এশিয়ার মধ্যে ৪৯ টি সার্বভৌম দেশ রয়েছে। এই ৪৯ টি সার্বভৌম দেশ নিয়ে এশিয়া মহাদেশ গঠিত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বলা হয় যে এশিয়ার তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র রয়েছে এই রাষ্ট্রগুলি অত্যন্ত অনুন্নত শীল। এশিয়ার যেমন অনেক গরিব রাষ্ট্র রয়েছে তেমনি রয়েছে অত্যন্ত ধনী রাষ্ট্র। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন দিক থেকে সমৃদ্ধ। কোন দেশ দেখা যাচ্ছে যে প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ আবার কোন দেশ জনসম্পদের সমৃদ্ধ।
তাই এশিয়ার বেশিরভাগ দেশগুলো ও পৃথিবীর মধ্যে অনেক ভাবে বিবেচনা করলে এরা মাথা উঁচু করে পৃথিবীতে রয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে অনেক শক্তিশালী দেশ এখন মনে করা হয় এশিয়া মহাদেশে রয়েছে। কারণ এশিয়া মহাদেশ বর্তমান সময়ে পৃথিবীর চালিকা শক্তির আসনে যাচ্ছে বলেই মনে করা হয়। একটা সময় এই পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিত আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলো।
কিন্তু বর্তমান সময়ের যুগ পরিবর্তনের ফলে দেখা যাচ্ছে যে এশিয়ার অনেক দেশ এখন নেতৃত্বে দেওয়ার জায়গায় চলে এসেছে। ভোর রাজনৈতিক বিভিন্ন দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলো পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। এবং পৃথিবীর মূলত তিনটি অংশে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর যে শক্তিধর দেশগুলো রয়েছে সেই শক্তিধর দেশগুলো আসলে তিন কাতারে অবস্থান করছে।
আজকে আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে এসেছেন যে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর দেশ কোনটি সেইটি জানার জন্য। এই শক্তিধর দেশ কোনটি সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে জানাবো। এশিয়ার মধ্যে যেহেতু ৪৯ টি দেশ রয়েছে আর এই 49 টি দেশের মধ্যে অনেক দেশগুলোই অনেক শক্তিশালী দেশ হিসেবে দেখা যায়। এই শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে আমরা যদি প্রথমে বিবেচনা করি তাহলে রাশিয়া চীন ভারত এ ধরনের দেশগুলোকে এশিয়ার শক্তিধর দেশ বলে মনে করা হয়।
তারপরেও আমরা দেখাবো যে শুধু মনে করার বিষয় নয় কাগজে-কলমে যে দেশগুলিকে আসলে পৃথিবীর সবাই শক্তিশালী মনে করে বা শক্তিধর মনে করে সেই সকল দেশগুলোকেই আমরা মানে দেখাবো আপনাদেরকে যে শক্তিধর দেশ মোটের উপর কোনটি। কারণ যে কোন তথ্য অবশ্যই সঠিকভাবে গ্রহণ করাই উচিত আর এই কারণে শুধু মনে হওয়ার বিষয়টি নিয়ে আজকে আমরা থাকবো না। তবে পরমাণু অস্ত্রসমৃদ্ধ অনেক দেশ রয়েছে আবার অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক দেশ
সমৃদ্ধ রয়েছে তাই বিভিন্ন বিবেচনার বিভিন্ন দেশ শক্তিধর দেশ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি মনে করা হয় যে অর্থনৈতিকভাবে কোন দেশ শক্তিশালী এবং অস্ত্রশস্ত্রের দিক থেকে কোন দেশ শক্তিশালী এসব নানা বিষয়ে মতামত রয়েছে। তাই আমরা সকল বিষয় বিবেচনা করে এখন আপনাদেরকে দেখাবো বা দেখানোর চেষ্টা করব যে কোন দেশ সবচাইতে বেশি শক্তিশালী দেশ হিসেবে বিবেচ্য। পরমাণুর কথা বললে দেখা যায় যে ভারত এবং চীন উভয় দেশ প্রায় কাছাকাছি অবস্থায় অবস্থান করছে।
একদিক থেকে চীন শক্তিশালী তে অপরদিক থেকে আবার ভারত শক্তিশালী। চীন এবং ভারত উভয়ী পরমানু শক্তিধর দেশ হিসেবে পৃথিবীতে প্রকাশ পেয়েছে। তাই আসলে একক কোন দেশকে এশিয়ায় শক্তিধর দেশ হিসেবে ঘোষণা করার বিষয়টাও অনেকটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সামরিক বাহিনী এবং পরমাণু অস্ত্র নানা দিক থেকে বিবেচনা করলে এই দুই দেশ আলাদা আলাদা ভাবে দুইজনের কাছে অবশ্যই শক্তিশালী দেশ হিসেবেই দেখা হয়। সব মিলিয়ে চীনের সামরিক বাহিনী
এশিয়ার শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। ভারতও চীনের মতো স্বীকৃত পারমাণবিক শক্তিধর দেশ। ভারতের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বিশ্বের তৃতীয়। এ দেশটি সামরিক বাহিনীর জন্য ব্যয় করা অর্থের দিক দিয়ে বিশ্বের নবম। তাই আমরা যদি সব দিক থেকে বিবেচনা করি তাহলে দুই দেশ দুইভাবে শক্তিধর দেশ হিসেবে এশিয়ায় অবস্থান করছে। এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা যদি আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের পাশে থাকেন তাহলে অবশ্যই সব ধরনের তথ্য সবার আগে পাবেন।