্ড পরিমাণ ব্যথার সৃষ্টি হয়।

তাই যে কারণেই গলা ব্যথা হয়ে থাকুক না কেন তারা অবশ্যই সেই সময় কুসুম গরম পানি খাবেন যাতে করে ঠান্ডার কারণে আর অতিরিক্ত গলা ব্যথা না হতে পারে। অনেকে দেখা যায় যে গরম পানি খাবার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরম পানি খান এবং এই ক্ষেত্রে কফ আরো বেশি পরিমাণে বুকের ভেতরে বসে যায়। তাছাড়া আপনারা এই ক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে মসলা চা খেতে পারেন এবং মসলা চা খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত গলা ব্যথার সমস্যা দূর হয়ে যায়। আবার অনেকে আছেন যারা গলা ব্যথার সময়ে পানিতে লবঙ্গ আদা তেজপাতা এবং অন্যান্য কিছু দিয়ে জাল দেওয়ার পর সেটার ভাপ নাক এবং মুখ দিয়ে টেনে নেয়।

প্রকৃতপক্ষে আপনি যদি এই নিয়ম অনুসরণ করতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার গলার ভিতরে যে সকল ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে অথবা ঠান্ডা লাগার কারণে যে স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা আস্তে আস্তে ভালো হয়ে যাচ্ছে। তাই গলা ব্যথার এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনারা ঘরোয়া পদ্ধতিতে এগুলো অনুসরণ করুন এবং যারা এই সমস্যার সমাধান পেতে একেবারেই ওষুধ খেতে চান তাদেরকে ওষুধের নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।

গলা ব্যথার ওষুধ কি হোমিওপ্যাথি

গলা ব্যথার হোমিওপ্যাথি ঔষধ কি এ প্রসঙ্গে আমরা বলব যে হোমিও ডাক্তারেরা কখনোই ওষুধের নাম প্রকাশ করে না। অর্থাৎ যে ঔষধ দিয়ে তারা চিকিৎসা করে সেই ঔষধ পরবর্তীতে লাগলে আপনারা যেন তার কাছে আবার যেতে পারেন তার জন্য ওষুধ দিয়ে দেয়। তবে ডাক্তারকে এ বিষয়ে যদি বলা যায় যে আপনি যদি বাইরে থাকেন তাহলে কোন ওষুধ ক্রয় করলে ভালো হবে তখন ডাক্তারেরা বিশেষ ক্ষেত্রে নাম প্রকাশ করেন। হোমিওপ্যাথি ওষুধের ভেতরে মাদার টিংচার থেকে শুরু করে বায়োকেমিকস অথবা অন্যান্য অনেক ভেরিয়েন্টের ঔষধ রয়েছে। তাই গলা ব্যাথার ক্ষেত্রে কোন ধরনের ঔষধ খাবেন সেটা লক্ষণের উপর নির্ভর করে প্রদান করা হয়।

গলা ব্যথার ওষুধের নাম কি

গলা ব্যথার ঔষধ এর ক্ষেত্রে আপনারা যদি নাম একেবারেই জানতে চান তাহলে বলবো যে ইফিক্স ১০০ এম জি খেতে পারেন। তবে গলা ব্যাথার সময় অনেক সময় শরীর গরম হয় অথবা আমাদের মাথার যন্ত্রণা করে অথবা অন্যান্য আরো অনেক ধরনের উপসর্গ থাকে। তাই একটা ওষুধের সঙ্গে আর একটা ওষুধের সম্পর্ক রয়েছে এবং একজন মানুষের শরীরের বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে ঔষধ প্রদান করা হয়ে থাকে বলে শুধু ইন্টারনেট থেকে নাম জেনে নিয়ে সেটা ব্যবহার করবেন না।

গলা ব্যথার জন্য কি ওষুধ খাব

যদি গলা ব্যথা অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে উপরের উল্লেখিত নিয়ম গুলো অনুসরণ করার পাশাপাশি আমাদের ওয়েবসাইটের প্রদান করা তথ্য অনুযায়ী ডাক্তারের কাছে গিয়ে সরাসরি চিকিৎসা গ্রহণ করুন। কারণ ডাক্তারেরাই কার্যকরী উপায়ে আপনাদের সমস্যা অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করলে সেটা খুব দ্রুত কাজ করবে এবং আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।

Leave a Comment