বিশ্বের সবচেয়ে ভালো মানুষ কে

সৃষ্টির সেরা জীব হচ্ছে মানুষ। অর্থাৎ অন্যান্য জীবের চেয়ে বা প্রাণীর চেয়ে সবচেয়ে বুদ্ধিমান হচ্ছে মানব জাতি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে এই মানবজাতিই আবার বিভিন্ন নিকৃষ্টতম ঘটনা ঘটায়। তাই একজন মানুষকে যে সবসময় ভালো মানুষ বলা যাবে এমন কোন কথা নাই। কারণ মানুষ হলেই যে সে ভালো মানুষ হবে এমনটা নয়। একজন মানুষ দেখা যায় অনেক ভালো। আবার একজন মানুষ দেখা যায় যে অনেক খারাপ। তাই একজন মানুষকে ভালো বা খারাপ রূপে দেখতে হলে অবশ্যই তার মানসিকতা দেখতে হবে, তার আচার-আচরণ দেখতে হবে, তার মানসিকতা বা আচরণ যদি ভাল হয়, সে যদি সৎ হয়, তাহলে অবশ্যই তাকে ভালো মানুষ হিসেবে ধরে নিতে হবে। কিন্তু তার আচার-আচরণ, শিক্ষা, ভদ্রতা যদি ভালো না হয়, তাহলে সে কখনোই ভালো মানুষ হিসেবে পরিগণিত হবে না।

আমাদের আশেপাশে আমাদের পরিচিত অনেক মানুষ রয়েছে। কিন্তু সব মানুষকে আমরা ভালো মানুষ হিসেবে বলতে পারি না বা সব মানুষের আচরণ আমাদের ভালো লাগে না। কারণ আসলে সব মানুষ ভালো হতে পারবে না। মানুষের ভুল থাকবে, মানুষের খারাপ আচরণ থাকবেই। এরপরেও কিছু কিছু মানুষ রয়েছে তাদের আচরণ অনেক ভালো এবং তারা অনেক ভালো মানসিকতা সম্পন্ন। তাছাড়া তারা সবসময় ভালো কাজ করে। এজন্য তাদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে আমরা ধরে নিই। তাছাড়া আমরা সবসময় চেষ্টা করি ভালো মানুষদের আশেপাশে থাকার। তাদের থেকে বিভিন্ন গুণাবলী অর্জন করার। ভালো মানুষের আশেপাশে থাকতে পারলে অনেক সময় দেখা যায় যে খারাপ মানুষ ভালো হয়ে যায়। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে ভালো মানুষদের আশে পাশে থাকার, তাদের মত আর গুণাবলী অর্জন করার৷ তাদের মত মানসিকতা অর্জন করার, তাদের মত শিক্ষা অর্জন করার।

পৃথিবীতে অনেক মানুষ রয়েছে। যে মানুষগুলো অনেক ভালো ছিলো তারা কীর্তিমান মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের গুণাবলী গুলো আমাদের শিখে রাখা উচিত। তবে অনেক সময় দেখা যায় যে বিশ্বের সবচেয়ে ভালো মানুষ কে বা কার মানসিকতা সবচেয়ে ভালো ছিল এ ধরনের প্রশ্ন অনেক সময় অনেকেই করে থাকেন। তবে এরকম প্রশ্নের উত্তরে যে মানুষটির নাম সবার আগে আসে বা যে মানুষটিকে সবচেয়ে ভালো মানুষ বলা যায় বা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম মানুষ হিসেবে যাকে ধরা হয় তিনি হচ্ছেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ). তার গুণাবলী ছিল অনেক সুন্দর। একজন মানুষ হিসেবে যে সকল গুনাবলী থাকা দরকার, তার সবগুলোই তার মধ্যে বিদ্যমান ছিল। এজন্য পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালো মানুষ হিসেবে তাকে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

প্রত্যেকটি মানুষের উচিত নবী করীম (সাঃ) এর জীবনী পড়া এবং তার মত গুণাবলী অর্জনের চেষ্টা করা। তিনি এমন কোন গুণাবলী নাই যে গুণাবলী গুলো অর্জন করেছিলেন না। কোন মানুষ যদি মহানবীকে অনুসরণ করে এবং তার গুণাবলী গুলো অর্জনের চেষ্টা করে, তাহলে সে অবশ্যই ভালো মানুষ হতে বাধ্য। তার মধ্যে কোন খারাপ মানুসিকতা থাকবে না। তাই প্রত্যেকটা মানুষের উচিত মহানবী (সাঃ) সম্পর্কে জানা। তার গুণাবলী সম্পর্কে জানা। তাহলে অবশ্যই সেই মানুষের মানসিকতা ভালো হতে বাধ্য হবে।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রেরিত রাসুল বা পুরুষ। তিনি মূলত ইসলামের বাণী প্রচারের জন্য পৃথিবীতে এসেছিলেন এবং তিনি তার জীবন দশায় ইসলাম প্রচার করে গেছেন। ইসলামের জন্য তিনি কোন কিছু করতে দ্বিধাবোধ করেননি। নিজের প্রাণ দিতেও কখনো দ্বিধাবোধ করেনি। তিনি কিভাবে সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আপনার চেষ্টা করে গেছেন, জীবনে শেষ দিন পর্যন্ত সংগ্রাম করে গেছেন তা তার জীবনী পড়লে জানা যায়। একজন মানুষ কতটা ভালো হতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)। তাই যদি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ হিসেবে কারো নাম বলতে হয়, তাহলে সবার উপরেই থাকবে তার নাম।

Leave a Comment