রক্ত আমাদের শরীরে একটি প্রধান অংশ। কারো শরীরে যদি রক্ত একেবারে শূন্য হয়ে যায় তাহলে তাকে কখনোই বাঁচানো সম্ভব নয়। রক্তের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় থাকা অবস্থায় আপনি সুস্থ থাকতে পারবেন কিন্তু যদি রক্ত কমে যায় তখন আপনি অবশ্যই রক্তশূন্যতায় ভুগবেন এবং অনেক ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হবে আপনার শরীরে। তবে মানব শরীরের চেয়ে রক্তগুলো প্রবাহিত হয় সেই রক্তগুলোর অনেক গ্রুপ রয়েছে।
বিভিন্ন গ্রুপের রক্ত মানব শরীরে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এখন দেখতে হবে যে কোন গ্রুপের রক্তগুলো সবচাইতে কম পাওয়া যায়। আপনারা জানেন যে শরীরের রক্ত প্রবাহ যদি ঠিক থাকে তাহলে সেই মানুষ সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে। রক্ত শরীরে খাদ্য কণা এবং অক্সিজেন পরিবহন করে থাকে। আমরা যে খাদ্য খাই সেই খাদ্য ের দ্বারা শরীরের এনার্জি বা শক্তি অর্জিত হয়।
সে এনার্জি এবং শক্তি শরীরের প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে দেয় এই রক্ত। তাই রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য রক্তচাপ তৈরি হয় বা রক্তচাপের বিষয়ে রয়েছে। তাই শরীরকে সুস্থ ভাবে রাখার জন্য রক্তের প্রবাহ শরীরের প্রতিটি কোনায় কোনায় খাদ্য কোন এবং অক্সিজেন প্রেরণ করে থাকে। আমরা যে বায়ু থেকে শ্বাস গ্রহন করি সেই শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অক্সিজেন আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে। এবং সেই অক্সিজেন রক্তের সঙ্গে মিশে শরীরের প্রত্যেকটি সেরা উপসরার মাধ্যমে তারা খাদ্য কণাগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পরিবহন করে থাকে।
প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সাথে মস্তিষ্কের যোগাযোগ রয়েছে। যোগাযোগ রয়েছে সুক্ষ স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে। তাই সব কিছুকে সুষ্ঠুভাবে সচল রাখার জন্য রক্তের ভূমিকা অপরিসীম। এ কারণে যদি কোন দুর্ঘটনা কপালে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে তাহলে তাকে অন্যের শরীর থেকে রক্ত সরবরাহ করা যায় বা হতে পারে। অন্যের শরীর থেকে রক্ত সরবরাহ করে সেই ব্যক্তিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়।
এবং যতক্ষণ না পর্যন্ত তার শরীরে রক্ত উৎপাদন ঠিকমতো হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত বাইরে থেকে রক্ত সরবরাহ করা সম্ভব হয়। অন্যের রক্ত আরেকজনের শরীরের সরবরাহ করার জন্য আমাদের দেখে নিতে হয় যার শরীরের রক্ত দেওয়া হবে এবং যে রক্ত দেওয়া হবে সেই রক্তের গ্রুপ একই কিনা। যদি একই না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই রক্ত কোন কাজ করবে না এবং অনেক সময় এতে রোগী মারা যেতে পারে। তাই রক্তের গ্রুপ দেখে তারপরে শরীরের রক্তে প্রবেশ করানো হয়।
সাধারণত আমরা দেখে থাকি রক্তের গ্রুপগুলো হলো A পজেটিভ, A নেগেটিভ, B পজেটিভ, B নেগেটিভ, এবং O পজেটিভ ও O নেগেটিভ। এখন এই রক্তের গ্রুপ গুলোর মধ্যে কোন রক্তের গ্রুপ সবচেয়ে কম পাওয়া যায় সেটি আমাদের দেখার বিষয় রয়েছে। সাধারণত আমরা দেখি যে পজেটিভ রক্তের গ্রুপগুলো প্রচুর মানুষের শরীরে পাওয়া যায় এজন্য পজিটিভ রক্তের গ্রুপ যদি হয়ে থাকে তাহলে মানুষের কোন সমস্যা হয় না। অর্থাৎ একজনের সমস্যা হলে আরেকজন দিতে পারে। কিন্তু যখন নেগেটিভ রক্তগুলো হয়ে থাকে তাহলে দেখা যায় যে নেগেটিভ রক্তের গ্রুপ গুলো খুব কম মানুষের হয়ে থাকে।
নেগেটিভ রক্তগুলো সংগ্রহ করতে হলে এজন্য মানুষকে অনেক গলদঘর্ম হতে হয়। তারপরে আমরা এখন দেখব যে আসলে কোন রক্তের গ্রুপ সবচেয়ে কম পাওয়া যায়। চলুন তাহলে দেখে নিই সবচেয়ে কম পাওয়া রক্তের গ্রুপ কোনটি। সাধারণত দেখা যায় যে,AB রক্তের গ্রুপ খুব কম মানুষের মধ্যে পাওয়া যায়। A এবং B যে জিনিসগুলি এড়াতে বলা হয়েছে,
একই জিনিস খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হওয়া উচিত। যাদের এবি ব্লাড গ্রুপ আছে তাদের বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া উচিত। এই ব্লাড গ্রুপের মানুষের জন্যও ডিম উপকারী। তাই আপনাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে যে, এই গ্রুপের রক্তগুলো যেহেতু কম পাওয়া যায় তাই আপনারা অবশ্যই সঠিক পন্ত্রা জীবন যাপন করবেন যাতে কোন ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে না হয়।