আপনি কি বিয়ে করতে চান অথবা আপনার আত্মীয় অথবা আপনার পুত্রের কি বিয়ে দিতে চান?বিয়ের জন্য অবশ্যই আপনি সুন্দরী মেয়ে খুঁজছেন। কারণ বিয়ে করার জন্য অধিকাংশ মানুষরাই যখন মেয়ে খোজে তখন মেয়ের সৌন্দর্য তাকে বেশি প্রাধান্য দেয়। কিন্তু সুন্দরী মেয়ের থেকেও গুনবতী মেয়েরা কিন্তু বেশি ভালো। তাই মেয়ের সৌন্দর্যতা দেখার পাশাপাশি আপনি অবশ্যই মেয়ের গুণ বিচার পরখ করে নেবেন।
ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে পর্দায় নারীর সৌন্দর্য। এজন্য অবশ্যই পর্দা ব্যবহারকারী নারীদের পছন্দ করবেন। নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু নারীর অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য চিরজীবন আপনার পাশে থেকে যাবে। একজন নারী তার অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য দিয়ে আপনার জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারে। বাহ্যিক সৌন্দর্য শুধু দেখতে সুন্দর লাগে। বাহ্যিক সৌন্দর্যের কোন দাম নেই।
বিবাহের পূর্বে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে যে কেমন ধরনের মেয়ে বিবাহের জন্য উত্তম। যেগুলো বিবাহ সম্বন্ধ করে হয়, অর্থাৎ পাত্রীপক্ষ এবং বরপক্ষ দুইজনার থেকেই প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে যে বিবাহ ঠিক করা হয় সে বিবাহের ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের জানতে হবে যে কোন ধরনের মেয়ে বিবাহের জন্য উত্তম।
হাদিসে কি বলা হয়েছে অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম অনুসারে কোন ধরনের কন্যা বিবাহের জন্য উপযোগী সেগুলো কি আপনি জানেন?কোন কন্যাকে বিবাহ করলে আপনার সংসার সুখের হবে?কোন কন্যা বিয়ে করার জন্য উত্তম হাদিসে কি বলা হয়েছে এগুলোই আজকে আপনারা জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
বিবাহের ক্ষেত্রে এমন পাত্রী নির্বাচন করবেন, যার ধার্মিকতা ও আমল আখলাক উন্নত। যার ব্যবহার কোমল ও অহংকার মুক্ত এবং লাজুক।কুমারী মেয়েকে বিয়ে করা সর্বোত্তম। তবে কখনো কখনো বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা মহিলাদেরকেও বিয়ে করা উত্তম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদিও অধিকাংশ বিয়ে বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে করেছেন তবুও তিনি কুমারী মেয়েকে বিয়ে করতে উৎসাহ দিতেন।
দ্বীনদারীতা প্রাধান্য দেবার পর সৌন্দর্যের প্রতিও খেয়াল রাখুন। আর পাত্রীর চেহারা গোলাকার হলে সবচেয়ে ভালো। গোলাকার চেহারা বা লম্বাকৃতির চেহারা সবই আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। তবে গোলাকার চেহারার অধিকারিণী মেয়েদের অতিরিক্ত কিছু বৈশিষ্ট থাকে যা দাম্পত্য জীবন মধুময় করে। গোলাকার চেহারার মেয়েরা খুবই আবেগপ্রবণ হয়ে থাকে এবং তারা যাকে ভালোবাসে তার জন্যে জীবন দিতেও প্রস্তুত থাকে। তাছাড়া গোলাকার মুখ দেখতেও মায়াবী।
আমাদের ইসলাম ধর্মে আত্মীয়-স্বজনদের বিয়ে করার প্রচলন রয়েছে। আত্মীয় এবং নিকটবর্তী দের সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া ভালো নয়। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা রয়েছে। আপনি চাইলে এর বৈজ্ঞানিক কারণ জেনে নিতে পারেন। এছাড়াও নিকটবর্তী আত্মীয়দের সাথে বিয়ে করলে সংসার সুখের হয় না বিভিন্ন ধরনের পারস্পরিক সমস্যা লেগেই থাকে।
অনাত্মীয়কে বিয়ে করা। নিকটাত্মীয়কে বিয়ে না করা। স্ত্রী দূরের বংশের হওয়াটা বেশি ভালো। কারণ নিকটাত্মীয় অর্থাৎ চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো,
খালাতো বোন ইত্যাদি আত্মীয়ের মধ্যে দূরের তুলনায় আকর্ষণ, ভালোবাসা কম হয়ে থাকে। পাশাপাশি এদের থেকে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে সাধারণত তাদের বুদ্বি ও মেধাশক্তি দুর্বল হয়।কখনো কখনো বিকালঙ্গ বা বিভিন্ন জটিল রোগের শিকার হয়ে থাকে। এজন্য যথাসম্ভব অনাত্মীয় কোনো নারীকেই বিবাহ করবে। কেননা, দুরের আত্মীয়দের সাথে মহব্বত- ভালোবাসা বেশি হয়ে থাকে। আর সন্তানাদিও জ্ঞান বুদ্ধির দিক দিয়ে তীক্ষ্ণ হয়ে থাকে। সাথে সাথে নতুন করে একটি বংশের সাথে সম্পর্ক করার দ্বারা বংশধারাও বৃদ্ধি পায়।
ইসলামিক ও জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিতা পাত্রীকেই বিবাহ করুন। একেবারে মূর্খ জাহেল অশিক্ষিতা নারী বিবাহ না করাই উত্তম। পর্দাশালী নারী এবং শিক্ষিত নারী বিয়ে করার জন্য উত্তম। ১৮ বছর বয়সে নিচে নারীদের বিবাহ করা যাবে না। কারণ একজন 18 বছরের কম বয়সী নারী মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকে। তাদের মানুষের বিকাশ হয় না এবং বিভিন্ন সাংসারিক বিষয়বস্তু বুঝতে তাদের সমস্যা হয়। এজন্য নিজের বয়স থেকে সব সময় দুই থেকে তিন বছরের ছোট মেয়েকে বিয়ে করুন। অতিরিক্ত ছোট মেয়ে বিয়ের জন্য উপযোগী নয়।
আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন কোন ধরনের মেয়ে বিয়ের জন্য উপযুক্ত। এ আর্টিকেলটি দ্বারা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন কোন ধরনের মেয়েকে বিয়ে করা উচিত।