দেশ প্রাচীনকাল থেকেই চা একটি উত্তম পানীয় হিসেবে আমরা ব্যবহার করে আসছি। বর্তমানে ভদ্র সমাজে অবশ্যই আপনাকে যে কোন জায়গাতে এক কাপ চা যে কেউ অফার করতে পারে। সৌজন্যতা অনুযায়ী যে কোন অফিস আদালত মানুষের বাড়িতে গেলে আপনাকে যে কেউ এই ভদ্র পানীয় অর্থাৎ এক কাপ চা খাওয়াতে পারেন। এবং বাঙালি বেশ অনেকদিন আগে থেকেই চা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে।
বিভিন্ন ইতিহাস বিদ্যাদের কাছ থেকে জানা যায় যে বাঙ্গালীদের শুধু নয় পৃথিবীর সকল গোষ্ঠীর মানুষ চা পান করে থাকে। চা পান করলে মুহূর্তের মধ্যে শরীর থেকে ক্লান্তি দূর হতে পারে। এ কারণে ইউরোপ আমেরিকার সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চায়ের বেশ কদর রয়েছে। যা সাধারণত একটি গাছের দুইটি পাতা এবং একটি কুড়ির সমন্বয়ে বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতকরণ একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন চায়ের পাতা।
এটি তৈরি করতে বা তৈরি করার জন্য প্রথমে গরম জল করতে হয় এবং সেই গরম জল যখন ফুটতে থাকে তখন তার মধ্যে চিনি এবং চা পাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ফোটানোর পর তার মধ্যে গরুর খাঁটি দুধ যদি ঢেলে দেওয়া যায় তাহলে সুন্দর একটি পানীয় তৈরি হয়। এই পানি আর নামি হলো চা। আর এই বর্তমান সময়ে প্রতিটি মানুষের সকাল বেলার নাস্তার টেবিলে এক কাপ চা না হলে চলে না। পথে-ঘাটে রেল স্টেশন বাস স্টেশন হাটে বাজারে সকল জায়গাতে এই চায়ের দোকান রয়েছে যেখান থেকে সকল মানুষ চা খেতে পারে।
চায়ের গুনাগুন বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে যে বেশ ভালো গুণাগুণ সম্পন্ন চা পাতা রয়েছে। মানব শরীরের থেকে শান্তি এবং ক্লান্তি দূর করার জন্য চায়ের ভূমিকা অস্বীকার্য। তাই অফিস আদালতে কাজ করার থাকে যদি এক কাপ চা পান করা যায় তাহলে মুহূর্তের মধ্যেই তার সব ক্লান্তি দূর করে নতুন উদ্যমে আবার কাজ করতে পারে। তাই শুধু বাঙালি সমাজে না পৃথিবীর সব জায়গাতেই চা পান করার একটি বিশেষ রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। কারো কারো ক্ষেত্রে চা খাওয়া একটি নেশার মতো হয়ে গেছে। তবে এই যা সেবন করা শরীরের পক্ষে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভালো।
কিন্তু দুধ এবং চিনি মেশানো চায় শরীরের জন্য একটু ক্ষতিকর হলেও আসলে মোটের উপর চাপান করা ভালই বলা চলে। সুগারের পরিমাণ যদি কমিয়ে দেওয়া যায় এবং দুধ বাদ দিয়ে যদি চা খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই যা আপনার শরীরের পক্ষে বেশ মসৃণ করবে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করবে। বাংলাদেশে খুব উন্নত মানের চা তৈরি হয়ে থাকে। আমাদের দেশের চা আমাদের বাংলাদেশের চাহিদা মেটানোর পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তা রপ্তানি করা হয়ে থাকে। চা রপ্তানি করে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকে।
এবং বাংলাদেশে বাইরে রপ্তানির জন্য যে চাপ প্রসেসিং করা হয় তা অতি উন্নত মানের। কিন্তু আমাদের হাটে বাজারে যে চাকগুলো পাওয়া যায় সেগুলি অত ভালো মানের নয়। তাই আপনারা যদি উন্নত মানের জাপান করতে চান তাহলে অবশ্যই সিলেটের বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানি রয়েছে যারা বিদেশে রপ্তানি করে থাকে সেই চা গুলো যদি সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ভাল চায়ের স্বাদ পেতে পারেন। আমাদের বাংলাদেশের সিলেট মৌলভীবাজার অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে চা উৎপাদিত হয়। ভারতের দার্জিলিং এ প্রচুর পরিমাণে চা উৎপন্ন হয় তারাও বিদেশে চার রপ্তানি করে থাকে।
বাংলাদেশের অনেকগুলো কোম্পানি যা বাজারজাতকরণ করে তাদের মধ্যে রয়েছে ইস্পাহানি মির্জাপুর চা শাহজালাল চা এছাড়াও আরো অনেক নাম না জানা কোম্পানি। এখন আমরা দেখব লিপটন প্লাজা সহজে যা গুলো বাজারে পাওয়া যায় তার মধ্যে কোনটা সবচাইতে ভালো। লাল চা গ্রিন টি- উভয় ধরণের চা থেকেই পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যাফেইন। তবে লাল চায়ের তুলনায় গ্রিন টিতে ক্যাফেইন মাত্রা থাকে কিছু কম। যদি আপনি সকাল বেলা ঘুমভাব দূর করে পুরোদমে কাজ শুরু করতে চান তবে লাল চা হবে সবচাইতে ভালো পছন্দ।