খাদ্য মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। শরীরের মধ্যে যে শক্তি বা এনার্জির কথা বলে সেটি সাধারণত খাদ্য থেকেই পাওয়া যায়। এবং শরীরের মধ্যে কার প্রত্যেকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো বিভিন্ন ধরনের কাজে ব্যস্ত থাকে। আপনা আপনি জানান দিয়ে থাকে শরীরের কখন কি প্রয়োজন পড়ে। যেমন আপনি যদি জল অনেকক্ষণ ধরে না খেয়ে থাকেন তাহলে শরীর আপনাকে জানান দেবে আপনার জল খেতে হবে।
যেমনিভাবে ক্ষুধা লাগলেও আমাদের খাদ্যের প্রয়োজন অনুভূত হয়। ক্ষুধা লাগার পরও যদি অনেকক্ষণ ধরে খাদ্য না খেয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই শরীরে বিভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেই সকল প্রতিক্রিয়ার মধ্যে অবশ্যই একটি হলো শরীর কেঁপে ওঠা। কথা লাগলে মানুষের শরীরে অনেক সময় কেঁপে ওঠে এবং এ থেকে জানান দেয় যে শরীরে খাদ্যের প্রয়োজন রয়েছে।
খাদ্য কি?
চা খেলে মানুষ সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারে এবং মানুষের শরীরের সমস্ত ধরনের পুষ্টির চাহিদা মেটায় শরীরকে শক্তি যোগায় তাই হল খাদ্য। এজন্য আমাদের সব সময় পুষ্টিকর খাবার খেতে হয়। যে খাবারগুলো গ্রহণ করলে আমরা শরীরে প্রচুর পরিমাণে এনার্জি পেতে পারি সেই খাবারগুলো আমাদের খাওয়ার প্রয়োজন। খাদ্যের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ থাকে সেই রাসায়নিক পদার্থগুলো বিভিন্ন খাদ্য থেকে পেয়ে থাকি।আর এই কারণে মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য স্বাভাবিক রাখার জন্য আমাদেরকে সব ধরনের খাদ্য খেতে হয়। যেকোনো এক প্রকারের খাদ্য খেয়ে মানুষ কখনো ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারে না।
মানুষকে ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই সব ধরনের খাদ্যই খেতে হয়। যেহেতু শরীরে নানা ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োজন হয় এবং সব ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য একপ্রকার খাদ্যে পাওয়া যায় না তাই সব ধরনের খাদ্য অর্থাৎ মাছ মাংস দুধ ডিম বিভিন্ন ধরনের সবজি ছাড়াও আরো যে সকল খাদ্য রয়েছে সাক্ষাতে মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্ষুধা লাগলে মানুষকে খাদ্য খেতে হয় এবং এটি মানুষের জীবনের সাধারন প্রক্রিয়া। সাধারণ প্রক্রিয়ার মধ্যেই অনেক রকমের গুরুত্ব অন্তর্নিহিত রয়েছে। এখান থেকেই আমরা এখন দেখব বা দেখার চেষ্টা করব যে ক্ষুধা লাগলে মানুষের শরীর কাপে কেন এই বিষয়টি।
কি কি কারণে শরীর কাঁপতে পারে
মানুষের শরীর বিভিন্ন কারণে কাঁপতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে দুর্বলতা, ডায়াবেটিস, পারকিনসন’স রোগ বা থায়রয়েডে গ্রন্থির সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে হাত কাঁপা। তবে সমস্ত শরীর কাঁপার কারণ হলো ক্ষুধা লাগা। এছাড়াও রয়েছে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা কম হলেও শরীর কাঁপতে পারে। এখন এই শর্করার পরিমাণ কম মানেই খাদ্য না খাওয়া। দীর্ঘক্ষণ যদি আমরা না খেয়ে থাকি তখন আমাদের ক্ষুধা লাগে। আর যখন ক্ষুধা লাগবে তখন খাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কখনো কখনো আমরা ইচ্ছা
থাকা সত্ত্বেও কর্মব্যস্ততার কারণ অথবা অন্য যেকোন কারণে খাদ্য গ্রহণ করতে পারি না। অধিক সময় খাদ্য গ্রহণ না করলে অবশ্যই শরীর কেঁপে ওঠে শর্করার অভাবে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই ক্ষুধা লাগলে অন্যান্য সকল কর্ম ব্যস্ততার মাঝেও সামান্য পরিমাণে হলেও খেয়ে নিতে হবে। শরীরে খাদ্য কম হলে শর্করার মাত্রা কমে যায় আর সরকারের মাত্রা যদি কমে যায় তখন শরীরে একটি ঝাকুনি দিয়ে ওঠে। আর এই ঝাকুনি দেওয়া কেই বলা হয় কেঁপে ওঠা। তাহলে আমরা ক্ষুধা লাগলে শরীর কেঁপে উঠার কারণ সম্পর্কে অবশ্যই বুঝে নিতে পারলাম।
শেষ কথা
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই খাদ্য গ্রহণ করার সময় আমাদের মাথায় রাখতে হবে যেন সব রকমের পুষ্টি যাতে শরীরকে দেওয়া যায়। আর শরীরকে যদি আমরা সব ধরনের পুষ্টি দিতে চাই তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়া। আমরা যে খাবার ভালো লাগে সেই খাবার শুধু বেশি খাই এতে শরীরের সব ধরনের প্রয়োজন বা সব ধরনের ভিটামিনের প্রয়োজন মেটেনা। এজন্য আমাদের উচিত হবে সব সময় সব ধরনের খাবার সঠিক সময় গ্রহণ করা।