ঔষধ হলো একটি রাসায়নিক দ্রব্য। বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল এবং ন্যাচারাল স্যাম্পল দিয়ে ঔষধ তৈরি হয়। রোগ নিরাময়ের জন্য ঔষধ সেবন করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধার জন্য বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। শরীরে অসুস্থতা বোধ করলে তার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা ওষুধ সেবন করি। ঔষধের কার্যকারিতা এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমাদের যথার্থ জ্ঞান থাকা দরকার।
কারণ ঔষধ একটি রাসায়নিক দ্রব্য। শরীরের অস্বস্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঔষধ সেবন করা হয় কিন্তু অনেক সময় অতিরিক্ত ওষুধ জীবনে শারীরিক মারাত্মক ধরনের ক্ষতি হতে পারে। এজন্য ওষুধটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানা খুবই প্রয়োজন। আপনি যে ওষুধ সেবন করছেন সেই ওষুধটি সম্পর্কে আগে প্রাথমিক তথ্য জানতে হবে, তারপর সেটা গ্রহণ করা যাবে।
নরভিস এই ট্যাবলেটটি সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদের যাবতীয় তথ্য জানানোর চেষ্টা করব। এটি কোন রোগের জন্য সেবন করার পরামর্শ দেওয়া হয় সেটা জানতে পারবেন আপনারা। নরভিস কিসের ওষুধ?নরভিস এর কাজ কি? এই ঔষধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে কিনা?এরকম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় গুগলের কাছে। আজকে আমাদের পাঠক বন্ধুর জন্য আমরা খুবই সহজ ভাষায় এই ওষুধটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে চলেছি। আর্টিকেলটি পড়লে এই ঔষধ সেবন এর নিয়ম এবং বিভিন্ন অজানা তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।
নরভিস ৫০ মিঃ গ্রাঃ ট্যাবলেট ফসফোলিপিড এবং প্রোটিনের সাথে ক্যালসিয়াম এর বন্ধনকে শক্তিশালী করে এবং জিআই ট্র্যাক্টের কোষের ঝিল্লিকে স্থিতিশীল করে। এটি চতুর্মুখী অ্যামোনিয়াম অ্যান্টিমাসকারিনিক যার পেরিফেরাল প্রভাব অ্যাট্রোপিনের মতোই।নরভিস ট্যাবলেট মানবদেহে মাংসপেশির খিচুনি রোধে কাজ করে। তাছাড়া মেয়েদের পিরিয়ড জনিত ব্যথায় নরভিস খুবই বেশি কার্যকর। এছাড়া ও গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত পেট ব্যথার জন্যও নরভিস খওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হয়। নরভিস নির্দেশিত হয়ঃ
পিরিয়ড জনিত ব্যথা,
কোমরের ব্যথা,
অস্টিওআর্থারাইটিস,
গর্ভকালীন সময়ে অতিরিক্ত পেট ব্যথা,
মাথা ব্যাথা,
কানের ব্যথা,
তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া যে কোন ওষুধ সেবন করা থেকে বিরত থাকুন। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ডাক্তার যদি আপনার শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ওষুধটি সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকে তাহলে নিশ্চিন্তে আপনিও সত্যি সেবন করে সুস্থ হতে পারবেন।
ঔষধ সেবনের সময় যে বিষয়ে নজর দিতে হবে সেটা হল, ঔষধ সেবনের মাত্রা। ইচ্ছামত যে কোন মাত্রায় ঔষধ সেবন করবেন না। অতিরিক্ত ওষুধ সেবনে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় অনেক দুর্ঘটনা ঘটে যায় যেমন অতিরিক্ত ঔষধ সেবনের ফলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। এজন্য সঠিক নিয়মে সঠিক পরিমাণ মত ঔষধ সেবন করতে হবে।
শিশু রোগীর জন্যঃদৈনিক ৩ মিঃ লিঃ/কেজি অথবা ৬ মিঃ গ্রাঃ/কেজি দৈহিক ওজন হিসেবে বিভক্ত মাত্রায় নির্দেশিত। শিশুদের ক্ষেত্রে টাইমোনিয়াম মিথাইলসালফেট ব্যবহারে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। নিজের ইচ্ছামত কখনোই কোন ঔষধ সেবন করা যাবে না।
নরভিস ট্যাবলেট এর তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। কিছু ক্ষেত্রে এটি ব্যবহারে হাইপোটেনশনহতে পারে। এটি হলে অবশ্যই মাত্রা কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।নরভিস গর্ভবতী নারীদের জন্য ক্ষতিকর কিনা তা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন প্রাণীর ওপর গবেষণা চালানো হয়েছে।দেখা গেছে নরভিস ভ্রূণের কোনো ক্ষতি করে না। তবে মানবদেহে এর পরিপূর্ণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যার ফলে এটি ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন করতে হয়।তাছাড়া গর্ভাবস্থায় এবং স্তন্যদানকালে নরভিস ব্যবহার করার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
নরভিস সাধারনত মানুষের শরীরে তেমন কোন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না। তবে শরীরের তাপমাত্রা অধিক থাকলে এবং যকৃত এবং পরিপাকতন্ত্রে দুর্বলতা থাকলে এই ওষুধ গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সেইসঙ্গে যারা রাতের বেলায় গাড়ি চালানোর মত সেনসিটিভ কাজ করে থাকেন তারা এই ওষুধ গ্রহণের সতর্ক থাকবেন। অতিরিক্ত গ্রহণ মৃত্যুঝুঁকি বাড়াতে পারে। চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। আশাকরি এই ঔষধ কি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য আপনারা পেয়ে গেছেন। এরকম প্রাথমিক তথ্যগুলো জেনে রাখা খুবই প্রয়োজন।