বর্তমান সময়ে আমরা দেখি বিভিন্ন ধরনের খামার আমাদের দেশে গড়ে ওঠেছে। এই খামারগুলোর মধ্যে রয়েছে হাঁস মুরগি গরু-ছাগল ইত্যাদি। সবচাইতে বেশি খামার তৈরি হয়েছে মুরগির। কারণ মুরগি পালনে সবচাইতে বেশি লাভবান হয়ে থাকে খামারীরা। এ সকল মুরগি পালন করার জন্য আমিষের চাহিদা আমাদের দেশের মানুষের অনেকটাই মিটে যাচ্ছে। কারন আমাদের এই দেশ বিশ্বের জনবহুল দেশ।
এই দেশের সকল মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করার জন্য এই সকল হাঁস মুরগির গরু ছাগল এর খামারের বিকল্প নেই। তাই আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে হাঁস মুরগি গরু ছাগলের খামানো তৈরি হয়েছে। যাতে করে সব ধরনের আমি সে চাহিদা এবং ভিটামিনের চাহিদা যেন মিটে যেতে পারে। তাই আজকে আমরা দেখব যে সবচাইতে কোন মুরগি পালন করলে আমরা বেশি লাভবান হতে পারি। মুরগি দুই ধরনের পালন করা হয় একটি হচ্ছে।
একটি মাংস উৎপাদনের জন্য যাকে বলা হয় বয়লার মুরগি এবং আরেকটি ডিম উৎপাদনের জন্য যাকে বলা হয় লেয়ার মুরগি। লেয়ার এবং বয়লার উভয় ধরনের মুরগি থেকেই প্রচুর পরিমাণে লাভ হতে পারে। তবে খামার থেকে লাভ করার জন্য আমাদের অবশ্যই দেখতে হবে কোন মুরগি পালন করলে সবচাইতে বেশি লাভবান হওয়া যায়। লাভবান হতে হলে কয়েকটি বিষয় আমাদের দেখে নিতে হবে যে, কোন মুরগিগুলো বেশি ডিম পাড়ে অথবা কোন মুরগিগুলো সবচাইতে তাড়াতাড়ি বাড়ে।
আবার আরেকটি বিষয় আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে যে মুরগির বাচ্চার সাধারণত কম রোগ হয় অর্থাৎ বেশি রোগ হলে সে মুরগির বেশি নষ্ট হয় এদিক থেকেও ক্ষতির সম্মুখীন থাকে তাই যে মুরগিগুলো সাধারণত রোগ হয় না বা কম রোগ হয় সুস্থ থাকে সেগুলোকে পালন করলে বেশি লাভ হতে পারে। তাই আপনারা ডিম দেওয়ার মুরগি হোক আর মাংস উৎপাদনের মুরগী হোক অবশ্যই এই দিকটি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ আপনার মুরগি বাচ্চা যদি মারা শুরু করে তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রোগে আপনার খামার সাফ হয়ে যেতে পারে এবং আপনি বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
আবার আপনাকে আরেকটি বিষয় খেয়াল করতে হবে আর তা হলো যেন মুরগির ডিম প্রচুর পরিমাণে দিতে পারে অর্থাৎ মুরগির ডিম যদি ঠিকমতো না দেওয়া হয় অর্থাৎ বেশি পরিমাণে ডিম যদি না দেয় তাহলেও আপনারা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন অর্থাৎ মুরগি পালন করবেন কিন্তু প্রতিদিন ডিম পাচ্ছেন না এক্ষেত্রেও আপনারা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারবেন বা পারেন। তাই বাচ্চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে দেখতে হবে মুরগি তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাচ্ছে কিনা সেটা অসুখ কম হচ্ছে কিনা সেটা এবং ডিম উৎপাদনের ক্ষেত্রেও দেখতে হবে যে এক বছরে একটি মুরগি কতটি ডিম দেয় অর্থাৎ যে মুরগি গুলো বেশি পরিমাণে ডিম
দেয় সেটি আমাদের পালন করা উচিত। তাহলে দেখব যে যে জাতগুলো বাজারে রয়েছে সেই জাতগুলোর মধ্যে কোন জাতের মুরগি পালন করলে আমাদের বেশি লাভবান হতে পারি। তাহলে চলুন দেখি যে কোন মুরগি পালন করলে আমাদের বেশি লাভ হয়।দেশি মুরগি এবং সোনালী মুরগি পালন লাভ বেশি। তার কারন দেশি মুরগি দাম বেশি হয়ে থাকে এবং দেশি মুরগির খাবারের খরচ কম। দেশি মুরগি বাহিরে ঘুরে তাদের খাবার খেয়ে থাকে বেশির ভাগ সময়। আমাদের মতে সোনালী মুরগি পালন ও লাভ বেশি।
তাহলে বিদেশী বিভিন্ন মুরগি খামারে পালন করা যায় এবং খালা খামারে পালন করার জন্য সেই বৈশিষ্ট্য গুলো থাকতে হবে আর যদি আপনি অল্প পরিমাণে খামার সারাব পালন করতে চান তাহলে অবশ্যই দেশি মুরগিতে বেশ লাভ করতে পারবেন সেটি আপনারা অবশ্যই দেখে নিলেন যে কেন বিদেশি মুরগি পালন করলে লাভ হয়। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন বেশিরভাগ সময়ে যে কোন তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার জন্য।