হ্যাঁ যখন আমরা পরিকল্পিতভাবে বাচ্চা নিব তখন অবশ্যই সব দিক বিবেচনা করেই বাচ্চা নেওয়া ভালো। কারণ আমাদের দেখতে হবে নবজাতক যখন ভূমিষ্ঠ হবে তখন প্রাকৃতিক পরিবেশটা কেমন থাকবে তার ওপর অবশ্যই পাঁচ চার সুস্থতা নির্ভর করে থাকে। কারন আমরা যদি গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমে বাচ্চা নিয়ে থাকি তখন অবশ্যই সেই সময়টা অনেকটাই অসুস্থ থাকতে পারে আমাদের নবজাতক শিশু। আবার আপনারা যদি শীতকালের প্রচণ্ড শীতে আমাদের ঘরে বাচ্চা আসে অর্থাৎ নবজাতক ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকে তখনও একটু খেয়াল করে দেখবেন যে চারিদিকে শুধু ঠান্ডা আর ঠান্ডা এই ঠান্ডার মধ্যে
বাচ্চার বিভিন্ন ধরনের হাঁচি কাশি রোগ অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের রোগ নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই এসব দিক থেকে বিবেচনা করে আমাদের দেখে নিতে হবে যে কোন সময়টাই বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলে আমাদের সবচাইতে বেশি ভাল হয়। তাই পরিকল্পিতভাবে শিশু যদি আমরা আনতে পারি আমাদের পৃথিবীতে তাহলে অবশ্যই সেটি আমাদের জন্য যেমন ভাল হয় তেমনি সেই নবজাতকের জন্য ভালো হবে। ছোট শিশুরা একেবারে রোগ প্রতিরোধ করতে পারে না সেজন্য ভুমিষ্ট হবার কিছুদিন পর আস্তে আস্তে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
তাই আমাদের দেখতে হবে যে শীত অর্থাৎ প্রচন্ড শীত এবং প্রচন্ড গরম আসার পূর্বে অর্থাৎ দুই তিন মাস পূর্বে যদি শিশু ভুমিষ্ট হয়ে থাকে তাহলে সেই শিশু অনেকটাই পরিপূর্ণ হবে প্রচন্ড শীত অথবা প্রচন্ড গরম আসার সময়। যদিও আমার বর্তমান সময়ে অকৃত্রিম প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার করে ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু আমাদের দেখতে হবে যে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ বা কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করার তাপমাত্রা তার জীবনের খুব একটা সুফল বয়ে আনতে পারে না।
কারণ প্রাকৃতিক পরিবেশে শিশুকে বেড়ে উঠতে দিলে সেটাই সবচাইতে বেশি ভালো হয়। কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা তাপমাত্রা শিশুর জন্য আরো ভয়াবহ বিপদ দেখে আনতে পারে। এবং আরেকটি বিষয় ভাবতে হবে যে তাপমাত্রা অনুকূল রাখতে পারে সেরকম ক্যাপাসিটি সব বাবা-মায়ের থাকে না। বা আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে থাকে। তাই আমাদের দেখতে হবে যে এই সকল দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করা এবং যাদের সামর্থ্য নেই তাপমাত্রা অনুকূলে রেখে শিশুকে জন্মদান করা সেই সব মানুষের জন্য কি হতে পারে।
আমরা ভালোভাবে চিন্তা করলে দেখব যে একটি শিশু মায়ের গর্ভে সাধারণত ৯ মাস কিছুদিন থাকে। তাই আপনাকে হিসেব করে বের করতে হবে কখন বাচ্চা নিলে সবচাইতে বেশি ঠান্ডা এবং সবচেয়ে বেশি গরমের মধ্যে আপনার নবজাতক যেন ভূমিষ্ঠ না হয়। বিশেষ করে শরৎকালে এবং হেমন্তকালের অর্থাৎ শীতের শেষে যদি বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় তাহলেই সবচাইতে বেশি সুবিধা জনক। বাংলা মাসের দিকে যদি আপনি তাকান তাহলে সাধারণত আসছেন কার্তিক মাসে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হলে সেই বাচ্চাটি শীত আসার পূর্বেই অনেকটা পুষ্ট হয়ে যাবে। আবার প্রচন্ড গরম পরে আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে এবং সেটা বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে।
তাই যদি শীতের শেষে বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়ে থাকে তাহলে প্রচন্ড গরম আসার পূর্বে বাচ্চা বেশ পরিপুষ্ট হয়ে উঠবে। তাই আপনারা অবশ্যই একটি হিসাব নিকাশ করে বাচ্চা কখন ভূমিষ্ঠ হবে সেই বিষয়টি নিশ্চিত করে বাচ্চা নেওয়া ভালো বলেই মনে করছি। অর্থাৎ আপনার বাচ্চা আশ্বিন মাসের শুরুতে অথবা মাঝামাঝি সময়ে ভূমিষ্ঠ হলে সবচাইতে বেশি ভালো হয়। আবার মাঘ মাসের শেষে অথবা ফাল্গুন মাসের শুরুতে যদি বাচ্চা প্র সব হয়ে থাকে তাহলে দেখবেন যে সেটিও বেশি ভালো হয়।
তাই আপনারা এ ধরনের যেকোনো তথ্য পাওয়ার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট বারবার ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকবেন। তাহলে সব ধরনের তথ্য সবার আগে এবং সঠিক তথ্যই আমাদের কাছ থেকে পাবেন বলে আশা করি। আপনারা সকল তথ্য পেয়ে যেমন খুশি হবেন তেমনি আমরাও আপনাদেরকে সঠিক তথ্য এবং সঠিক সময়ে দেয়ার মাধ্যমে আমাদের উৎসাহ বেড়ে যাবে।