মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয়

প্রতিটি মেয়ের পিরিয়ড হয় তবে পিরিয়ড হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট বয়স হওয়া লাগে মেয়েদের। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকে প্রতিমাসে মেয়েদের পিরিয়ড হওয়া শুরু হয়। তবে পিরিয়ড চলাকালীন একটি মেয়ের শরীলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন কোন মেয়ের তলপেট ব্যথা করে মেয়েদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্ত যেতে পারে আবার অনেকের মাথা ব্যথা করে।তবে খুব কম মেয়ে আছেন যাদের একবারও এই পেট ব্যথা হয়না। বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের সময় শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

তবে পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েদের কিছু কাজ রয়েছে সে কাজ গুলো করতে পারলে একটি মেয়ে পিরিয়ড চলাকালীন সুস্থ থাকতে পারবে। তবে অনেক মেয়ে সঠিক ভাবে জানে না
মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি করতে হয়। আর এই বিষয়টি জানতে অনেকেই বেশ আগ্রহী। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনাতে জানিয়ে দেবো মেয়েদের পিরিয়ড হলে কি কি করতে হয়। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানেন না আমাদের পুরো আলোচনাটি শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়ুন আর এই বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নিন।

পিরিয়ড হওয়াটা মেয়েদের কাছে খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। প্রত্যেক মেয়ের সাধারণত প্রতিমাসে একবার পিরিয়ড হবেই। তবে অনেক মেয়ের শারীরিক সমস্যা থাকার কারণে অনেক সময় দুই মাস তিন মাস পরেও পিরিয়ড হয়। যে কোন মেয়ের জন্য নিয়মিত পিরিয়ড হওয়াটা খুব ভালো। তবে অনেক মেয়ে রয়েছে যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় না। আর এদের মধ্যে অবিবাহিত মেয়ের সংখ্যা অনেক বেশি রয়েছে। যাদের নিয়মিত পিরিয়ড হয় না বাচ্চা হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক ধরনের সমস্যাই পরতে হতে পারে। তাই পিরিয়ড হওয়ার পর একটি মেয়ের কি কি করা দরকার অবশ্যই তা জানা জরুরি।

মেয়েদের পিরিয়ড হলে যা যা করতে হয়

পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর একটি মেয়েকে অনেক কিছু করতে হয়। তবে অনেক মেয়ে সঠিক ভাবে জানে না পিরিয়ড হওয়ার পর তাকে কি কি করতে হয়। আর এ বিষয়টি না জানার কারণে অনেক মেয়ের পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর অনেক ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। তাই আমরা এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দেব পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর একটি মেয়েকে কি কি করতে হবে। এই বিষয়টি প্রত্যেকটি মেয়ের জানা দরকার। এই বিষয়টি জানা থাকলে পিরিয়ড শুরু হওয়ার পর একটি মেয়ে যে সমস্যায় পড়ে তা আর পরতে হবে না।

ঘন ঘন পানি খেতে হয়

পিরিয়ড শুরু হলে একটি মেয়েকে ঘন ঘন পানি খেতে হয়। কারণ পিরিয়ড চলাকালীন অনেক মেয়ের তলপেটে ব্যথা করে। আর এই তলপেটে ব্যথা শুরু হলে একটি মেয়েকে ঘনঘন পানি খেতে হবে। তাহলে এ ধরনের সমস্যা পরতে হবে না। তাই পিরিয়ড চলাকালীন একটু বেশি করে পানি পান করুন।

পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে

পিরিয়ড চলাকালীন একটি মেয়ের শরীর থেকে অনেক ভিটামিনের ঘাট্টি হয়। তাই শরীরের ভিটামিন গুলো পূরণ করার জন্য পিরিয়ড চলাকালীন একটি মেয়েকে পুষ্টিকর খাবার গুলো খেতে হবে। আর পুষ্টিকর খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে ছোট মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ডাটা শাক খেজুর ইত্যাদি এই খাবার গুলো একটু বেশি পরিমাণ খেতে হবে।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে

সুস্থ থাকার জন্য একজন মানুষের বিশ্রাম খুব জরুরী। তবে যেসব মেয়েদের প্রতি মাসে পিরিয়ড হয় পিরিয়ড চলাকালীন তাদেরকে একটু বেশি পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হয়। কারণ এই সময় তাদের শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত থাকে। তাই কমপক্ষে নয় থেকে দশ ঘন্টা বিশ্রাম নিলে পিরিয়ড চলাকালীন ভালো।

পরিষ্কার থাকতে হবে

পিরিয়ড চলাকালীন একটি মেয়ের যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। পিরিয়ড চলাকালীন অনেক মেয়ে অপরিষ্কার থাকে আর এই অপরিষ্কার থাকার কারণে অনেক ধরনের সমস্যায় পরে। তাই পিরিয়ড চলাকালীন একটি মেয়েকে ঘনঘন প্যাড পরিবর্তন করতে হবে যেন সেখান থেকে কোন ধরনের ইনফেকশন না হয়।

Leave a Comment