আমরা অনেক সময় নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে ভুল করে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি করি। আবার কিছু কিছু রোগ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের পরীক্ষার জন্য দিয়ে থাকেন এবং এক্ষেত্রে আমরা কতটা দূরত্ব ধারণ করতে পারছি সেটা চেক করে দেখেন। তাই যে সকল গোপন রোগ আমাদের দ্বারা তৈরি হয়েছে সে ক্ষেত্রে আমরা মহান আল্লাহ পাকের কাছে সেই পাপ কাজ থেকে দূরে থেকে ক্ষমা চাইতে পারি। আপনারা যারা গোপন রোগ থেকে মুক্তির দরুদ সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদের দরুদ এখানে জানিয়ে দিলাম।
এই পৃথিবীতে বসবাস করছেন বলে আপনাকে খাদ্য গ্রহণ করতে হচ্ছে অথবা আবহাওয়া জনিত এবং অন্যান্য বিভিন্ন কারণে মহান আল্লাহ পাক আপনাকে রোগ প্রদান করতে পারেন। মহান আনন্দের সময় যেমন আমাদের ধৈর্য ধারণ করার কথা বলা হয়েছে তেমনি ভাবে আপনারা যদি চান তাহলে বিপদের সময় অথবা রোগের সময় ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহ পাকের কাছে শিফা চাইতে পারেন। পবিত্র কুরআন শরীফের অনেক আয়াত রয়েছে যেখানে সেই আয়াতগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে।
তাই এ সকল গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে লাইন অথবা আয়াত যদি আমরা পড়ি এবং সে অনুযায়ী সঠিকভাবে একজন রোগীর উপর প্রয়োগ করি তাহলে অবশ্যই সেই রোগী মহান আল্লাহ পাকের রহমতে সুস্থ হয়ে যাবেন। আর কেউ যদি গোপনে কোন অন্যায় করে থাকেন অথবা গোপন কোন কাজ করার ফলে সেটা থেকে যদি কোন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় তাহলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তিনি ক্ষমাশীল এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি অবশ্যই বান্দাকে কখনোই খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না।
গোপন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
যারা গোপন রোগ থেকে মুক্তির দোয়া সম্পর্কে জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে একটি দরুদ শরীফ প্রদান করার পাশাপাশি কোরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত আমল করার মাধ্যমে কিভাবে রোগ মুক্তি পাওয়া যেতে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যখন কোন রোগ হবে তখন আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ গ্রহণ করার পাশাপাশি আল্লাহ পাকের কাছে রোগ থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করতে হবে। কারণ একজন বান্দা যখন খাস দিলে কখনো কিছু চাইবে তখন আল্লাহপাক সেই খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জা বোধ করেন।
সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তির দোয়া
গোপন রোগ ও অথবা অন্য কোন রোগ হবে এক্ষেত্রে কেউ যদি সকল প্রকার রোগ থেকে মুক্তির দোয়া সম্পর্কে জানতে চাই তাহলে অবশ্যই তাদেরকে আমরা এ বিষয়ে জানিয়ে দেবো। আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তির দোয়া সম্পর্কে যারা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে নিচে এই দোয়া প্রদান করা হলো। যদি সামান্য অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে কোন সমস্যা বা অজুহাত না দেখিয়ে সরাসরি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং অন্যান্য ইবাদতে আমাদেরকে সামিল হতে হবে।
আর যদি অসুস্থ হয়েও থাকেন তাহলে আল্লাহ পাকের কাছে দ্রুত সুস্থতা কামনা করে দোয়া করতে পারলে তিনি সুস্থতা প্রদান করবেন এবং আমরা সুস্থ হয়ে এবাদত করতে পারব। তাই সর্বপ্রকার রোগ মুক্তির দোয়া হিসেবে নিজের এই দোয়াটি দেওয়া হলো-
اللهم صل على سيدنا محمد و على آل سيدنا محمد بعدد كلّ داء و دواء و بعدد كلّ علّة و شفاء .
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ছাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি সায়্যিদিনা মদহাম্মাদিন বি‘আদাদি কুল্লি দা‘ইওঁ ওয়া দাওয়া . ওয়া বি‘আদাদি কুল্লি ইল্লাতিওঁ ওয়া শিফা .
হে আল্লাহ ! তুমি আমাদের নেতা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বংশধরগণের ওপর মানুষের সব ধরণের রোগ , ঔষধ ও আরোগ্যের সংখ্যা পরিমাণ রহমত ও শান্তি প্রেরণ করো ।
এখানে অর্থ সহকারে আপনারা প্রতিটা লাইন বুঝে নিতে পারবেন অথবা যারা আরবিতে পড়বেন তারা আরবীতে পড়ে নিবেন এবং বাংলা উচ্চারণে পড়তে চাইলে বাংলা উচ্চারণেই পড়তে পারবেন।
কোরআনে রোগ মুক্তির দোয়া
কোরআন থেকে রোগ মুক্তির দোয়া যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে এক্ষেত্রে অনেক ধরনের পদ্ধতির রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে রোগ মুক্তির দোয়া করা যেতে পারে। তাই নিচের উল্লেখিত আয়াত গুলোর নাম থেকে সঠিকভাবে আপনারা আয়াত সংগ্রহ করে নিবেন সেটা একটা পাত্রের মধ্যে ফুঁ দিয়ে দম করবেন। তারপরে সেই পানি খেলে আশা করি আপনাদের রোগের সম্ভাবনা কমে যাবে এবং আপনারা সুস্থ অনুভব করবেন। সূরা তাওবার ১৪নং আয়াত, সুরা ইউনুসের ৫৭নং আয়াত, সুরা নহলের ৬৯ নং আয়াত, সুরা শুআরার ৮০ নং আয়াত,
সুরা বনি ইসরাঈলের ৮২নং আয়াত সমূহ আমল করলে আশা করি আপনারা রোগ মুক্তির বিভিন্ন দিকনির্দেশনা ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী পালন করতে পারবেন। তাছাড়া সুস্থতা অবলম্বন করার জন্য দৈনন্দিন জীবনে আমাদেরকে অবশ্যই সঠিক পথে পরিচালিত হতে হবে।