কৃমির ঔষধ কোনটা ভালো

নিয়মিত কৃমির ঔষধ সেবনের পরামর্শ দিয়েছে ডাক্তাররা। এজন্য বাংলাদেশ সরকার সকল প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কৃমির ঔষধ সরবরাহ করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তিন মাস পর পর বাচ্চাদের কৃমির ঔষধ খাওয়ানো হয়। আজকে আমরা এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে জানতে পারবো কোন ক্রিমের ঔষধটি ভালো। কোন ওষুধ সেবন করলে কোন ক্ষতি হবে না এবং কৃমি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া যাবে। কৃমির ঔষধ আমরা সবাই দেখেছি।

বড় সাইজের গোলাকার ট্যাবলেট যেটা জল দিয়ে সরাসরি না গিলে ক্যান্ডি এর মত চুষে চুষে খেতে হয়। সাধারণত ট্যাবলেট যেভাবে খেতে হয় কৃমি রোগের ঔষধ কিন্তু সেভাবে খেলে হবে না। পরিবারের সব সদস্যরা একসাথে এই ওষুধটি সেবন করবেন , কারণ কৃমি এমন একটি পরজীবী যেটা এক দেহ থেকে আরেক দেহতে সংক্রামক ছড়াতে পারে এবং দ্রুত বংশবিস্তার ঘটাতে পারে এজন্য যখনি কৃমির ঔষধ সেবন করা হয় তখন একসঙ্গে পরিবারের সব সদস্যদের করতে হয়।

এবার আমার জেনে নেই কোন ট্যাবলেট গুলো এই রোগের প্রতিকারের বেশি উপযোগী। এছাড়াও কৃমি রোগ থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন নেওয়া হয়। তবে ইনজেকশনের চাইতে এই ট্যাবলেট গুলো কিন্তু বেশি সহজলভ্য।
অ্যালবেনডাজল, মেবেনডাজল আমাদের দেশে কৃমির ওষুধ হিসেবে পাওয়া যায়। এসব ওষুধ খালি পেটে খাওয়ানো ভালো, তবে প্রয়োজনে ভরা পেটে খাওয়া যেতে পারে।

কৃমি পেটের মধ্যে হয় এবং এই রোগের সাধারণ লক্ষণ হল পেটব্যথা। বিভিন্ন ধরনের কৃমি রয়েছে। এটি দেখতে অনেকটা কেঁচোর মত।কৃমির ছবিগুলো দেখে নিন।কৃমি হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বৃহৎ পরজীবী। এটি মানুষের দেহে বাস করে এবং শরীর থেকে খাবার গ্রহণ করে বেচে থাকে এবং বংশ বৃদ্ধি করে। কৃমি অনেক ধরনের আছে ।

আমাদের দেশে কেঁচো কৃমি, বক্র কৃমি, চাবুক কৃমিতে আক্রান্তের হার বেশী। কৃমি থেকে বাঁচতে ইনজেকশন নেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের। কিন্তু ইনজেকশনের প্রয়োজন পড়ে না যদি না গুরুতর পর্যায়ে এটি বেড়ে যায়। আগে কৃমি রোগের জন্য কোন ঔষধ এভেলেবেল ছিল না । তখন বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন বা টিকা নেওয়া হতো।

পেটে কৃমির সংক্রমণ হল একটি অতি সাধারণ ধরনের সংক্রমণ, যা সাধারণত দরিদ্র সামাজিক অর্থনীতি এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সাথে জড়িত। এটি হুইপওয়ারমস, টেপওয়ারমস, হুকওয়ারমস, থ্রেডওয়ারমস, এবং রাউন্ডওয়ারমসের কারণে হতে পারে। এই পরজীবীটি উৎপন্ন হয় মানুষের শরীরের ভিতরে মূলত পেটে। বিশেষ করে বাচ্চাদের এই রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। শুধু মানুষ নয় বিভিন্ন ধরনের পশুদের পেটেও কিন্তু প্রেমে বসবাস করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য।

অসুস্থকর পরিবেশ এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবার এই রোগের কারণ।স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানা না থাকার কারণে বা কাঁচা পায়খানা, নদীতে, খালে, উন্মুক্ত স্থানে মল ত্যাগ করার কারণে পানি ও মাটিতে কৃমির ডিম ছড়িয়ে পড়ে। এসব মাটিতে ও পানিতে উৎপন্ন শাক-সবজি ও ফলমূল কাচা খেলে অথবা কৃমির ডিম বাহিত দূষিত পানি পান করলে কৃমির সংক্রমণ ঘটে। এছাড়া খালি পায়ে হাটার ফলে পায়ের নিচ দিয়ে হুক ওয়ার্ম বা বক্র কৃমির লার্ভা শরীরে প্রবেশ করে কৃমি রোগ সৃষ্টি করে।পরজীবীর কারণে হওয়া পেটে কৃমির সংক্রমণ বিভিন্ন উৎসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

তাই আমরা সচেতন হব এবং স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে বসবাস করার চেষ্টা করব। কৃমি হলে কৃমি ধ্বংস কারোক বিভিন্ন প্রতিরোধক মূলক ঔষধ বাজারে বিক্রি করা হয় সেগুলো সেবন করার মাধ্যমে আমরা কৃমি থেকে মুক্তি পেতে পারি। কিন্তু যে কোন ধরনের ঔষধ সেবনের পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন করলে এই ধরনের রোগ থেকে খুব সহজে মুক্তি পাওয়া যায়।

আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপন এবং খাদ্য অভ্যাসের কারণে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়ায়। কৃমি কিভাবে ছড়ায় সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। অসুস্থকর পরিবেশ এর জন্য দায়ী।স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিনের অভাব, পরিষ্কার ও নিরাপদ পানীয় জলের অভাব এবং সর্বোপরি স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব কৃমি রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণ। কৃমি রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

Leave a Comment