কিডনির কাজ হল ভেতর থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য পদার্থ গুলি ছাঁকনির মতো ছেঁকে বাইরে বের করে দেওয়া। এখন যদি শরীরের এই ছাঁকনি সমস্যা বা ত্রুটিযুক্ত হয় তাহলে অবশ্যই শরীরের অন্যান্য কর্মকাণ্ড গুলিতে এটির প্রভাব পড়ে। তাই আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে যে কখনোই কিডনিতে যেন কোন ধরনের ত্রুটি না ঘটতে পারে। কিডনির বিভিন্ন ধরনের রোগের মধ্যে একটি রোগ হল কিডনিতে পানি বা জল জমা। এখন আজকে আপনারা আমাদের এই পোস্ট থেকে জানতে এসেছেন যে কিডনিতে কেন পানি বা জল জমে থাকে। বিভিন্ন কারণে কিডনি যখন অসুস্থ হয় যখন ঠিকমতো কাজ করতে না পারে তখন এই কিডনিতে পানি বা জল জমে থাকে।
এটি কিডনির ব্যর্থতার লক্ষণ অর্থাৎ অবশ্যই এটি এখন যেকোনো কারণেই হোক ত্রুটিযুক্ত হয়েছে। তাই শরীরের জন্য এই বার্তাই বহন করে যে, এখন আমাদেরকে কিডনির চিকিৎসা করতে হবে। কিডনি মানে ই শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। আর এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গটি যে কোন কারনেই যদি অকেজো হয়ে পড়ে তাহলে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অনেক সমস্যা দেখা দিবে। মানুষের শরীরের সাধারণত দুইটি কিডনি থাকে। এই কিডনি দুইটি কোমরের ওপরে অর্থাৎ পেছন সাইডে অবস্থান।
আমাদের দেখতে হবে যে এই কিডনি দুইটি কোনভাবে অকেজো না পরে। আর ওকে যেভাবে পড়লে অবশ্যই তাকে ছাড়িয়ে তুলতে হবে তা না হলে মানুষের মৃত্যু অবধারিত। তবে একটি বিষয় হলো যে মানুষের কিডনি থাকে দুইটি। এই দুইটি কিডনির মধ্যে একটি কিডনিও যদি ভালো থাকে তাহলে মানুষ বেঁচে যেতে পারে। তাই কিডনিকে সুস্থ রাখতে হবে যে কোন মূল্যে। কিডনিকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি যে সকল কাজগুলো করবেন তার মধ্যে অবশ্যই প্রথমে আপনাকে ধূমপান এবং মদ্যপান যদি অভ্যাস থাকে তাহলে ছাড়তে হবে।
এছাড়াও রক্তের শর্করার পরিমাণ যাতে বৃদ্ধি না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করে যেতে হবে যাতে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি ঠিকভাবে কাজ করে যেতে পারে। কিডনি ভালো রাখতে হলে আমাদেরকে যত্রতত্র ব্যথা নাশক ঔষধ খাওয়া চলবে না। ব্যাথা নাশক ঔষধ শরীরের জন্য অনেকটাই বিপদ ডেকে আনে। আত্মাই শরীরের সুস্থতার জন্য শরীরের ভেতরকার কিডনি সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেমন হার্ট ফুসফুস লিফার এগুলোকে ভালো রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
বিভিন্ন কারণে কিডনিতে পানি জমতে পারে। পানি জমার লক্ষণগুলি প্রকাশ পেলে আমাদেরকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে হবে। তাহলেই হয়তো আমরা এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবো। এরমধ্যে আপনারা জেনে নিতে পারবেন যে শরীরের পানি জমার লক্ষণগুলো কি কি। শরীরে অর্থাৎ কিডনির মধ্যে যদি পানি জমে তার লক্ষণ গুলি হল শরীরে খুব ক্লান্তিবোধ হওয়া, মাথা ব্যথা করা, বমি বমি ভাব হওয়া ইত্যাদি। এ সকল লক্ষণগুলি যদি প্রকাশ পায় তাহলে আপনাকে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও কিডনিতে পানি জমে কি কারনে সে বিষয়টি সম্পর্কে এখন আপনাদেরকে বলবো।
আপনারা জানেন যে কিডনি সাধারণত ছাকনির মত কাজ করে এবং শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য বিশেষ করে প্রস্রাব নিষ্কাশন করে। আর এই প্রস্রাব যদি নিষ্কাশিত না হয় অর্থাৎ শরীর থেকে বাহিরে বের না হয় মূত্রথলিতে কোন যদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই কিডনিতে পানি বা জল জমতে পারে। কিডনিতে বা কিডনি যদি ফুলে যায় এক টিকিট নিয়ে অথবা দুই কিডনিই ফুলে যেতে পারে। আর কিডনি ফুলে গেলে অথবা মূত্রথলির নালী যদি কোন রকম ত্রুটিযুক্ত হয় প্রস্রাব বাইরে বের হতে না পারে তাহলে কিডনিতে প্রস্রাব জমে যায়। এভাবেই দেখা যায় যে, বা এই সকল কারণেই কিডনিতে পানি বা জল জমতে পারে। এ ধরনের তথ্যগুলি যদি আপনারা সবার আগে সঠিকভাবে পেতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট আপনারা বারবার ভিজিট করুন।