বাচ্চাদের দুধ কোনটা ভালো

বাচ্চাদের জন্য দুধ একটি অপরিহার্য খাবার। দুধে রয়েছে অনেক পরিমাণে ক্যালসিয়াম সহ অন্যান্য পুষ্টিগুণ। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ালে সে খুব তাড়াতাড়ি বেডে উঠতে পারে। অনেক মা আছে যারা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে চায় না বা তাদের শরীর থেকে দুধ কম হয় তারা অনেক সময় চিন্তা ভাবনায় পড়ে যান কোন দুধ খাওয়ালে বাচ্চার জন্য ভালো হবে। আপনারা গরুর দুধ এর পাশাপাশি বাচ্চাকে ছাগলের দুধ খাওয়াতে পারেন।

এছাড়াও এখন বাজারে অনেক কোম্পানির ভালো ভালো দুধ পাওয়া যায় সেই দুধগুলো আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন তবে দুধ খাওয়ানোর আগে অবশ্যই আপনাকে দেখে শুনে ভালো কোম্পানি বেছে নিয়ে খাওয়াতে হবে আসল নকল বুঝে আপনার বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে হবে।গরুর দুধের পাশাপাশি আপনি তা আপনার বাচ্চাদেরকে ছাগলের দুধ খাওয়াতে পারেন। কারণ গরুর দুধের বিভিন্ন রকম সমস্যা থাকলেও ছাগলের দুধে কোন রকমের সমস্যা নেই।

গরুর দুধ কতটা উপকারী বাচ্চাদের জন্য

গরুর দুধ বাচ্চাদের জন্য উপকারী কিন্তু, তবে যেসব বাচ্চার হজম শক্তি কম এবং তারা হজম করতে পারে তাদের জন্য গরুর দুধ অল্প করে খেতে দিতে হবে। গরুর দুধ বাচ্চাদের খাওয়ালেও সেই দুধ পাতলা করে দিতে হবে। আপনি অর্ধেক পানি এবং অর্ধেক দুধ দিয়ে বাচ্চাদের খাওয়াতে পারেন হালকা কুসুম করে।

ছাগলের দুধ কতটা উপকারী বাচ্চাদের জন্য

ছাগলের দুধকে নবজাতক শিশুদের জন্য অনেক উপকারী বলা হয়। কারণ চিকিৎসকের মতে বাচ্চাদের জন্য ছাগলের দুধ খুব উপকারী। আয়ুর্বেদিক ভাবে অনেক যুগ আগে থেকে ছাগলের দুধ ব্যবহার হয়ে আসছে বিভিন্ন কাজে।

বাচ্চাদের দুধের নাম

  1. ল্যাকটোজেন
  2.  প্রাইমা
  3. বেবি কেয়ার
  4.  নান

উপরের দেওয়া নামগুলো ভালো কোম্পানির দুধ বাংলাদেশের প্রায় মানুষ এই কোম্পানির দুধ গুলো তাদের ছোট বাচ্চাদের খাওয়ায়। ছোট বাচ্চা থাকলে আপনি এসব প্যাকেট দুধ খাওয়াতে পারেন কিন্তু বাচ্চা যদি একটু বড় হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই বাচ্চাকে আপনি গরুর দুধ অথবা ছাগলের দুধ খাওয়াতে পারেন। কারণ এইসব প্যাকেট দুধের চেয়ে ছাগল বা গরুর দুধে অনেক প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি এবং শক্তি থাকে যা আপনার বাচ্চাকে অনেক শক্তিশালী করে।

তবে যতদিন পারা যায় মায়ের বুকের দুধ বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করা উচিত। মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে বাচ্চা অনেক সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে থাকে এবং বাচ্চার মা ও অনেক ভালো থাকে। বাচ্চাকে ছয় মাস পর্যন্ত শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। ৬ মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে কোন ধরনের বাহিরের খাবার দেয়া যাবে না শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে ।অনেক মা আছে যাদের বুকের দুধ বাচ্চারা খেতে পায় না তারা তখন প্যাকেট দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে বাচ্চাদের। আপনারা চাইলেই বাচ্চাকে প্যাকেট দুধ খাওয়াতে পারেন কিন্তু প্যাকেট দুধের পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিগুণ নেই।

তাই সব সময় বাচ্চাকে ভেবে চিন্তে এইসব দুধ খাওয়ানো উচিত। প্যাকেট দুধ খাওয়ালে বাচ্চা খুব তাড়াতাড়ি মোটা হতে শুরু করে এবং খুব হেলদি হয়ে যায় যার কারণে বাচ্চার অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। বাচ্চার শরীর যদি খুব বেশি ফুলে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাচ্চাকে চিকিৎসা করাতে হবে। বাচ্চাকে ছোটবেলায় যত বেশি ওজন কম রাখা যায় ততই ভালো বলে চিকিৎসা কইরা বলে থাকে। তবে খুব কম ওজন আবার বাচ্চাদের জন্য ঠিক না

ল্যাকটোজেন, প্রাইমা, বেবি কেয়ার, ইত্যাদি দুধ ভালো তবে বাজারে যে দুধের বেশি চাহিদা দেখবেন সেটাই খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।অনেক বাবা-মা আছে যারা শিশুর বয়সের দিকে খেয়াল না করে নানা ধরনের খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করে থাকেন এগুলো আসলেই ঠিক না। চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ডাক্তাররা বলছে 6 মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। ছয় মাস পার হয়ে গেলে তখন আপনি অন্যান্য খাবার দিতে পারবেন বাচ্চাকে।

Leave a Comment