কোন ইমারজেন্সি পিল সবচেয়ে ভালো

আজকে আমরা মহিলাদের সম্পর্কে কিছু গোপনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করব। মহিলাদের জীবনে কিছু গোপনীয় রোগ এবং গোপনীয় কিছু সমস্যা থেকে যায়। যেগুলো সচরাচর আমাদের সমাজে মানুষ খুব কম আলোচনা করে। এজন্য সেই সমস্যাগুলো সমস্যায় থেকে যায়। কিন্তু এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মহিলারা ঘরে বসেই তাদের প্রয়োজনীয় যে কোন তথ্য পেয়ে যাবে খুব সহজেই। আমাদের এই আজকের প্রতিবেদনটি সব মহিলাদেরই পড়া প্রয়োজন। মহিলাদের স্বাস্থ্যশীল বিষয়ক এই তথ্যগুলো জানা দরকার।

ইমার্জেন্সি পেল বলতে বোঝায় গর্ভনিরোধক পিল। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের অধিকাংশ মহিলারা বিবাহের পর এই গর্ভনিরোধক পিল খেয়ে নিরাপদে জীবন যাপন করে। এতে বংশবিস্তারের ঝুঁকি কম থাকে। এবং আনন্দে জীবনযাপন কাটানো যায়। অনেক ধরনের গর্ভনিরোধক ফুল বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ যে মহিলারা গর্ভনিরোধক পিল খায় সেই গর্ভনিরোধক পেলে কি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা রয়েছে?

অনেক মহিলারা আছে যারা নিয়মিত গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার পরেও অনিশ্চিত গর্ভধারণ হয়ে যায়? তাহলে আপনি কিভাবে গর্ভনিরোধক পিলের ওপর আস্থা রাখবেন? তবে এটা সঠিক যে সবার ক্ষেত্রে এরকম হয়না। অধিকাংশ মহিলারা এই গর্ভনিরোধক পিল খেয়ে সুন্দর জীবন যাপন করছে। কিন্তু অনেক মহিলার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখা দেয়। যারা নিয়মিত গর্ভনিরোধক পিল খায় তারপরেও অনিশ্চিত ভাবে গর্ভধারণ করে ফেলে।

আপনি যদি এই সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে। আপনি গর্ভনিরোধক পিলের পরিবর্তে ইমার্জেন্সি গর্ভনিরোধক পিল গুলো খেতে পারেন।অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে ইমারজেন্সি পিল কি এবং এটা খেলে কিভাবে গর্ভধারণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অনেকে এই পিল খেতে ভয় পায়। অনেকের ভুল ধারণা এই পিল খেলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হবে। সাধারণ গর্ভনিরোধক পিল এবং এমার্জেন্সি পিল গুলো দুইটারই কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিশ্চয়ই রয়েছে।

যেকোনো ধরনের ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। তবে ইমারজেন্সি গর্ভনিরোধক পিল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে। সে নিয়ম গুলো এবার আপনারা আপনাদের সাথে শেয়ার করব।ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার নিয়ম এবং ইমারজেন্সি পিল কখন কিভাবে খেতে হবে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।সহবাসের পূর্বে আপনি যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিতে ভুলে যান তাহলে সহবাসের পরবর্তী সময় আপনি ইমারজেন্সি পিল গ্রহণ করতে পারেন মনে রাখবেন সহবাসের পর 72 ঘণ্টার মধ্যে আপনাকে এই বিলটি সেবন করতে হবে।ইমারজেন্সি পিল এর কার্যক্ষমতা 72 ঘন্টা পর্যন্ত থাকায় এই ক্রিমটি সেবন করার পর 72 ঘন্টার মধ্যে আপনি নিরাপদে যৌন সহবাস করে যেতে পারবেন কোন প্রকার গর্ভধারণের ঝুঁকি ছাড়াই।

বাজারে অনেক কোম্পানির নানান নামের এই ইমারজেন্সি পিল পাওয়া যায়। সবগুলোই ভালো। ভালো কোম্পানির পিল গুলো সব সময় খাওয়ার চেষ্টা করবেন। আনব্র্যান্ড কোম্পানির ঔষধ খাওয়া থেকে সব সময় বিরত থাকবেন।
Ulipristal (Ella®) : এই ধরনের জরুরী গর্ভনিরোধক পিল দীর্ঘ সময়ের জন্য আরও কার্যকর। এই ওষুধের সাথে, আপনার কাছে অরক্ষিত যৌন মিলনের পাঁচ দিন পর্যন্ত আছে যেখানে এটি এখনও গর্ভাবস্থা প্রতিরোধে কার্যকর।

স্বামী স্ত্রীর মিলনে ইমার্জেন্সি পিল অনেক সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কোন পিল সবচেয়ে ভালো অনেক সময় গর্ভধারণের ভয় থাকে আবার অনেক সময় যৌন মিলন অরক্ষিত থাকার কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ হয়ে যায় এক্ষেত্রে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ইমারজেন্সি পিল।

ইমার্জেন্সি পিল একটি হরমোনাল ওষুধ, যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ; অর্থাৎ ওভুলেশনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেয় অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণুকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হতে বাধা দেয়। যাঁদের ইতিমধ্যে ওভুলেশন হয়ে গেছে অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হয়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ওষুধ কোনো কাজ করে না। বিভিন্ন হরমোন জনিত সমস্যার কারণে এরকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। ইমারজেন্সি পিল নিয়ম করে খেলে এরকম সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

ইমারজেন্সি পিল খেলে কি হয় এবং ইমারজেন্সি পিল খাওয়ার উপকারিতা সবকিছুই আপনারা জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। এই পিল খাওয়ার কিছু নিয়ম রয়েছে সেগুলো আমরা এখানে উল্লেখ করেছি। আশা করি আমাদের এই প্রতিবেদনটি আপনাদের জন্য উপযোগী হবে। সুস্থ এবং স্বাভাবিক পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো জেনে নিন। ধন্যবাদ।

Leave a Comment