আধুনিক বিশ্বে এসেও অনেক মানুষ কেন অধিকাংশ মানুষই রাশিচক্রে বিশ্বাস করে থাকেন। কারণ হলো রাশিচক্র টি বৈজ্ঞানিকভাবে অর্থাৎ গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থানের উপর বিচার-বিশ্লেষণ করে রাশিচক্র নির্ণয় করা হয়ে থাকে। তাই পৃথিবী যেহেতু গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব এড়াতে পারে না তাই রাশিচক্রের ক্ষেত্রেও মানুষও এই সকল গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাব এড়িয়ে চলতে
পারেনা। মানুষের জেনেই হোক বা অজান্তেই হোক সকল মানুষ এই গ্রহ নক্ষত্রের প্রভাবে থেকে যায়। তাই আপনারা এখন আমাদের এখান থেকে অবশ্যই বুঝে নিতে পারবেন যে ১২ টি রাশি চক্র রয়েছে সেই 12 টি রাশি চক্রের মধ্যে কোন রাশিটি সবচাইতে বেশি ভালো। বারটি রাশি চক্রের মধ্যে সকল মানুষ কোন না কোন রাশির মধ্যে রয়েছে। এখন দেখে নিতে হবে কোন মানুষের রাশি কি সেই বিষয়গুলো দেখলেই আমাদের রাশিচক্র দেখা যাবে।
রাশিচক্র জ্যোতির্বিজ্ঞানের একটি অংশ। জ্যোতির্বিজ্ঞান রাশিচক্র নিয়ে ব্যাপকভাবে কাজ করে থাকে। এবং বর্তমানে দেখা যায় যে জ্যোতির্বিজ্ঞানের এই রাশিচক্রের গণনাগুলো অনেকটাই নির্ভুল হয়ে থাকে। জাতির বিজ্ঞানে যেহেতু একটি বিজ্ঞান তাই বিজ্ঞানসম্মত ভাবেই রাশিচক্র গণনা যদি করে থাকেন তাহলে আপনার জীবনে কি করতে পারে বা কি করতে চলেছে সবকিছুই বোঝা সম্ভব। একটি মানুষ এবার উঠে রাশিচক্রের কোনোটির মধ্যে তার একটি রাশি থাকে।বারটি রাশিচক্রের
মধ্যে সবচাইতে ভালো রাশি কোনটি এটি আজকে আমাদের খুঁজে দেখার বিষয়। রাশিচক্র আসলে কবে থেকে শুরু হয়েছিল গণনা এ বিষয়টি আজকে আমরা এখন প্রাথমিকভাবে একটু দেখে নিতে পারি। প্রাচীন গ্রিসে প্রথম জ্যোতির্বিদ্যা রাশিচক্র টি প্রচলিত হয়। পরবর্তীতে এই রাশিচক্র সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এবং আধুনিক বিশ্বে প্রায় প্রতিটি মানুষ রাশিচক্রকে বিশ্বাস করে এবং রাশিচক্র মেনে চলে। বাস্তবিক অর্থে রাশিচক্র হল কেবলই একটি খ স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা। আরো যদি নির্দিষ্ট করে বলা হয় তাহলে বলতে হবে যে, এটি এক ধরনের ভূ-কক্ষীয় স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা।
আমরা জানি যে প্রত্যেকটি স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য প্রয়োজন পড়ে একটি প্রসঙ্গ তল। রাশিচক্রের ক্ষেত্রে সেই প্রসঙ্গ তলটি হল-ভূ কক্ষ এবং ভূকক্ষের প্রসঙ্গ বিন্দুটি হচ্ছে মহা বিষুবীয় সময় সূর্যের অবস্থান। দেখা যায় যে তারামণ্ড করলেই গুলোর মধ্যে দিয়ে ভূ-কক্ষ অতিক্রম করে থাকে প্রতিটিকেই কোন না কোন জন্তুর আকৃতি দেওয়া হয়েছিল। অর্থাৎ এই ভূ কক্ষকে বারটি তারামণ্ডলে বিভক্ত করে এই কাজটি করা হয়েছিল। এখন আমাদের দেখতে হবে যে 12 টি তারামণ্ডল
কে যেহেতু আলাদা আলাদা নামে ডাকা হয়েছে এবং সূর্যের অবস্থান অনুযায়ী এই বিষয়টি হয়েছে তাই অবশ্যই আমাদের দেখে নিতে হবে যে সবচাইতে ভালো অবস্থান কোনটি এবং সেই তারা মন্ডলের অবস্থানকে আসলে রাশিচক্রে কি নামে ডাকা হয়। কারণ সবকিছুই সূর্যের অবস্থানের উপর নির্ভর করে এবং সূর্যের অবস্থান কোন অংশের উপর দিয়ে কতক্ষণ থাকে সেই বিষয়টি অবশ্যই জানা রয়েছে। এবং সেই জানা থেকেই নির্ণয় করা হয়ে থাকে রাশিচক্র। তাহলে চলুন আমরা রাশিচক্র মধ্যে কোন রাশি চক্রটি সবচাইতে বেশি ভালো সে বিষয়টি দেখি।
সব রাশির চক্রের বিচার বিশ্লেষণ করে প্রত্যেকটি রাশির ছেলেমেয়েদের বা জাতক-জাতিকাদের আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে। সেই বৈশিষ্ট্য থেকে বিচার বিশ্লেষণ করা হয় যে কোন রাশি থাকলে ছেলে অথবা মেয়ে সবচাইতে বেশি ভালো। এবং সেই ভালোর উপর নির্ভর করেই বলা হয় যে কোন রাশিচক্র ভালো। আমরা বিভিন্ন রাশিচক্র বিচার বিশ্লেষণ করে দেখেছি মোটামুটি ভাবে সব পাশে চক্রের মধ্যে ভালো এবং খারাপ দুই মিশ্রণ রয়েছে।
তাই এককভাবে বলা মুশকিল যে কোন রাশিচক্র একেবারে ভালো এবং কোন রাশি চক্রটি একবারে খারাপ। ভালো করে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই যে সব রাশির জাতক-জাতি কারাই কিছু কিছু আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়ে থাকে। এবং এই বৈশিষ্ট্য গুলো মানবের বৈশিষ্ট্য বা মানব জীবনে যাতক জাতিকাদের বৈশিষ্ট্য এজন্য এগুলো থাকতেই হবে।